Ajker Patrika

শামুক শাঁসে জীবিকা

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা (খুলনা)
শামুক শাঁসে জীবিকা

খুলনার তেরখাদাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় মাছের ঘেরে উৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় শামুকের ভেতরের শাঁস। শামুক ভেঙে ভেতরের এই শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে তেরখাদা উপজেলার শতাধিক পরিবার।

জানা গেছে, উপজেলার তেরখাদা, সাচিয়াদাহ, ছাগলাদাহ, বারাসাত, আজগড়া ও মধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন শত শত বস্তা শামুক কেনাবেচা হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা শামুক বিক্রি হচ্ছে পাঁচ শ থেকে সাড়ে ছয় শ টাকা করে। শামুক বিক্রি করে এলাকার নিম্ন আয়ের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন অন্তত হাজার টাকা কামাই করতে পারছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট ছোট নৌকায় করে ভুতিয়ার বিল, বাসুয়াখালী বিলসহ বিভিন্ন বিল থেকে শামুক কুড়িয়ে আনা হচ্ছে। একেকজন দিনে ৩ থেকে ৪ বস্তা শামুক কুড়াতে পারছেন। ভুতিয়ার বিলের পাড়সহ বিলের পার্শ্ববর্তী সড়কের পাশে শামুক কেনাবেচা করা হয়। স্থানীয় পাইকারেরা এসব শামুক সংগ্রহের পর বস্তাবন্দী করেন।

উপজেলা সদরের কাচিকাটা এলাকার ইমরান শেখ নামের এক ব্যক্তি বলেন, তাঁর অধীনে সাদ-আটজন বিলে শামুক কুড়ান। প্রতি বস্তা শামুকের জন্য তাঁদেরকে দিতে হচ্ছে সাড়ে চার শ টাকা। প্রতি বস্তা শামুক থেকে ইমরান শেখ ৫০ টাকা করে কমিশন পান। গড়ে প্রতিদিন ২৫-৩০ বস্তা শামুক কেনাবেচা করছেন তিনি। তার মতো আরও অনেকেই আছেন বর্ষা মৌসুমে শামুক কেনাবেচা করছেন।

নলিয়ারচর এলাকার আব্দুর রহিম জানান, এসব শামুক ট্রাকে করে খুলনা জেলার বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। ঘের মালিকেরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে চিংড়ির খাবার তৈরি করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে এলাকায় তেমন কোনো কাজ না থাকায় শামুকের বাণিজ্য করছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিনা পুঁজিতে এলাকার অনেকেই সংসারের বাড়তি আয় উপার্জনের জন্য বিভিন্ন জলাশয়ে শামুক কুড়ান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির প্রার্থী বাছাই শেষ হওয়ার পথে

চাল রপ্তানিতে নতুন শর্ত দিল ভারত, বাংলাদেশে কতটা প্রভাব পড়বে

মামুনুরের খোঁজ মেলেনি ৫ দিনেও, ক্লু নেই সিসিটিভি ফুটেজে

নীলক্ষেতে ব্যালট পেপার ছাপানোর অভিযোগ তদন্ত করছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন

বাংলাদেশের বিদায়ে ৪১ বছরে প্রথমবার ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত