কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী)
শরতের এই ভরা পূর্ণিমায় নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ ধরা পড়ার কথা। অথচ ইলিশ নেই বললেই চলে। যা আছে তা আকারে একেবারেই ছোট। এ সব ছোট ইলিশ এলাকায় জাটকা নামে পরিচিত। সারা দিন দুজন মানুষ প্রখর রোদের মধ্যে জাল টেনে সন্ধ্যা পর্যন্ত কষ্ট করে পেলাম শুধু ১২টি জাটকা। যার ওজন হবে ওজন দেড় কেজি মতো। বাজারে জাটকার কেজি ৪০০ টাকা। আর দাদনদার মহাজন দেবে ৩০০ টাকা। ৩০০ টাকা দরে দেড় কেজির দাম সাড়ে ৪০০ টাকা। দুজন মানুষ এইটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে সারা দিন ৩ লিটার তেল পুড়ে কী রইল? গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমন প্রশ্ন তোলেন জেলে হাবিবুর রহমান ও রহমান মাঝি। এই চিত্রটি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্ভরশীল প্রায় সব জেলের।
উপজেলার মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফলে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ৭৪০০ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি ইলিশ শিকারি জেলে। যাদের অধিকাংশই তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্ভরশীল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীতে জেলেরা ইলিশ শিকারের জন্য জাল ফেলে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। নদীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে জাল ফেলছেন। এই স্থানে মিলছে না তো অন্য স্থানে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও যেন ইলিশের দেখা নেই। প্রায় ১৫টি জেলের নৌকায় উঠে দেখা গেছে ৮টি নৌকায় ইলিশ মিলেছে। এর মধ্যে একটি নৌকায় মাত্র ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ। বাকি নৌকায় সবই জাটকা। এ সব ইলিশের আকার ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত, ওজন এক থেকে দেড় শ গ্রাম।
তেঁতুলিয়া নদীতে দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ইলিশ শিকার করছেন ছদর উদ্দিন (৪৮) নামে এক জেলে। তিনি বলেন, ‘এই নদীতে এক সময় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলতো। জেলেরা তখন সচ্ছলভাবে দিন কাটাত। এখন আর ইলিশ মিলছে না তেঁতুলিয়ায়। প্রায় ৬ বছর ধরে এই নদীত ইলিশের আকাল। ভালো নাই তেঁতুলিয়া পাড়ের জেলেরা।’
জেলে মনির গাজী (৫৫) বলেন, ‘এক সময়ের খরস্রোতা তেঁতুলিয়া নদীতে চর পড়ে যাওয়ার কারণে গভীরতা কমে গেছে। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নদীর বুকে ঝাউ পেতে মাছ শিকার করেন। এই ঝাউ দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নদীতে থাকার কারণে ঝাউয়ের স্থানে চর জেগে ওঠে। এ কারণে এই নদীত নব্যতা সংকট রয়েছে। ফলে এখন আর তেঁতুলীয়া নদীতে তেমন ইলিশ মেলে না।’
অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তেঁতুলিয়া নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সাগর থেকে নদীমুখী হচ্ছে না ইলিশ। যার কারণে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না। এখন নদীর নব্যতা সংকট দূর করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে পালনের জন্য জেলেরা প্রচুর ইলিশ পাচ্ছেন। তবে উপজেলার যে সকল জেলেরা নদী নির্ভর, তারা ইলিশ পায় না এটা বলা যাবে না।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্যা এমদাদউল্লাহ্ বলেন, ‘তেঁতুলিয়া নদীর নব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবৈধ ঝাউ উচ্ছেদ করা হবে।’
শরতের এই ভরা পূর্ণিমায় নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ ধরা পড়ার কথা। অথচ ইলিশ নেই বললেই চলে। যা আছে তা আকারে একেবারেই ছোট। এ সব ছোট ইলিশ এলাকায় জাটকা নামে পরিচিত। সারা দিন দুজন মানুষ প্রখর রোদের মধ্যে জাল টেনে সন্ধ্যা পর্যন্ত কষ্ট করে পেলাম শুধু ১২টি জাটকা। যার ওজন হবে ওজন দেড় কেজি মতো। বাজারে জাটকার কেজি ৪০০ টাকা। আর দাদনদার মহাজন দেবে ৩০০ টাকা। ৩০০ টাকা দরে দেড় কেজির দাম সাড়ে ৪০০ টাকা। দুজন মানুষ এইটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে সারা দিন ৩ লিটার তেল পুড়ে কী রইল? গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমন প্রশ্ন তোলেন জেলে হাবিবুর রহমান ও রহমান মাঝি। এই চিত্রটি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্ভরশীল প্রায় সব জেলের।
উপজেলার মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফলে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ৭৪০০ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি ইলিশ শিকারি জেলে। যাদের অধিকাংশই তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্ভরশীল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীতে জেলেরা ইলিশ শিকারের জন্য জাল ফেলে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। নদীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে জাল ফেলছেন। এই স্থানে মিলছে না তো অন্য স্থানে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও যেন ইলিশের দেখা নেই। প্রায় ১৫টি জেলের নৌকায় উঠে দেখা গেছে ৮টি নৌকায় ইলিশ মিলেছে। এর মধ্যে একটি নৌকায় মাত্র ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ। বাকি নৌকায় সবই জাটকা। এ সব ইলিশের আকার ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত, ওজন এক থেকে দেড় শ গ্রাম।
তেঁতুলিয়া নদীতে দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ইলিশ শিকার করছেন ছদর উদ্দিন (৪৮) নামে এক জেলে। তিনি বলেন, ‘এই নদীতে এক সময় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলতো। জেলেরা তখন সচ্ছলভাবে দিন কাটাত। এখন আর ইলিশ মিলছে না তেঁতুলিয়ায়। প্রায় ৬ বছর ধরে এই নদীত ইলিশের আকাল। ভালো নাই তেঁতুলিয়া পাড়ের জেলেরা।’
জেলে মনির গাজী (৫৫) বলেন, ‘এক সময়ের খরস্রোতা তেঁতুলিয়া নদীতে চর পড়ে যাওয়ার কারণে গভীরতা কমে গেছে। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নদীর বুকে ঝাউ পেতে মাছ শিকার করেন। এই ঝাউ দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নদীতে থাকার কারণে ঝাউয়ের স্থানে চর জেগে ওঠে। এ কারণে এই নদীত নব্যতা সংকট রয়েছে। ফলে এখন আর তেঁতুলীয়া নদীতে তেমন ইলিশ মেলে না।’
অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তেঁতুলিয়া নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সাগর থেকে নদীমুখী হচ্ছে না ইলিশ। যার কারণে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না। এখন নদীর নব্যতা সংকট দূর করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে পালনের জন্য জেলেরা প্রচুর ইলিশ পাচ্ছেন। তবে উপজেলার যে সকল জেলেরা নদী নির্ভর, তারা ইলিশ পায় না এটা বলা যাবে না।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্যা এমদাদউল্লাহ্ বলেন, ‘তেঁতুলিয়া নদীর নব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবৈধ ঝাউ উচ্ছেদ করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫