আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বাজারে যেন প্রতিযোগিতা করে বাড়ানো হচ্ছে ওষুধের দাম। গত এক-দেড় মাসে কোনো কোনো ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এসব ওষুধের প্রায় সবই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও বেশি ব্যবহৃত ওষুধ। উৎপাদকেরা অবশ্য দামের এই পরিবর্তনকে ‘বাড়ানো’ বলতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের আলিফ-লাম-মিম মডেল ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধি ফার্মাসিস্ট পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ট্রুপান (প্যানটোপ্রাজল সোডিয়াম সেসকুইহাইড্রেট) ২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৫ টাকা। বর্তমানে এর দাম ৬ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ বেড়েছে ২৬ শতাংশের বেশি।
দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিমুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওষুধের দাম বাড়ানোর সময় এসেছে। কোনো কোনো কোম্পানি দাম সমন্বয় করেছে। হয় দাম বাড়াতে হবে, অথবা উৎপাদন বন্ধ রাখতে হবে।’ ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চালু ৩,৯৪৭টি জেনেরিক ওষুধের মধ্যে মাত্র ১১৭টির মূল্য স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি নির্ধারণ করে দেয়। অবশিষ্ট সব ওষুধ উৎপাদকেরা নিজ পছন্দেই দাম নির্ধারণ করে। তারা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নামকাওয়াস্তে অনুমোদন নেয়। কেবলমাত্র ভ্যাট পরিশোধ সম্পর্কিত বিষয় থাকে বলে তাদের এ অনুমোদন নিতে হয়।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে কোনো একটি কোম্পানি কোনো ওষুধের দাম বাড়ানোর জন্য অনুমোদন চেয়ে অধিদপ্তরে আবেদন করে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর অন্য কোম্পানিগুলোও একই পথ অনুসরণ করে দাম বাড়ান। ওষুধের দাম বাড়ানোর এই পদ্ধতি বহুদিন ধরে চর্চা করা হচ্ছে। আর ঔষধ প্রশাসনও এতে সহজে সায় দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড ও বাবুবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির প্রতিটি মিলাম ৭.৫ মিলিগ্রামের (জেনেরিক মিডাজোলাম) একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ১০ টাকা। বর্তমানে সেটি দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ টাকা। একইভাবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পেট ফাঁপা রোগের জন্য ব্যবহৃত ওমিডন (জেনেরিক ডমপিরিডন) সিরাপের দাম ছিল ৩৫ টাকা। বর্তমানে সেটি ৪০ টাকা করা হয়েছে। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির হৃদ্রোগের জন্য ব্যবহৃত ই-ক্যাপ ৪০০ মিলিগ্রামের ক্যাপসুলের দাম ছিল ৬ টাকা। বর্তমানে সেটি ৭ টাকা। একই কোম্পানির হাইপারটেনশন রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ডিসারটন ৫/২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৮ টাকা। বর্তমানে সেটি ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের স্টেরয়েড ওষুধ ডেফ্লাকর্ট ৬ মিলির একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৮ টাকা। এখন এর দাম ৯ টাকা ৫০ পয়সা। হৃদ্রোগের জন্য ব্যবহৃত ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ফিলনর (জেনেরিক ট্রিমেটাজিডিন) এমআর ট্যাবলেটের দাম ছিল ৫ টাকা। এখন তা ৬ টাকা।
বহুল ব্যবহৃত ওষুধের দাম হঠাৎ করে বাড়ানো উচিত না বলে মনে করেন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) পরিচালক জাকির হোসেন রনি। তিনি বলেন, যখন কোনো ওষুধের দামের ক্ষেত্রে বেশি পার্থক্য থাকে, তখন সেটি নকল-ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ জন্য একই ওষুধের দামে বেশি পার্থক্য থাকা উচিত না।
তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো দাম সমন্বয়ের কথা মুখে বললেও মূলত দাম বাড়ানোর জন্যই আবেদন করে। তবে কেউ অনুমোদনবিহীন দাম বাড়িয়েছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেছেন, কোম্পানিগুলো চাইলেই নিজেরা দাম বাড়াতে পারে না। তারা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করলে তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মূল্য নির্ধারণ কমিটিতে আলোচনা হয়। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অধিদপ্তর দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয়। তবে এই কমিটিতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সদস্য রাখা হয়। সাধারণত দাম বাড়ানোর পক্ষেই মত দেন তাঁরা।
কমিটির সদস্য কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ঢাকা জেলা সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস খান বলেন, কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর জন্য তথ্য-উপাত্তসহ প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে বিচার-বিশ্লেষণ করে দাম বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে দাম যাতে না বাড়ে সে ব্যাপারে ক্যাবের পক্ষ থেকে ভূমিকা রাখা হয় বলে তিনি দাবি করেন।
বাজারে যেন প্রতিযোগিতা করে বাড়ানো হচ্ছে ওষুধের দাম। গত এক-দেড় মাসে কোনো কোনো ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এসব ওষুধের প্রায় সবই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও বেশি ব্যবহৃত ওষুধ। উৎপাদকেরা অবশ্য দামের এই পরিবর্তনকে ‘বাড়ানো’ বলতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের আলিফ-লাম-মিম মডেল ফার্মেসির বিক্রয় প্রতিনিধি ফার্মাসিস্ট পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ট্রুপান (প্যানটোপ্রাজল সোডিয়াম সেসকুইহাইড্রেট) ২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৫ টাকা। বর্তমানে এর দাম ৬ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ বেড়েছে ২৬ শতাংশের বেশি।
দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিমুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওষুধের দাম বাড়ানোর সময় এসেছে। কোনো কোনো কোম্পানি দাম সমন্বয় করেছে। হয় দাম বাড়াতে হবে, অথবা উৎপাদন বন্ধ রাখতে হবে।’ ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চালু ৩,৯৪৭টি জেনেরিক ওষুধের মধ্যে মাত্র ১১৭টির মূল্য স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি নির্ধারণ করে দেয়। অবশিষ্ট সব ওষুধ উৎপাদকেরা নিজ পছন্দেই দাম নির্ধারণ করে। তারা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নামকাওয়াস্তে অনুমোদন নেয়। কেবলমাত্র ভ্যাট পরিশোধ সম্পর্কিত বিষয় থাকে বলে তাদের এ অনুমোদন নিতে হয়।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে কোনো একটি কোম্পানি কোনো ওষুধের দাম বাড়ানোর জন্য অনুমোদন চেয়ে অধিদপ্তরে আবেদন করে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর অন্য কোম্পানিগুলোও একই পথ অনুসরণ করে দাম বাড়ান। ওষুধের দাম বাড়ানোর এই পদ্ধতি বহুদিন ধরে চর্চা করা হচ্ছে। আর ঔষধ প্রশাসনও এতে সহজে সায় দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড ও বাবুবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির প্রতিটি মিলাম ৭.৫ মিলিগ্রামের (জেনেরিক মিডাজোলাম) একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ১০ টাকা। বর্তমানে সেটি দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ টাকা। একইভাবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পেট ফাঁপা রোগের জন্য ব্যবহৃত ওমিডন (জেনেরিক ডমপিরিডন) সিরাপের দাম ছিল ৩৫ টাকা। বর্তমানে সেটি ৪০ টাকা করা হয়েছে। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির হৃদ্রোগের জন্য ব্যবহৃত ই-ক্যাপ ৪০০ মিলিগ্রামের ক্যাপসুলের দাম ছিল ৬ টাকা। বর্তমানে সেটি ৭ টাকা। একই কোম্পানির হাইপারটেনশন রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ডিসারটন ৫/২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৮ টাকা। বর্তমানে সেটি ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের স্টেরয়েড ওষুধ ডেফ্লাকর্ট ৬ মিলির একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৮ টাকা। এখন এর দাম ৯ টাকা ৫০ পয়সা। হৃদ্রোগের জন্য ব্যবহৃত ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ফিলনর (জেনেরিক ট্রিমেটাজিডিন) এমআর ট্যাবলেটের দাম ছিল ৫ টাকা। এখন তা ৬ টাকা।
বহুল ব্যবহৃত ওষুধের দাম হঠাৎ করে বাড়ানো উচিত না বলে মনে করেন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) পরিচালক জাকির হোসেন রনি। তিনি বলেন, যখন কোনো ওষুধের দামের ক্ষেত্রে বেশি পার্থক্য থাকে, তখন সেটি নকল-ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ জন্য একই ওষুধের দামে বেশি পার্থক্য থাকা উচিত না।
তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো দাম সমন্বয়ের কথা মুখে বললেও মূলত দাম বাড়ানোর জন্যই আবেদন করে। তবে কেউ অনুমোদনবিহীন দাম বাড়িয়েছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেছেন, কোম্পানিগুলো চাইলেই নিজেরা দাম বাড়াতে পারে না। তারা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করলে তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মূল্য নির্ধারণ কমিটিতে আলোচনা হয়। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অধিদপ্তর দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয়। তবে এই কমিটিতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সদস্য রাখা হয়। সাধারণত দাম বাড়ানোর পক্ষেই মত দেন তাঁরা।
কমিটির সদস্য কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ঢাকা জেলা সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস খান বলেন, কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর জন্য তথ্য-উপাত্তসহ প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে বিচার-বিশ্লেষণ করে দাম বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে দাম যাতে না বাড়ে সে ব্যাপারে ক্যাবের পক্ষ থেকে ভূমিকা রাখা হয় বলে তিনি দাবি করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫