Ajker Patrika

ধীরগতির কাজে ভোগান্তি চার জেলার মানুষের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জুন ২০২২, ১২: ৩৮
ধীরগতির কাজে ভোগান্তি চার জেলার মানুষের

ময়মনসিংহের শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে ২০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজে ধীর গতির অভিযোগ উঠেছে। গত এক মাস ধরে চলমান কাজের কারণে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চার জেলার মানুষ। দীর্ঘ সময় যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী সব মহলের মানুষ।

জানা যায়, শহরের শিকারীকান্দা বাইপাস মোড় হয়ে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং কুড়িগ্রামের কয়েক শ গাড়ি চলাচল করে। গত রমজানের ঈদের আগে থেকে বাইপাস মোড়ের রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় সময় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকত। তবে ঈদুল আজহার ভোগান্তি লাঘবে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোড়ের ৮ হাজার কিউবিট মিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

তবে কাজ শুরুর পরে ঢাকা পথে বামদিকে ২০০ মিটার রাস্তার ১৫ ইঞ্চি আরসিসি ঢালায়ও এক মাসে সম্পন্ন হয়নি। এ কারণে এক লেন দিয়েই গাড়ি যাওয়া-আসা করায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন ২০০ মিটার রাস্তার কাজ এক মাসেও সম্পন্ন হয়নি।

এ কারণে ঈদের আগে সংস্কারকাজ শেষ করা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো কাজ শেষ করতে আরও ৪-৫ মাস লেগে যাবে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আক্রাম হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘রোজা ঈদের পরপরেই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ২০০ মিটার কাজ এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি তারা। ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তাহলে কাজে তো ধীর গতি হবেই। ধীর গতির কাজের জন্য যাত্রী-চালকদের পাশাপাশি আমরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।’

শেরপুরগামী সোনার বাংলা পরিবহনের যাত্রী সাদেকা পারভীন বলেন, ‘অল্প একটু রাস্তার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের জ্যামে বসে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ করে গরমে শিশুদের সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। সরকার যেখানে কাজের জন্য টাকা খরচ করছে তাহলে এত ধীর গতি কেন?’

ইমাম পরিবহনের চালক সুরুজ আলী বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে তেলের অপচয়ের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখন বাইপাস রোড একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক গাড়ি চরপাড়া মোড় হয়ে সেতুতে যাওয়ার ফলে চরপাড়ায়ও অনেক সময় যানজট লেগে থাকে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু নাসের মো. জহির বলেন, শিকারীকান্দা মোড়ে কাজের ধীর গতি এখন ট্রাফিক পুলিশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা কাজ করে তো করে না।

যানজট নিরসনে সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশের কয়েকটি টিম রাখতে হচ্ছে। নিজেও প্রায় সময় এসে যানজট নিয়ন্ত্রণ করি। বারবার বলার পরেও তারা তাদের মতো করেই কাজ করছে। যেভাবে ঢালাই করা হচ্ছে বৃষ্টি এলে আবারও পানি জমে রাস্তার ক্ষতি হবে।

আরবিএল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ কর্নেল বলেন, ‘আমরা আমাদের নিয়মেই কাজ করছি। আমাদের কাজের সবকিছু সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিয়মিত তদারকি করছেন। তবে শ্রমিক কম থাকায় সাময়িক বিলম্ব হচ্ছে।’

সার্বিক বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী খন্দকার মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘হঠাৎ করে রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজটি শুরু করতেই বিলম্ব হয়েছে। উন্নয়নকাজ চলমান থাকলে মানুষকে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়—এটা সাধারণ বিষয়।’

খন্দকার মো. জিয়াউল হক আরও বলেন, ‘২০০ মিটার রাস্তার ঢালাইয়ের কাজ দুই একদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। পরে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ঈদের আগে যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত