আল-আমিন রাজু, দুবলারচর থেকে ফিরে
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার নির্মল বিশ্বাস। প্রায় ৩২ বছর ধরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবনের দুবলার চরে আসেন মাছ শিকার করে শুঁটকি তৈরির জন্য। এরপর শুঁটকি বিক্রি করেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে। দুবলার চরের এই শুঁটকির চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে। নির্মল বিশ্বাস পুরো মৌসুমের আয় থেকে যা পান তা দিয়ে বছরের বাকি সাত মাস পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন।
প্রতি মৌসুমেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন নির্মল বিশ্বাস। কিন্তু তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় না। এর পেছনে রয়েছে সাহেব বা মহাজনের ছদ্মবেশে থাকা একদল সুদকারবারীর বিছানো সূক্ষ্ম জালের ঋণের ফাঁদের বাঁধা। দুবলার চরে আসা প্রতিটি জেলেই এই ঋণের ফাঁদে আটকা। চাইলেই মুক্তি মিলে না।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ৮০ বর্গ কিলোমিটারের দুবলার চরে কথিত প্রভাবশালী সাহেবদের ঋণের ফাঁদের চিত্র।
প্রতি বছর শুঁটকির মৌসুমে সাগরে মাছ শিকারের জন্য নৌকা ও জাল প্রস্তুত এবং পাঁচ-ছয় মাস দুবলার চরে থাকার জন্য জেলেদের প্রয়োজন হয় মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু এত টাকা জোগান দেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই। ৪০ হাজার জেলের ভাগ্য নির্ধারণের এই সুযোগটাই নেন মহাজনরা। দুবলার চরে তারা সাহেব নামে পরিচিত। পুরো দুবলার চর শ্যালারচর, নারিকেল বাড়িয়াসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন চরের শুঁটকি পল্লি নিয়ন্ত্রণ করেন ১৫ জন স্বঘোষিত সাহেব। তাঁরা মৌসুমের শুরুতে দাদনের টাকা দিয়ে জেলেদের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ ছাড়া স্থানীয় বন বিভাগ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাঁদের। দুবলার চরে এ সাহেবরাই ঠিক করেন মাছ ও শুঁটকির বাজার দর।
নির্মল বিশ্বাসের মতো প্রায় দেড় হাজার জেলে প্রতি মৌসুমে স্বপ্ন দেখেন মাছ শিকার করে ঋণের টাকা শোধ করার। কিন্তু সাহেবদের পাতা ফাঁদ এড়িয়ে সেটি আর হয়ে ওঠে না। কখনো কখনো দাদনের টাকা ও সুদ পরিশোধ করার পরেও মুক্তি মেলে না। হয়রানির শিকার হতে হয় পদে পদে।
দাদনের টাকা নিয়ে পরিশোধ করার পরেও মিথ্যে মামলায় জেল খেটেছেন নির্মল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আগে দাদনের টাকা নেওয়ার চুক্তি হতো মুখে মুখে। সাহেবদের কাছ থেকে টাকা নিলে তাদের মাছ দিতে হতো। কিন্তু এখন টাকা নিতে গেলে সাদা স্ট্যাম্পে সই করতে হয়। দিতে হয় ব্লাংক বা খালি চেক। আর এসব জিনিসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তারা নানাভাবে হয়রানি করে। টাকা নিয়ে এক বছরের মধ্যে সুদসহ পরিশোধ করার পরেও আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়। নিজের নৌকা, জাল-দড়ি বিক্রি করে মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
বেলায়েত সরদার নামের এক জেলে জানান, দুবলারচরসহ আশপাশের সবগুলো চর নিয়ন্ত্রণ করেন ১৫ জন সাহেব। তাঁদের কাছ থেকে দাদন না নিলে সাগরে কেউ জাল ফেলতে পারে না। চরে মাছ শুকানো জায়গা পাওয়া যায় না। সাহেবদের নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন কামাল উদ্দিন সরদার। দুবলার চরে সবাই তাঁকে চিনে কামাল মামা বা কামাল সাহেব নামে । এই চরে তাঁর ২৬ টি ঘর রয়েছে। যেখানে জোর করে জেলেদের ধরা মাছ কিনে নেওয়া হয়। বাজারে যে দাম থাকে তার অর্ধেকও জেলেদের দেওয়া হয় না। আবার যারা মাছ কিনে শুঁটকি বানায় তাদের কাছ থেকেও একই কায়দায় শুঁটকি নিয়ে খুলনায় বেশি দামে বিক্রি করে দাদনের টাকা আর সুদ কেটে সামান্য কিছু টাকা জেলেদের ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ কেউ করতে পারেন না। তাহলে আর সে জীবনেও চরে আসতে পারবে না।
গফুর গাজী নামের অন্য এক জেলে বলেন, ‘আশির দশকে দুবলার চরে এই শুঁটকি পল্লি গড়ে তোলেন জেলেরা। আগে এখানে মাছ ধরতে এলে ডাকাতরা ধরে নিয়ে যেতো। তাঁদের চাঁদা না দিলে নির্যাতন করত। বনের অনুমতি নেওয়ার পাশাপাশি ডাকাতদের কাছ থেকে টিকিট কাটতে হতো। সুন্দরবন এখন দস্যু মুক্ত হয়েছে। তবে সুন্দরবনে গডফাদাররা রয়ে গেছেন। তারা আমাদের চুষে খেয়ে ফেলেছে। সুন্দরবনে কোনো জেলের স্বাধীনতা নেই। গডফাদার বা সাহেবদের কথার বাইরে গেলে পিটিয়ে মেরে ফেলার বহু নজির আছে।’
ষাটোর্ধ্ব জেলে গফুর আরও বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য বদলাতে সরকারের সহযোগিতা দরকার। সরকার যদি ঋণের ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা সাহেবদের হাত থেকে বাঁচতে পারতাম।’ তিনি জানান, জেলেদের নামে যত সহযোগিতা আসে তা প্রকৃত জেলেরা পান না।
সরকারি ঋণের জন্য আবেদন করেছেন কি না জানতে চাইলে গফুর গাজী বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেছি। তারা আশ্বাস দেন। কিন্তু মৌসুমে টাকা দেন না।’ জেলেদের ঋণ না পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় বাঁধা সাহেবরা উল্লেখ করে গফুর বলেন, ‘সরকারি ঋণ না পাওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা সাহেবরা। তারা চান না সরকার আমাদের পাশে দাঁড়াক।’
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে বেশ কয়েকজন সাহেবের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সফিউল্লাহ খোকন সাহেব, মাইনুদ্দিন টোকন সাহেব, হাকিম বিশ্বাস ওরফে হক সাহেব, জাহিদুল সাহেব, বুলবুল সাহেব। রাজা সাহেব, আজিবর সাহেব, পিন্টু সাহেব, মিঠু, রেজাউল, জাহিদুল, হাকিম সাহেব। কথিত এই সাহেবদের ৫০ থেকে ১৫০ জন কর্মীর বাহিনী রয়েছে। যাদের দিয়ে চরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন তাঁরা। কেউ কথা না শুনলে সাহেবদের হয়ে নির্যাতন করে এই কর্মীরা। তাঁরাও জেলে পরিচয়ে চরে থাকে।
সুন্দরবনের এই কথিত সাহেবদের প্রধান কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল সাহেব নিজেকে চরের নিয়ন্ত্রক দাবি করেন। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে, চরে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কথায়ও। কামালের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপ। এই গ্রুপের সভাপতি তিনি। কমিটির অন্য সদস্যরাও দাদন দানকারী সাহেব।
নিজেকে জেলেদের নেতা দাবি করে কামাল বলেন, ‘আমরা জেলেদের দুঃখ-সুখে পাশে থাকি’।
সাধারণ জেলেদের একটাই দাবি, দুবলারচরের সুদের কারবারিদের দাদন প্রথা যেন বন্ধ করতে সরকার যেন উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি জেলেদের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করে তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে সহযোগিতা করা হয়।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার নির্মল বিশ্বাস। প্রায় ৩২ বছর ধরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবনের দুবলার চরে আসেন মাছ শিকার করে শুঁটকি তৈরির জন্য। এরপর শুঁটকি বিক্রি করেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে। দুবলার চরের এই শুঁটকির চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে। নির্মল বিশ্বাস পুরো মৌসুমের আয় থেকে যা পান তা দিয়ে বছরের বাকি সাত মাস পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন।
প্রতি মৌসুমেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন নির্মল বিশ্বাস। কিন্তু তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় না। এর পেছনে রয়েছে সাহেব বা মহাজনের ছদ্মবেশে থাকা একদল সুদকারবারীর বিছানো সূক্ষ্ম জালের ঋণের ফাঁদের বাঁধা। দুবলার চরে আসা প্রতিটি জেলেই এই ঋণের ফাঁদে আটকা। চাইলেই মুক্তি মিলে না।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ৮০ বর্গ কিলোমিটারের দুবলার চরে কথিত প্রভাবশালী সাহেবদের ঋণের ফাঁদের চিত্র।
প্রতি বছর শুঁটকির মৌসুমে সাগরে মাছ শিকারের জন্য নৌকা ও জাল প্রস্তুত এবং পাঁচ-ছয় মাস দুবলার চরে থাকার জন্য জেলেদের প্রয়োজন হয় মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু এত টাকা জোগান দেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই। ৪০ হাজার জেলের ভাগ্য নির্ধারণের এই সুযোগটাই নেন মহাজনরা। দুবলার চরে তারা সাহেব নামে পরিচিত। পুরো দুবলার চর শ্যালারচর, নারিকেল বাড়িয়াসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন চরের শুঁটকি পল্লি নিয়ন্ত্রণ করেন ১৫ জন স্বঘোষিত সাহেব। তাঁরা মৌসুমের শুরুতে দাদনের টাকা দিয়ে জেলেদের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ ছাড়া স্থানীয় বন বিভাগ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাঁদের। দুবলার চরে এ সাহেবরাই ঠিক করেন মাছ ও শুঁটকির বাজার দর।
নির্মল বিশ্বাসের মতো প্রায় দেড় হাজার জেলে প্রতি মৌসুমে স্বপ্ন দেখেন মাছ শিকার করে ঋণের টাকা শোধ করার। কিন্তু সাহেবদের পাতা ফাঁদ এড়িয়ে সেটি আর হয়ে ওঠে না। কখনো কখনো দাদনের টাকা ও সুদ পরিশোধ করার পরেও মুক্তি মেলে না। হয়রানির শিকার হতে হয় পদে পদে।
দাদনের টাকা নিয়ে পরিশোধ করার পরেও মিথ্যে মামলায় জেল খেটেছেন নির্মল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আগে দাদনের টাকা নেওয়ার চুক্তি হতো মুখে মুখে। সাহেবদের কাছ থেকে টাকা নিলে তাদের মাছ দিতে হতো। কিন্তু এখন টাকা নিতে গেলে সাদা স্ট্যাম্পে সই করতে হয়। দিতে হয় ব্লাংক বা খালি চেক। আর এসব জিনিসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তারা নানাভাবে হয়রানি করে। টাকা নিয়ে এক বছরের মধ্যে সুদসহ পরিশোধ করার পরেও আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়। নিজের নৌকা, জাল-দড়ি বিক্রি করে মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
বেলায়েত সরদার নামের এক জেলে জানান, দুবলারচরসহ আশপাশের সবগুলো চর নিয়ন্ত্রণ করেন ১৫ জন সাহেব। তাঁদের কাছ থেকে দাদন না নিলে সাগরে কেউ জাল ফেলতে পারে না। চরে মাছ শুকানো জায়গা পাওয়া যায় না। সাহেবদের নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন কামাল উদ্দিন সরদার। দুবলার চরে সবাই তাঁকে চিনে কামাল মামা বা কামাল সাহেব নামে । এই চরে তাঁর ২৬ টি ঘর রয়েছে। যেখানে জোর করে জেলেদের ধরা মাছ কিনে নেওয়া হয়। বাজারে যে দাম থাকে তার অর্ধেকও জেলেদের দেওয়া হয় না। আবার যারা মাছ কিনে শুঁটকি বানায় তাদের কাছ থেকেও একই কায়দায় শুঁটকি নিয়ে খুলনায় বেশি দামে বিক্রি করে দাদনের টাকা আর সুদ কেটে সামান্য কিছু টাকা জেলেদের ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ কেউ করতে পারেন না। তাহলে আর সে জীবনেও চরে আসতে পারবে না।
গফুর গাজী নামের অন্য এক জেলে বলেন, ‘আশির দশকে দুবলার চরে এই শুঁটকি পল্লি গড়ে তোলেন জেলেরা। আগে এখানে মাছ ধরতে এলে ডাকাতরা ধরে নিয়ে যেতো। তাঁদের চাঁদা না দিলে নির্যাতন করত। বনের অনুমতি নেওয়ার পাশাপাশি ডাকাতদের কাছ থেকে টিকিট কাটতে হতো। সুন্দরবন এখন দস্যু মুক্ত হয়েছে। তবে সুন্দরবনে গডফাদাররা রয়ে গেছেন। তারা আমাদের চুষে খেয়ে ফেলেছে। সুন্দরবনে কোনো জেলের স্বাধীনতা নেই। গডফাদার বা সাহেবদের কথার বাইরে গেলে পিটিয়ে মেরে ফেলার বহু নজির আছে।’
ষাটোর্ধ্ব জেলে গফুর আরও বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য বদলাতে সরকারের সহযোগিতা দরকার। সরকার যদি ঋণের ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা সাহেবদের হাত থেকে বাঁচতে পারতাম।’ তিনি জানান, জেলেদের নামে যত সহযোগিতা আসে তা প্রকৃত জেলেরা পান না।
সরকারি ঋণের জন্য আবেদন করেছেন কি না জানতে চাইলে গফুর গাজী বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেছি। তারা আশ্বাস দেন। কিন্তু মৌসুমে টাকা দেন না।’ জেলেদের ঋণ না পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় বাঁধা সাহেবরা উল্লেখ করে গফুর বলেন, ‘সরকারি ঋণ না পাওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা সাহেবরা। তারা চান না সরকার আমাদের পাশে দাঁড়াক।’
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে বেশ কয়েকজন সাহেবের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সফিউল্লাহ খোকন সাহেব, মাইনুদ্দিন টোকন সাহেব, হাকিম বিশ্বাস ওরফে হক সাহেব, জাহিদুল সাহেব, বুলবুল সাহেব। রাজা সাহেব, আজিবর সাহেব, পিন্টু সাহেব, মিঠু, রেজাউল, জাহিদুল, হাকিম সাহেব। কথিত এই সাহেবদের ৫০ থেকে ১৫০ জন কর্মীর বাহিনী রয়েছে। যাদের দিয়ে চরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন তাঁরা। কেউ কথা না শুনলে সাহেবদের হয়ে নির্যাতন করে এই কর্মীরা। তাঁরাও জেলে পরিচয়ে চরে থাকে।
সুন্দরবনের এই কথিত সাহেবদের প্রধান কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল সাহেব নিজেকে চরের নিয়ন্ত্রক দাবি করেন। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে, চরে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কথায়ও। কামালের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপ। এই গ্রুপের সভাপতি তিনি। কমিটির অন্য সদস্যরাও দাদন দানকারী সাহেব।
নিজেকে জেলেদের নেতা দাবি করে কামাল বলেন, ‘আমরা জেলেদের দুঃখ-সুখে পাশে থাকি’।
সাধারণ জেলেদের একটাই দাবি, দুবলারচরের সুদের কারবারিদের দাদন প্রথা যেন বন্ধ করতে সরকার যেন উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি জেলেদের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করে তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে সহযোগিতা করা হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫