সম্পাদকীয়
কেন মাইকেল মধুসূদন দত্তকে সাহায্য করতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, তা অনেকেরই জানা। এক মাতাল বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন, মাইকেল তো সেই টাকা দিয়ে মদ খায়। মাতালটিও মদ খায়। তাহলে ঈশ্বরচন্দ্র কি তাকেও টাকা দেবেন? উত্তরে বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, ‘টাকা দেব, তার আগে তুমি একটা “মেঘনাদবধ কাব্য” লেখো দেখি!’
বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহসহ নানা ধরনের সামাজিক আচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সে কথা লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়। এ কথাও মানুষ জানে যে তিনি ছিলেন রসিকরাজ। সে রকমই দুটো কাহিনি রইল উদাহরণ হিসেবে।
নারীশিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র চারদিকে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করছিলেন। এ রকম সময় ঈশ্বরচন্দ্রের অন্তরঙ্গ বন্ধু কালীকৃষ্ণ তাঁর স্ত্রীর হাতের তৈরি নানা রকম আচার পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। বিদ্যাসাগর ছিলেন ভোজনরসিক। আচারগুলো দ্রুতই খেয়ে শেষ করলেন তিনি। এরপর যখন কালীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা হলো, বিদ্যাসাগর বললেন, ‘বন্ধু, তোমার স্ত্রীর তৈরি আচার খেয়ে যেন অমৃতের স্বাদ পেলাম।’ কালীকৃষ্ণ হাসলেন। তিনি বিদ্যাসাগরকে নিয়ে রসিকতা করে বললেন, ‘পণ্ডিত, তাহলে তুমিও মানছ বাংলার সব প্রাচীন আচার মন্দ নয়?’ বন্ধুর কথা শুনে ঈশ্বরচন্দ্রও হাসলেন।
এ কথা অনেকেই জানেন যে, ঈশ্বরচন্দ্র ছিলেন দেশের প্রথম বিদ্যালয় পরিদর্শক। এ কাজের জন্য তাঁকে বিভিন্ন স্কুলে যাতায়াত করতে হতো। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের পেটাবেন—এটা তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারতেন না। একবার এক স্কুলে গিয়ে এক ক্লাসরুমে দেখলেন, শিক্ষকের টেবিলে একটা বেত! তিনি শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই বেত দিয়ে কী কাজ হয়?’
শিক্ষক তড়িঘড়ি করে বললেন, ‘ছাত্রদের ম্যাপ দ্যাখানোর জন্যই বেত এনেছি।’বিদ্যাসাগর বললেন, ‘বুঝেছি, বুঝেছি, রথ দেখা কলা বেচা—দুই কাজই হবে। বেতটা দিয়ে ম্যাপ দেখানো যাবে আবার ছাত্রদের প্রহারও করা যাবে। ঠিক বলেছি তো?’ বিদ্যাসাগরের কথা শুনে খুবই লজ্জা পেলেন শিক্ষক। এবং ঘটনাটি তাঁকে স্পর্শ করল। সেদিন থেকেই তিনি বেত পরিত্যাগ করেছিলেন।
সূত্র: অংশুমান চক্রবর্তী, বঙ্গমনীষীদের রঙ্গ রসিকতা, পৃষ্ঠা ১২-১৩
কেন মাইকেল মধুসূদন দত্তকে সাহায্য করতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, তা অনেকেরই জানা। এক মাতাল বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন, মাইকেল তো সেই টাকা দিয়ে মদ খায়। মাতালটিও মদ খায়। তাহলে ঈশ্বরচন্দ্র কি তাকেও টাকা দেবেন? উত্তরে বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, ‘টাকা দেব, তার আগে তুমি একটা “মেঘনাদবধ কাব্য” লেখো দেখি!’
বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহসহ নানা ধরনের সামাজিক আচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সে কথা লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়। এ কথাও মানুষ জানে যে তিনি ছিলেন রসিকরাজ। সে রকমই দুটো কাহিনি রইল উদাহরণ হিসেবে।
নারীশিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র চারদিকে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করছিলেন। এ রকম সময় ঈশ্বরচন্দ্রের অন্তরঙ্গ বন্ধু কালীকৃষ্ণ তাঁর স্ত্রীর হাতের তৈরি নানা রকম আচার পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। বিদ্যাসাগর ছিলেন ভোজনরসিক। আচারগুলো দ্রুতই খেয়ে শেষ করলেন তিনি। এরপর যখন কালীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা হলো, বিদ্যাসাগর বললেন, ‘বন্ধু, তোমার স্ত্রীর তৈরি আচার খেয়ে যেন অমৃতের স্বাদ পেলাম।’ কালীকৃষ্ণ হাসলেন। তিনি বিদ্যাসাগরকে নিয়ে রসিকতা করে বললেন, ‘পণ্ডিত, তাহলে তুমিও মানছ বাংলার সব প্রাচীন আচার মন্দ নয়?’ বন্ধুর কথা শুনে ঈশ্বরচন্দ্রও হাসলেন।
এ কথা অনেকেই জানেন যে, ঈশ্বরচন্দ্র ছিলেন দেশের প্রথম বিদ্যালয় পরিদর্শক। এ কাজের জন্য তাঁকে বিভিন্ন স্কুলে যাতায়াত করতে হতো। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের পেটাবেন—এটা তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারতেন না। একবার এক স্কুলে গিয়ে এক ক্লাসরুমে দেখলেন, শিক্ষকের টেবিলে একটা বেত! তিনি শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই বেত দিয়ে কী কাজ হয়?’
শিক্ষক তড়িঘড়ি করে বললেন, ‘ছাত্রদের ম্যাপ দ্যাখানোর জন্যই বেত এনেছি।’বিদ্যাসাগর বললেন, ‘বুঝেছি, বুঝেছি, রথ দেখা কলা বেচা—দুই কাজই হবে। বেতটা দিয়ে ম্যাপ দেখানো যাবে আবার ছাত্রদের প্রহারও করা যাবে। ঠিক বলেছি তো?’ বিদ্যাসাগরের কথা শুনে খুবই লজ্জা পেলেন শিক্ষক। এবং ঘটনাটি তাঁকে স্পর্শ করল। সেদিন থেকেই তিনি বেত পরিত্যাগ করেছিলেন।
সূত্র: অংশুমান চক্রবর্তী, বঙ্গমনীষীদের রঙ্গ রসিকতা, পৃষ্ঠা ১২-১৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫