Ajker Patrika

ত্বিন ফলের বাণিজ্যিক চাষে স্বপ্ন বুনছেন মামুন

সখীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ২০
ত্বিন ফলের বাণিজ্যিক চাষে  স্বপ্ন বুনছেন মামুন

ত্বিন ফলের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে সখীপুরে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ত্বিন ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জাবিদ আল মামুন। তাঁর বাড়ি উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামে। ২০১৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স শেষ করে চাকরির স্বপ্ন দেখছিলেন মামুন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি তাঁর সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। পরে উদ্যোক্তা হয়ে নিজেই কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। মাত্র দুই বিঘা জমিতে ত্বিন ফলের চাষ করে এখন তিনি একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা।

সরেজমিনে উদ্যোক্তা জাবিদ আল মামুনের ত্বিন ফলের বাগানে দেখা যায়, চারা রোপণের মাত্র ছয় মাসের মাথায় প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ গাছে কলম দেওয়া হয়েছে, চলছে কলম চারা বিক্রিরও প্রস্তুতি। প্রতি কেজি ফল বিক্রি করছেন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

জাবিদ আল মামুন জানান, গাজীপুর থেকে ত্বিন ফলের চারা এনে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর বাড়ির সামনে এক বিঘা ও পার্শ্ববর্তী এক বিঘা জমির বাগানে এক হাজার গাছ রয়েছে। প্রতিটি চারার দাম পড়েছিল পাঁচশত টাকা করে। প্রতিটি গাছেই আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল সবার দৃষ্টি কেড়েছে। পবিত্র কোরআনের আত-ত্বিন সুরায় বর্ণিত মরুভূমির এই মিষ্টি ফল ত্বিনের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন বাগান দেখতে আসেন।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি গাছ থেকে প্রথম বছরেই তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ফল তোলা যায়। পরিপূর্ণ বড় গাছে বছরে ২৫ কেজি পর্যন্ত ফল ধরে। ত্বিন চাষে বেকারত্ব দূরের পাশাপাশি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাও দেখছেন এই উদ্যোক্তা। ত্বিন বাগান ও চাষ পদ্ধতি জানতে চাষি, সাধারণ মানুষ বাগানটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিদর্শনে আসা বিভিন্ন চাষি ও সাধারণ মানুষ ত্বিন ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

মামুনের বাগানে আসা দর্শনার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে এই ফলের নাম শুনেছি। গাছ এবং ফল দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হলো। সখীপুরে এটিই প্রথম ত্বিন ফলের বাগান। ফল এবং সবুজ গাছগুলো দেখে মন ভরে গেছে। অনেকেই এখন এ রকম একটা বাগান করার ইচ্ছা পোষণ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, ‘সখীপুরে এটিই প্রথম ত্বিন ফলের বাগান। আমরা বাগানটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। রোগবালাই নেই বললেই চলে। দেশের প্রচারমাধ্যমে ত্বিন ফলের চাষ কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে এবং এটি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে ত্বিনের আমদানিনির্ভরতা কমে আসার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বাড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত