ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশকে হাত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে চলছে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলছে এসব যানবাহন। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। মারা যাচ্ছেন যাত্রী, চালক ও সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী কালামোড়া সেতু পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার এলাকা খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধীনে। এই দুই মহাসড়কে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশকে হাত করে চলাচল করছে অটোরিকশা। এর মধ্যে অধিকাংশই অটোরিকশা নিবন্ধনবিহীন। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজিচালক ও মালিক জানান, সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত প্রতিটি অটোরিকশা মাসিক টোকেনের মাধ্যমে মহাসড়কে চলাচল করে। ফলে তাঁদের মহাসড়কে চলাচলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে মাসোহারা না দিলে অটোরিকশা আটকে দেয় হাইওয়ে পুলিশ। তখন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে হয়।
সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বৈশামুড়ায় নম্বরবিহীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয় ট্রাক। এতে ইটভাটার তিনজন শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার আগে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের বাহাদুরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই নিহত হন। একই দিন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের রামরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হন একজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি মালিক সমিতির সহসভাপতি কাজী মনির বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আমরা চালকদের মহাসড়কে গাড়ি চালাতে নিষেধ করি। এরপরও চালকেরা পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে হাইওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছেন। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।’
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও ট্রাক্টরের বিষয়ে উচ্চ আদালত এবং মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরও হাইওয়েতে থ্রি হুইলার ও ট্রাক্টর চলাচল থেমে নেই। এতে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল করতে সমস্যা হয়, ঘটছে দুর্ঘটনা। আমরা এ নিয়ে আন্দোলন করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কয়েক দিন লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে এসব যানবাহন আটক করে। কিন্তু পরে আবার ঠিকই মহাসড়কে চলে থ্রি হুইলার।’
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের বিষয়টি স্বীকার করে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ১৭ ডিসেম্বর তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক, চালক ও ট্রাকমালিকের বিরুদ্ধে।’
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কে নিবন্ধন থাকুক বা না থাকুক, কোনো অবস্থাতেই সিএনজি চলতে পারবে না। এ ছাড়া নিবন্ধনবিহীন সিএনজি কীভাবে মহাসড়কে চলল এবং দুর্ঘটনা হলো তার জবাবদিহি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে (ওসি) করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়েতে অটোরিকশা চলাচল নিয়ে এরই মধ্যে ওসিকে শোকজ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে। জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। বিষয়টি শক্তভাবে দেখা হবে।’
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশকে হাত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে চলছে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলছে এসব যানবাহন। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। মারা যাচ্ছেন যাত্রী, চালক ও সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী কালামোড়া সেতু পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার এলাকা খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধীনে। এই দুই মহাসড়কে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশকে হাত করে চলাচল করছে অটোরিকশা। এর মধ্যে অধিকাংশই অটোরিকশা নিবন্ধনবিহীন। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজিচালক ও মালিক জানান, সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত প্রতিটি অটোরিকশা মাসিক টোকেনের মাধ্যমে মহাসড়কে চলাচল করে। ফলে তাঁদের মহাসড়কে চলাচলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে মাসোহারা না দিলে অটোরিকশা আটকে দেয় হাইওয়ে পুলিশ। তখন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে হয়।
সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বৈশামুড়ায় নম্বরবিহীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয় ট্রাক। এতে ইটভাটার তিনজন শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার আগে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের বাহাদুরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই নিহত হন। একই দিন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের রামরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হন একজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি মালিক সমিতির সহসভাপতি কাজী মনির বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আমরা চালকদের মহাসড়কে গাড়ি চালাতে নিষেধ করি। এরপরও চালকেরা পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে হাইওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছেন। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।’
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও ট্রাক্টরের বিষয়ে উচ্চ আদালত এবং মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরও হাইওয়েতে থ্রি হুইলার ও ট্রাক্টর চলাচল থেমে নেই। এতে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল করতে সমস্যা হয়, ঘটছে দুর্ঘটনা। আমরা এ নিয়ে আন্দোলন করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কয়েক দিন লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে এসব যানবাহন আটক করে। কিন্তু পরে আবার ঠিকই মহাসড়কে চলে থ্রি হুইলার।’
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের বিষয়টি স্বীকার করে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ১৭ ডিসেম্বর তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক, চালক ও ট্রাকমালিকের বিরুদ্ধে।’
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কে নিবন্ধন থাকুক বা না থাকুক, কোনো অবস্থাতেই সিএনজি চলতে পারবে না। এ ছাড়া নিবন্ধনবিহীন সিএনজি কীভাবে মহাসড়কে চলল এবং দুর্ঘটনা হলো তার জবাবদিহি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে (ওসি) করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়েতে অটোরিকশা চলাচল নিয়ে এরই মধ্যে ওসিকে শোকজ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে। জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। বিষয়টি শক্তভাবে দেখা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪