সম্পাদকীয়
এ কথা হয়তো কারোরই আজ অজানা নয় যে রাসায়নিক পদার্থের ক্ষমতা কতটা ব্যাপক। এই রাসায়নিক পদার্থ দিয়েই তৈরি করা হয়েছিল পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়ার মতো পারমাণবিক অস্ত্র। এর একটি নমুনা আমরা জানতে পারি ইতিহাস থেকে—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে ছাই হয়ে যায় শহর দুটি।
বোমার আঘাতে মারা গেছে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু শুধু বোমার তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়েও পরবর্তী সপ্তাহ, মাস, বছর ধরে মারা গেছে আরও বহু মানুষ। যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরা শুধু মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়েই জীবন পার করেননি, শারীরিক কষ্টও করেছেন।
তাদের মধ্যে লিউকেমিয়া ও অন্যান্য রোগও ধীরে ধীরে বেড়ে গিয়েছিল। শারীরিক সমস্যার প্রভাব পড়েছিল নবজাতক শিশুদের মধ্যেও।যাই হোক, এ কথা এখানে মনে পড়ার কারণ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ। খবরটি থেকে জানা যাচ্ছে, বেনাপোল বন্দরে উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে রাসায়নিক বর্জ্য। এতে করে বন্দর ব্যবহারকারী এবং আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন, বলছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। তারা বারবার অভিযোগ করেও এই বর্জ্য অপসারণ করাতে পারেনি।
শিল্পকারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে আমদানি করা হয় রাসায়নিক পদার্থ। এগুলোর বেশির ভাগ দেশে প্রবেশ করে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে। কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ অনেক বেশি বিপজ্জনক হওয়ায় সেসব থেকে প্রায়ই আগুন ধরে যায়। কখনো এগুলো থাকে বহনকারী ট্রাকে, আবার কখনো থাকে গুদামে। সেখানেই তেজস্ক্রিয় হয়ে আগুন লাগে। গত দশ বছরে বেনাপোল বন্দরে ছোট-বড় মিলিয়ে সাতটি ঘটনা ঘটেছে এভাবে আগুন লাগার। এসব অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সেগুলোই বছরের পর বছর বন্দরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে! এখন পর্যন্ত এসব বর্জ্য নিরাপদ কোনো জায়গায় সরানো হয়নি। এবং এসব বন্দরকে অনিরাপদ করে তুলেছে।
বন্দরে পণ্য খালাসের সময় জায়গার সংকট হচ্ছে এসব বর্জ্যের কারণে। বর্জ্যের ধুলা মিশে যাচ্ছে বাতাসে। বৃষ্টি হলে এসব বর্জ্যসহ পানি গিয়ে পড়ছে জনবসতি এলাকার পুকুরে। এতে করে পুকুর ব্যবহারকারীদের চর্মরোগসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনই মত বেনাপোল ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ কুমার সরকারের। তিনি বলছেন, রাসায়নিক বর্জ্য বাতাসে মিশে বিষক্রিয়ায় চুলকানিসহ স্কিন ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সে কথা তো না বললেও বোঝা যায়।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করছে না। তবে আইনি জটিলতার কারণে নাকি সেখান থেকে বর্জ্য সরানো যাচ্ছে না। আমরা জানি না কী সেই আইনগত জটিলতা। শুধু এটুকু বিশ্বাস রাখতে চাই যে, ডাক্তার আসার পূর্বে রোগী যেন না মরে। অর্থাৎ, বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার আগেই যেন সেখান থেকে রাসায়নিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
এ কথা হয়তো কারোরই আজ অজানা নয় যে রাসায়নিক পদার্থের ক্ষমতা কতটা ব্যাপক। এই রাসায়নিক পদার্থ দিয়েই তৈরি করা হয়েছিল পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়ার মতো পারমাণবিক অস্ত্র। এর একটি নমুনা আমরা জানতে পারি ইতিহাস থেকে—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে ছাই হয়ে যায় শহর দুটি।
বোমার আঘাতে মারা গেছে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু শুধু বোমার তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়েও পরবর্তী সপ্তাহ, মাস, বছর ধরে মারা গেছে আরও বহু মানুষ। যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরা শুধু মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়েই জীবন পার করেননি, শারীরিক কষ্টও করেছেন।
তাদের মধ্যে লিউকেমিয়া ও অন্যান্য রোগও ধীরে ধীরে বেড়ে গিয়েছিল। শারীরিক সমস্যার প্রভাব পড়েছিল নবজাতক শিশুদের মধ্যেও।যাই হোক, এ কথা এখানে মনে পড়ার কারণ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ। খবরটি থেকে জানা যাচ্ছে, বেনাপোল বন্দরে উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে রাসায়নিক বর্জ্য। এতে করে বন্দর ব্যবহারকারী এবং আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন, বলছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। তারা বারবার অভিযোগ করেও এই বর্জ্য অপসারণ করাতে পারেনি।
শিল্পকারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে আমদানি করা হয় রাসায়নিক পদার্থ। এগুলোর বেশির ভাগ দেশে প্রবেশ করে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে। কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ অনেক বেশি বিপজ্জনক হওয়ায় সেসব থেকে প্রায়ই আগুন ধরে যায়। কখনো এগুলো থাকে বহনকারী ট্রাকে, আবার কখনো থাকে গুদামে। সেখানেই তেজস্ক্রিয় হয়ে আগুন লাগে। গত দশ বছরে বেনাপোল বন্দরে ছোট-বড় মিলিয়ে সাতটি ঘটনা ঘটেছে এভাবে আগুন লাগার। এসব অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সেগুলোই বছরের পর বছর বন্দরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে! এখন পর্যন্ত এসব বর্জ্য নিরাপদ কোনো জায়গায় সরানো হয়নি। এবং এসব বন্দরকে অনিরাপদ করে তুলেছে।
বন্দরে পণ্য খালাসের সময় জায়গার সংকট হচ্ছে এসব বর্জ্যের কারণে। বর্জ্যের ধুলা মিশে যাচ্ছে বাতাসে। বৃষ্টি হলে এসব বর্জ্যসহ পানি গিয়ে পড়ছে জনবসতি এলাকার পুকুরে। এতে করে পুকুর ব্যবহারকারীদের চর্মরোগসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনই মত বেনাপোল ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ কুমার সরকারের। তিনি বলছেন, রাসায়নিক বর্জ্য বাতাসে মিশে বিষক্রিয়ায় চুলকানিসহ স্কিন ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সে কথা তো না বললেও বোঝা যায়।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করছে না। তবে আইনি জটিলতার কারণে নাকি সেখান থেকে বর্জ্য সরানো যাচ্ছে না। আমরা জানি না কী সেই আইনগত জটিলতা। শুধু এটুকু বিশ্বাস রাখতে চাই যে, ডাক্তার আসার পূর্বে রোগী যেন না মরে। অর্থাৎ, বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার আগেই যেন সেখান থেকে রাসায়নিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫