Ajker Patrika

ভোলায় ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর

শিমুল চৌধুরী, ভোলা
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ২৭
ভোলায় ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর

ভোলার ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রকোপ। বাড়ছে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগ। শিশুরাই বেশি ভুগছে এসব অসুখে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন মাসের এক শিশু গত সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।

আবহাওয়া পরিবর্তের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের কুসুম গরম পানি পান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

ভোলা সদর উপজেলার যুগিরঘোল এলাকার গৃহবধূ মুজিযা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর তিন ছেলে-মেয়ে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছে। তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর পরামর্শে ওষুধ দিচ্ছেন ছেলে-মেয়েদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। তাই তিনি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাননি।

ভোলা পৌরসভার উকিল পাড়ার বাসিন্দা মালেকুর রহমান ও জালাল আকবরী শিবলী জানান, কয়েক দিন ধরে শীত পড়ছে। বিশেষ করে ভোরে বেশ ঠান্ডা অনুভব করেন। সকালে কুয়াশা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন ধরে সর্দি, জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথায় ভুগছেন তাঁরা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘরে থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোটামুটি ভালো আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতি পরিবারের কেউ না কেউ সর্দি, জ্বর ও কাশিসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অন্তত ২০০ শিশু। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ৫৯ জন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইয়ামিন নামে তিন মাস বয়সী এক শিশু গত সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে শিশু রোগীর চাপ একটু বেশি। গত অক্টোবর মাসে শিশু ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয় ৭৭৮ জন রোগী। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ১৩৭ জন। চলতি মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৮। তাঁরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। ২৫টি শয্যা ও সাতটি কেবিনে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫৩ রোগী। গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশু রোগীদের। একটি শয্যায় দুজন কিংবা তারও বেশি শিশুকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি, জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভোলার সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, শীতের এ সময়ে সাধারণত সব জায়গায়ই শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এটি প্রতি বছর এই মৌসুমে ঘটে। এতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এ জন্য শিশুদের গরম কাপড় পরাতে হবে। তাদের কুসুম গরম পানি পান করাতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। ঘরের বাইরে বাতাসে কম যাতায়াত করতে হবে। এ বিষয়ে শিশুর মা-বাবাদের অধিক সতর্ক ও সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের যৌন সহিংসতার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে তুললেন ভারতীয় দূত

কেশবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বর্ণের কারিগরসহ দুই ব্যক্তি নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত