নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ৯১ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষ সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের জেনারেল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সেবাও। নেওয়া হয়েছে নানা সতর্কতা।
জানা যায়, গত ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে শীতকালীন ছুটি ছিল। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হোস্টেলে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ জানুয়ারি প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর জ্বর ও কাশি শুরু হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট করা হয়। তাতে তিনি করোনা পজিটিভ বলে জানা যায়। পরে হোস্টেলে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করে আরও কয়েকজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৬৬ শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করলে ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে সরাসরি পাঠদান বন্ধের ঘোষণা আসে।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নার্সিং কলেজে গিয়ে দেখা যায়, পুরো ক্যাম্পাসই ফাঁকা। তবে ভবনের আবাসিক কক্ষ ও বারান্দায় মাস্ক পরে নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। ক্লাসের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সেবা দিতেন রোগীদের। কিন্তু শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন সেই সেবা ব্যাবহ হচ্ছে। একসঙ্গে এত শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। তবে আক্রান্তরা শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে জন্য মানসিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থী লিপি ইমাম বলেন, আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের জ্বর ও হালকা কাশি আছে। তবে সবাই মানসিকভাবে ভালো আছে। এর মধ্যে বর্তমানে কয়েকজনের কোনো উপসর্গ নেই।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল সরকার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে অসুস্থদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক ও চিকিৎসকদের পরামর্শমতে তাদের ওষুধ ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘৯১ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ কলেজের শিক্ষার্থীরা বড় একটি সাপোর্ট দিতেন।’
নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানম জানান, সব শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকায় সবাই অন্য রোগীদের তুলনায় ভালো আছে। প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে আক্রান্তদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হলেও আগামী শনিবার থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ, তাদের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসার পর সশরীরে আবার পাঠদান চালু করা হবে।
নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর আরও জানান, শিক্ষার্থীরা ছাড়া কলেজে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই সুস্থ রয়েছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ৯১ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষ সশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের জেনারেল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সেবাও। নেওয়া হয়েছে নানা সতর্কতা।
জানা যায়, গত ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে শীতকালীন ছুটি ছিল। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হোস্টেলে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ জানুয়ারি প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর জ্বর ও কাশি শুরু হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট করা হয়। তাতে তিনি করোনা পজিটিভ বলে জানা যায়। পরে হোস্টেলে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করে আরও কয়েকজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৬৬ শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করলে ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে সরাসরি পাঠদান বন্ধের ঘোষণা আসে।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নার্সিং কলেজে গিয়ে দেখা যায়, পুরো ক্যাম্পাসই ফাঁকা। তবে ভবনের আবাসিক কক্ষ ও বারান্দায় মাস্ক পরে নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। ক্লাসের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সেবা দিতেন রোগীদের। কিন্তু শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন সেই সেবা ব্যাবহ হচ্ছে। একসঙ্গে এত শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। তবে আক্রান্তরা শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে জন্য মানসিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থী লিপি ইমাম বলেন, আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের জ্বর ও হালকা কাশি আছে। তবে সবাই মানসিকভাবে ভালো আছে। এর মধ্যে বর্তমানে কয়েকজনের কোনো উপসর্গ নেই।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল সরকার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে অসুস্থদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক ও চিকিৎসকদের পরামর্শমতে তাদের ওষুধ ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘৯১ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ কলেজের শিক্ষার্থীরা বড় একটি সাপোর্ট দিতেন।’
নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানম জানান, সব শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকায় সবাই অন্য রোগীদের তুলনায় ভালো আছে। প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে আক্রান্তদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হলেও আগামী শনিবার থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ, তাদের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসার পর সশরীরে আবার পাঠদান চালু করা হবে।
নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর আরও জানান, শিক্ষার্থীরা ছাড়া কলেজে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই সুস্থ রয়েছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫