বাগেরহাট, মোংলা ও ফকিরহাট প্রতিনিধি
পরিবহন ধর্মঘটে সারা দেশের মতো বাগেরহাটেও চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জরুরি কাজে বাধ্য হয়ে হেঁটে অথবা ভ্যান, রিকশা, অটো ও মোটরসাইকেলে গন্তব্যে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে এর জন্য দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এরপরেও যানবাহন জুটছে না সবার কপালে। গতকাল শনিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় যাত্রীদের পায়ে হেঁটেও গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা থেকে খুলনার উদ্দেশে আসা আব্দুস ছত্তার ব্যাপারী বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি বোনকে দেখতে সকালে ৫০০ টাকা নিয়ে বের হয়েছেন। বাগেরহাট পৌঁছাতে ২২০ টাকা শেষ। এখান থেকে খুলনার ভাড়া চায় ২০০ টাকা। ২০০ টাকায় খুলনা গেলে ফিরে আসার জন্য আর টাকা থাকবে না। তাই হেঁটে রওনা দিয়েছেন, সামনে থেকে যদি একটু কমে অটোতে উঠতে পারেন।
এদিকে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দর জেটি থেকে যেমন কোনো পণ্য বের হচ্ছে না, তেমনি ঢুকছেও না। তবে জেটির অভ্যন্তরে সকল ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, এমনিতেই শুক্র ও শনিবার জেটি থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। আর পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জেটি থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) মো. সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিল্প এলাকার কারখানায়ও উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও মূলত পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পণ্য হিসেবে দু-একটি ভোজ্যতেল ও গ্যাসবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। বাকি কারখানাগুলোর সামনে ট্রাক রেখে বেকার সময় পার করছেন চালক-হেলপাররা।
নির্মাণশ্রমিক শুভ মণ্ডল বলেন, বাস না চলায় মোংলার দিগরাজ থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে ভ্যানে করে কাটাখালী পর্যন্ত এসেছেন। খুলনার জিরো পয়েন্ট যেতে হবে কাজের জন্য। এখান থেকে জিরো পয়েন্ট বাসের ভাড়া ৩০ টাকা হলেও ভ্যানচালকেরা ১৮০ টাকা দাবি করছেন।
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের বাসিন্দা কল্লোল দাস মেরিন ডিপ্লোমার ছাত্র। পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য খুলনার খালিশপুর যেতে হবে। কিন্তু গণপরিবহন না চলায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন, যে টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাইছে ভ্যান আর ইজিবাইকচালকেরা। কীভাবে যাবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন।
ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়া মোড়ে ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যানচালক রুবেল শেখ বলেন, সারা বছর বাস চালকদের জন্য রাস্তায় ভ্যান চালাতে অসুবিধা হয়। এখন যাত্রী বেশি থাকায় ভাড়া কিছুটা বেশি নিচ্ছেন। তাঁরা কাউকে জোর করছেন না। যার ইচ্ছা সে যাবে।
যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি হঠাৎ ধর্মঘটের প্রভাবে বাগেরহাটের স্থানীয় বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের ওপরও প্রভাব পড়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পণ্য সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সবজি, মাছ, ডিম, মাংস ও মুদি পণ্যদের দাম বেড়েছে।
পরিবহন ধর্মঘটে সারা দেশের মতো বাগেরহাটেও চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জরুরি কাজে বাধ্য হয়ে হেঁটে অথবা ভ্যান, রিকশা, অটো ও মোটরসাইকেলে গন্তব্যে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে এর জন্য দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এরপরেও যানবাহন জুটছে না সবার কপালে। গতকাল শনিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় যাত্রীদের পায়ে হেঁটেও গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা থেকে খুলনার উদ্দেশে আসা আব্দুস ছত্তার ব্যাপারী বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি বোনকে দেখতে সকালে ৫০০ টাকা নিয়ে বের হয়েছেন। বাগেরহাট পৌঁছাতে ২২০ টাকা শেষ। এখান থেকে খুলনার ভাড়া চায় ২০০ টাকা। ২০০ টাকায় খুলনা গেলে ফিরে আসার জন্য আর টাকা থাকবে না। তাই হেঁটে রওনা দিয়েছেন, সামনে থেকে যদি একটু কমে অটোতে উঠতে পারেন।
এদিকে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দর জেটি থেকে যেমন কোনো পণ্য বের হচ্ছে না, তেমনি ঢুকছেও না। তবে জেটির অভ্যন্তরে সকল ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, এমনিতেই শুক্র ও শনিবার জেটি থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। আর পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জেটি থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) মো. সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিল্প এলাকার কারখানায়ও উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও মূলত পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পণ্য হিসেবে দু-একটি ভোজ্যতেল ও গ্যাসবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। বাকি কারখানাগুলোর সামনে ট্রাক রেখে বেকার সময় পার করছেন চালক-হেলপাররা।
নির্মাণশ্রমিক শুভ মণ্ডল বলেন, বাস না চলায় মোংলার দিগরাজ থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে ভ্যানে করে কাটাখালী পর্যন্ত এসেছেন। খুলনার জিরো পয়েন্ট যেতে হবে কাজের জন্য। এখান থেকে জিরো পয়েন্ট বাসের ভাড়া ৩০ টাকা হলেও ভ্যানচালকেরা ১৮০ টাকা দাবি করছেন।
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের বাসিন্দা কল্লোল দাস মেরিন ডিপ্লোমার ছাত্র। পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য খুলনার খালিশপুর যেতে হবে। কিন্তু গণপরিবহন না চলায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন, যে টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাইছে ভ্যান আর ইজিবাইকচালকেরা। কীভাবে যাবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন।
ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়া মোড়ে ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যানচালক রুবেল শেখ বলেন, সারা বছর বাস চালকদের জন্য রাস্তায় ভ্যান চালাতে অসুবিধা হয়। এখন যাত্রী বেশি থাকায় ভাড়া কিছুটা বেশি নিচ্ছেন। তাঁরা কাউকে জোর করছেন না। যার ইচ্ছা সে যাবে।
যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি হঠাৎ ধর্মঘটের প্রভাবে বাগেরহাটের স্থানীয় বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের ওপরও প্রভাব পড়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পণ্য সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সবজি, মাছ, ডিম, মাংস ও মুদি পণ্যদের দাম বেড়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪