রাজীব কুমার সাহা
আমাদের দৈনন্দিন কথাবার্তায় পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে প্রায়ই বলি, ‘তোমার কথা শুনে আমি “থ” হয়ে গেলাম।’ এই ‘থ হওয়া’ মানে কী? ‘থ’ তো বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের একটি বর্ণ। আমি বা আমরা ‘থ’ হই কেন? ব্যঞ্জনবর্ণের অন্য কোনো বর্ণ কেন নয়? তবে চলুন জেনে নিই কেন বা কী প্রসঙ্গে এই ‘থ’ হওয়া।
‘থ’ বাংলা বর্ণমালার সতেরোতম ব্যঞ্জনবর্ণ এবং দন্ত দ্বারা উচ্চার্য ‘ত’-এর অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনির দ্যোতক। শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো, আমরা যখন কোনো প্রসঙ্গে ‘থ হই’, সেটি এই বর্ণমালার ‘থ’ নয়। ব্যঞ্জনবর্ণের অর্থটির পাশাপাশি ‘থ’ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো পর্বত।
যেটি এসেছে সংস্কৃত ‘স্থির’ শব্দ থেকে। পর্বত অর্থে ‘থ’ শব্দের ব্যবহার অন্ত্য মধ্যযুগের বাংলা কবিতায় পরিলক্ষিত হলেও তারপর এর দেখা আর তেমনভাবে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে শুরু হয় ‘থ’ শব্দের আলংকারিক বা উপমাঘটিত প্রয়োগ। প্রয়োগ বাক্যসহ ‘থ’ শব্দের কয়েকটি অর্থ উল্লেখ করে এর অর্থটি পরিষ্কার করছি। ‘থ’ শব্দের অর্থ ১. হতভম্ব, অভিভূত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় (‘কিন্তু তার পরের অবস্থা দেখে সে থ’, সৈয়দ মুজতবা আলী); ২. নির্বাক, স্তম্ভিত (‘কাল ওস্তাদের হাতে সঁপে দিয়ে সে থ’, শওকত ওসমান); ৩. বিস্মিত; অপ্রতিভ (‘ওকে ধমকিয়ে থ বানিয়ে দাও’-সদ); ৪. পাষাণ; পর্বত; অচল (‘থকারে পাথর তুমি থকারের মেয়ে’, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর) প্রভৃতি।
মূলত এই চার নম্বর অর্থটির আলংকারিক প্রয়োগ থেকেই ঘটনাচক্রে আমরা ‘থ’ হওয়া শিখি। ‘থ’ বা পর্বত যেমন নিশ্চল-নীরব হয়ে থাকে, তার এ ভাবটিই আমরা গ্রহণ করেছি পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে যখন আমাদের মুখে সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে আর কোনো কথা আসে না, আমরা হয়ে পড়ি পর্বতের মতো মৌন ও স্থির।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
আমাদের দৈনন্দিন কথাবার্তায় পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে প্রায়ই বলি, ‘তোমার কথা শুনে আমি “থ” হয়ে গেলাম।’ এই ‘থ হওয়া’ মানে কী? ‘থ’ তো বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের একটি বর্ণ। আমি বা আমরা ‘থ’ হই কেন? ব্যঞ্জনবর্ণের অন্য কোনো বর্ণ কেন নয়? তবে চলুন জেনে নিই কেন বা কী প্রসঙ্গে এই ‘থ’ হওয়া।
‘থ’ বাংলা বর্ণমালার সতেরোতম ব্যঞ্জনবর্ণ এবং দন্ত দ্বারা উচ্চার্য ‘ত’-এর অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনির দ্যোতক। শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো, আমরা যখন কোনো প্রসঙ্গে ‘থ হই’, সেটি এই বর্ণমালার ‘থ’ নয়। ব্যঞ্জনবর্ণের অর্থটির পাশাপাশি ‘থ’ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো পর্বত।
যেটি এসেছে সংস্কৃত ‘স্থির’ শব্দ থেকে। পর্বত অর্থে ‘থ’ শব্দের ব্যবহার অন্ত্য মধ্যযুগের বাংলা কবিতায় পরিলক্ষিত হলেও তারপর এর দেখা আর তেমনভাবে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে শুরু হয় ‘থ’ শব্দের আলংকারিক বা উপমাঘটিত প্রয়োগ। প্রয়োগ বাক্যসহ ‘থ’ শব্দের কয়েকটি অর্থ উল্লেখ করে এর অর্থটি পরিষ্কার করছি। ‘থ’ শব্দের অর্থ ১. হতভম্ব, অভিভূত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় (‘কিন্তু তার পরের অবস্থা দেখে সে থ’, সৈয়দ মুজতবা আলী); ২. নির্বাক, স্তম্ভিত (‘কাল ওস্তাদের হাতে সঁপে দিয়ে সে থ’, শওকত ওসমান); ৩. বিস্মিত; অপ্রতিভ (‘ওকে ধমকিয়ে থ বানিয়ে দাও’-সদ); ৪. পাষাণ; পর্বত; অচল (‘থকারে পাথর তুমি থকারের মেয়ে’, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর) প্রভৃতি।
মূলত এই চার নম্বর অর্থটির আলংকারিক প্রয়োগ থেকেই ঘটনাচক্রে আমরা ‘থ’ হওয়া শিখি। ‘থ’ বা পর্বত যেমন নিশ্চল-নীরব হয়ে থাকে, তার এ ভাবটিই আমরা গ্রহণ করেছি পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে যখন আমাদের মুখে সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে আর কোনো কথা আসে না, আমরা হয়ে পড়ি পর্বতের মতো মৌন ও স্থির।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫