Ajker Patrika

হাটে ধানের সংকটে বাড়ছে দাম, প্রভাব পড়ছে চালে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৩: ১৯
হাটে ধানের সংকটে বাড়ছে দাম, প্রভাব পড়ছে চালে

ভরা মৌসুমেও ধানের সংকট কাটছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ধানের হাটে। আর এ সংকটের কারণে বিশেষ করে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধানের দাম বাড়ছে।

সব ধরনের ধান মণপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে চালের বাজারেও। হাটের ধান ও চালের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাওর এলাকায় বন্যায় বোরো ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই হাটে ধান আসছে কম।

এই সংকট থেকে উত্তরণে আসন্ন আমন মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, বাজারে ধান-চালের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত আছে। অতিরিক্ত মজুত রাখার দায়ে ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

ভিওসি ঘাটের হাটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘাটের এই হাট পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের হাট। এই হাটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের হাওর এলাকার উৎপাদিত ধান কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নৌকায় করে নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা। এসব ধান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চালকলগুলোতে যায়। এখানকার চালকলগুলো থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে চাল সরবরাহ করা হয়। ধানের মৌসুমে হাটে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়। এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে।

হাটে এখন প্রতি মণ বিআর-২৮ জাতের ধান ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা, বিআর-২৯ ধান ১০৮০ থেকে ১১০০ টাকা এবং মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়। ধানের দাম বাড়তে থাকায় চালের দামও বেড়েছে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায়। বিআর-২৯ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৪৫০ টাকা এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা বস্তা। ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে চালের দাম বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আশুগঞ্জের চাল ব্যবসায়ী হাছান ইমরান বলেন, ধানের দাম বাড়ায় কম দরে চাল বিক্রি করা যাচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় হাটে ধানের আমদানি কম। এতে করে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে ধানের দাম।

চালকলমালিকেরা বলছেন, হাওর এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। হাটে মানসম্পন্ন ধান আসছে কম। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আসন্ন আমন মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চাতাল কল মালিক সমিতির বাবুল আহম্মেদ বলেন, ‘শুধু আমাদের অটো রাইস মিলগুলোতেই প্রতিদিন অন্তত ১ লাখ মণ ধানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাটে সেই পরিমাণ ধান পাচ্ছি না। স্বাভাবিকভাবেই ধানের সংকট এবং দাম বাড়ার কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মুস্তফা বলেন, ‘বাজারে ধান-চালের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। অতিরিক্ত মজুত রাখার দায়ে ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবার পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

পাবনায় বজ্রপাতে ফেটে চিরে গেল মেহগনিগাছ

ঈদুল আজহার ছুটি ১০ দিন

এনসিপি নেতা সারওয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি: শহিদুল আলম

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত