Ajker Patrika

প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা

ইউশা আসরার
প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মহান আল্লাহর বিশেষ দান। আল্লাহপ্রদত্ত সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে মানুষ প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন করে চলেছে। ফলে বিশ্ব আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা হয়ে উঠেছে সহজ থেকে সহজতর। এ ক্ষেত্রে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, প্রযুক্তির এই নেয়ামত আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যবহার করা, শুদ্ধতা ও নৈতিকতার চর্চা করা এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধ থেকে মুক্ত থাকা।

প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক গ্রহণ করা ইসলামে সম্পূর্ণ বৈধ। তবে এর নেতিবাচক দিকগুলো একজন মুমিনকে অবশ্যই পরিহার করতে হবে। আল্লাহর ভয় ও জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখতে হবে। প্রযুক্তিমাধ্যমে এমন কোনো কাজে জড়ানো যাবে না, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।

মানুষকে অপমান-অপদস্থ করা কঠিন গুনাহ। প্রযুক্তিমাধ্যমে আজকাল সাইবার বুলিং ও মানুষের সম্মানহানি মহামারি আকার ধারণ করেছে। অথচ মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ এবং তোমাদের সম্মান তোমাদের মধ্যে ঠিক তেমনি পবিত্র, যেমন তোমাদের আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর পবিত্র।’ (ইবনে মাজাহ)

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসলাম। অন্যের ব্যক্তিগত গোপন বিষয় জানার চেষ্টাও ইসলামে অনধিকারচর্চা হিসেবে বিবেচিত। সুতরাং হ্যাকিং, ব্যক্তিগত কল রেকর্ড ফাঁসসহ এ ধরনের অন্যান্য বিষয় ইসলামে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) 
প্রতারণা ইসলামের দৃষ্টিতে কঠিন অপরাধ। আজকাল ই-কমার্স সাইটগুলো যেন প্রতারণার ভয়ানক ফাঁদে পরিণত হয়েছে। একজন মুমিন কখনোই প্রতারণা করতে পারে না। ইসলাম সৎ ও হালাল ব্যবসায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)

অশ্লীলতা ও যৌনতার সব উপকরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা আজকের সামাজিক অবক্ষয়ের প্রধান কারণ। তা থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার পছন্দ করে, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)

গুজব ছড়ানো বড় গুনাহের কাজ। যাচাই-বাছাই না করে আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু প্রচার করা ইসলাম সমর্থন করে না। শোনা কথা প্রচার করা মিথ্যার শামিল। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যা শুনবে তা-ই (যাচাই-বাছাই না করে) বলে দেওয়া মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম)

এ ছাড়া অন্যায়কে সমর্থন করা, অশালীন মন্তব্য করা এবং গালিগালাজ করা ইসলামে বড় গুনাহের কাজ। এগুলো থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, প্রতিটি কথার জন্যই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা যা করছি, সবকিছুই মহান আল্লাহর নজরদারিতে রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য তৎপর প্রহরী তার কাছেই রয়েছে।’ (সুরা কাফ: ১৮) 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত