Ajker Patrika

ইংলিশরা তীব্র চাপ সামলাতে জানে

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১: ৪৫
ইংলিশরা তীব্র চাপ সামলাতে জানে

কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে, এমন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা বোধ হয় ইংল্যান্ডকে নিয়েই। নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা তো দিতে পারছে না, তবু বিশ্বকাপ স্বপ্ন দেখছে তাদের দেশ। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চাপে বোধ হয় ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটই। কয়েক বছর ধরেই ‘ইটস কামিং হোম’ জপে জপে স্লোগানটা দলের ইংলিশদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষার স্লোগান হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার কি ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে?

ইংলিশদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে ফ্রান্সের ক্ষুরধার ও দ্রুতগতির দুই ফরোয়ার্ডকে আগে রুখতে হবে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন ইংলিশ কোচ সাউথগেট। তিনি বলেছেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুধু জায়গা কভার করলেই ম্যাচ জেতা যায় না। আরও বেশি কিছু করতে হয়।’ তবে নিজেদের সক্ষমতার প্রতি আস্থা আছে ইংলিশ কোচের। দল ভালো কিছু করবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বলের দখল নিয়ে আমরা ভালো কিছু করতে পারব। আমাদের লক্ষ্যই সেটা।’

২০২০ ইউরোর ফাইনাল দিয়েই ইংল্যান্ড ৫৫ বছর পর কোনো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেও ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি সাউথগেটের দল। এটা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছে তারা। এবার সেই গেরো খুলতে উন্মুখ ইংলিশরা। ‘আমরা ৫৫ বছর পর ফাইনাল খেলেছিলাম (২০২০ ইউরোতে)। সেখানে সেমিফাইনালে জিততে পারলেও বিশ্বকাপে পারিনি’—বলছিলেন সাউথগেট। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল যেতে হলে যে বড় দলের বিপক্ষেই জিততে হয়, অজানা নয় সাউথগেটের। এটা করা সামর্থ্য আছে বলেও মনে করেন তিনি, ‘আমরা অনেক বড় বড় দলকে হারিয়েছি। কীভাবে বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে হয়, সে অভিজ্ঞতা দলের আছে। তারা সব দিক থেকেই প্রস্তুত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে।’

 মাঠে নামলে ইতিহাস যে খুব একটা কাজে লাগে না, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন সাউথগেট। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইংলিশ কোচ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে বড় ম্যাচ, সর্বোচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। অতীতে যা হয়েছে সেসব ভুলে যেতে হবে। সব মনোযোগই দিতে হবে শনিবার (আজ) রাতের ম্যাচে।’

আজ রাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব ইংলিশ গণমাধ্যম। তাদের দাবি, বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটের মিছিলে থাকা এমবাপ্পে এবং ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক অলভিয়ের জিরুকে ঠেকানো ইংলিশদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। তবে কাজটা এত সহজ নয় বলে মনে করেন ইংলিশ কোচ, ‘এই পর্যায়ে তারা সব ম্যাচে একইভাবে খেলছে, কিন্তু আমাদেরও জেতার ক্ষমতা আছে। আর সেটা করে দেখাতে চাই।’

সেই জয়টাই দেখতে চায় ইংলিশ ফুটবলের ভক্তরা। ৫৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে ইংলিশদের যে আর মাত্র দুই ম্যাচের বাধা। আর এই বড় বড় বাধা যদি পেরিয়েই যায় তারা, ইংলিশদের ‘ইটস কামিং হোম’ নিয়ে আর কেউ রসিকতা করতে পারবে না!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত