স্কুলছাত্রীকে ৩৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, পাচারের চেষ্টা

ভূঞাপুরে ৩৪ দিন আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই ছাত্রীকে ভারত পাচারের উদ্যোগ নেন পাচারকারী দলের সদস্যরা। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে মেয়েটি।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে ট্রাকচালক মাসুম, আসকর মল্লিক, নজরুল মল্লিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে ১৭ অক্টোবর টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘাটাইলের আল আমিনের (২৫) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কোরবানির ঈদের দিন বিকেলে মায়ের সঙ্গে ভূঞাপুরের তেঘরী গ্রামে নানার বাড়ি যায়।

সেখান থেকে আল আমিনের সঙ্গে ঘাটাইলের চেংটা গ্রামে পালিয়ে যায়। আল আমিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সেখানে ২৫ দিন ধর্ষণ করেন। পরে ১৫ আগস্ট আল-আমিন তাকে আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ট্রাকচালক মাসুদের ট্রাকে তুলে দেন।

১৬ আগস্ট ভোর ৫টার দিকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। সেখানে তিন-চারজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁদের আলাপচারিতায় মেয়েটি বুঝতে পারে তাকে ভারতে পাচার করার পরিকল্পনা চলছে। পরে ২৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ওখান থেকে পালিয়ে বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড আসে। সেখান থেকে মেয়েটি পর দিন বাড়িতে আসে।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে বাড়িতে আসার পর স্থানীয় নাগরিকদের ঘটনাটি অবহিত করি। পরে আসামিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে ১০ সেপ্টেম্বর মেয়েকে নিয়ে ভূঞাপুর থানায় অভিযোগ করতে যাই। পুলিশ অভিযোগ শুনে মামলা নেয়নি। তাই আদালতে মামলা করি।’

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, ভূঞাপুর থানায় এমন অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেননি।

মামলার ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী আকবর হোসেন রানা বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো মামলা এখনো আমাদের হাতে আসেনি।’