শাহীন রহমান, পাবনা
এক দশক ধরে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত কমপক্ষে ১০টি কালভার্ট ও সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন, তবুই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
এ ছাড়া যথাযথ দেখাভালের অভাবে রেললাইনের ক্লিপ-হুক চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চুরি হওয়া ক্লিপ-হুকও লাগানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না রেললাইন কর্তৃপক্ষ। ফলে শতবছরের পুরোনো রেলপথে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।
সিলেট রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রতিদিন রেললাইনের ক্লিপ ও অন্যান যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। যে কালভার্ট ও সেতু ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থ নেবেন।’
সেতু ও কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সংস্কার না হওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। সবশেষ ২০১৮ সালের ১৩ জুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ছাড়া রেলপথ ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় লাউয়াছড়া উদ্যানের পাহাড়ি এলাকায় একাধিকবার ট্রেন আটকা পড়ে। দুই বছর আগে প্রবল বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলে লাউয়াছড়া এলাকায় ১৫৭ নম্বর সেতুতে মাটি ধসে পড়ে। এতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেন যোগাযোগ ১৩ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত স্থান রেললাইন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক স্থানে রেললাইনের স্লিপারে নেই ক্লিপার, নাট-বল্টু, কোথাও স্টিলের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে লাইনের মেরামত করা হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার পরও লাগানো হচ্ছে না।
সেকশনের শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা ও কুলাউড়া স্টেশনের মাঝে অনেক স্থানে ক্লিপ-হুক নেই। ক্লিপ, হুক, ফিশপ্লেটসহ লোহার যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়তি। তবুও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে রেলপথে ক্লিপ, হুক, নাট-বল্টু চুরি হচ্ছে। শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা এলাকার একটি চক্র নিয়মিত এসব যন্ত্রাংশ চুরি করে। চুরি হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ দ্রুত লাগানোর নিয়ম থাকলেও দু-একটি জায়গায় লাগানো হয়।
ভানুগাছ স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব স্টেশনে। রেলপথ দেখাশোনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তবে স্টেশন এলাকা বা রেলপথে পাথর কমে যাওয়া, ক্লিপ, হুক চুরির কথা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলস্থ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) গুলজার আহমদ বলেন, ‘আমরা রেলপথে হুক, ক্লিপ নিয়মিত লাগিয়ে থাকি। সেগুলো আবার চুরি হয়ে যায়। সেগুলো দ্রুতই লাগানোর চেষ্টা করি। তা ছাড়া রেলপথে যেসব স্থানে পাথর কমে গেছে, সেখানে পাথর ফেলা হবে। আর পাহাড়ি এলাকায় গাছ ভেঙে পড়লে রেললাইনে ঝুঁকি বাড়ে।’
এক দশক ধরে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত কমপক্ষে ১০টি কালভার্ট ও সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন, তবুই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
এ ছাড়া যথাযথ দেখাভালের অভাবে রেললাইনের ক্লিপ-হুক চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চুরি হওয়া ক্লিপ-হুকও লাগানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না রেললাইন কর্তৃপক্ষ। ফলে শতবছরের পুরোনো রেলপথে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।
সিলেট রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রতিদিন রেললাইনের ক্লিপ ও অন্যান যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। যে কালভার্ট ও সেতু ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থ নেবেন।’
সেতু ও কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সংস্কার না হওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। সবশেষ ২০১৮ সালের ১৩ জুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ছাড়া রেলপথ ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় লাউয়াছড়া উদ্যানের পাহাড়ি এলাকায় একাধিকবার ট্রেন আটকা পড়ে। দুই বছর আগে প্রবল বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলে লাউয়াছড়া এলাকায় ১৫৭ নম্বর সেতুতে মাটি ধসে পড়ে। এতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেন যোগাযোগ ১৩ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত স্থান রেললাইন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক স্থানে রেললাইনের স্লিপারে নেই ক্লিপার, নাট-বল্টু, কোথাও স্টিলের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে লাইনের মেরামত করা হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার পরও লাগানো হচ্ছে না।
সেকশনের শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা ও কুলাউড়া স্টেশনের মাঝে অনেক স্থানে ক্লিপ-হুক নেই। ক্লিপ, হুক, ফিশপ্লেটসহ লোহার যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়তি। তবুও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে রেলপথে ক্লিপ, হুক, নাট-বল্টু চুরি হচ্ছে। শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা এলাকার একটি চক্র নিয়মিত এসব যন্ত্রাংশ চুরি করে। চুরি হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ দ্রুত লাগানোর নিয়ম থাকলেও দু-একটি জায়গায় লাগানো হয়।
ভানুগাছ স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব স্টেশনে। রেলপথ দেখাশোনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তবে স্টেশন এলাকা বা রেলপথে পাথর কমে যাওয়া, ক্লিপ, হুক চুরির কথা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলস্থ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) গুলজার আহমদ বলেন, ‘আমরা রেলপথে হুক, ক্লিপ নিয়মিত লাগিয়ে থাকি। সেগুলো আবার চুরি হয়ে যায়। সেগুলো দ্রুতই লাগানোর চেষ্টা করি। তা ছাড়া রেলপথে যেসব স্থানে পাথর কমে গেছে, সেখানে পাথর ফেলা হবে। আর পাহাড়ি এলাকায় গাছ ভেঙে পড়লে রেললাইনে ঝুঁকি বাড়ে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫