Ajker Patrika

সেতু ঝুঁকিপূর্ণ, নেই সংস্কার

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৩১
সেতু ঝুঁকিপূর্ণ, নেই সংস্কার

এক দশক ধরে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত কমপক্ষে ১০টি কালভার্ট ও সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন, তবুই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

এ ছাড়া যথাযথ দেখাভালের অভাবে রেললাইনের ক্লিপ-হুক চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চুরি হওয়া ক্লিপ-হুকও লাগানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না রেললাইন কর্তৃপক্ষ। ফলে শতবছরের পুরোনো রেলপথে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।

সিলেট রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রতিদিন রেললাইনের ক্লিপ ও অন্যান যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। যে কালভার্ট ও সেতু ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থ নেবেন।’

সেতু ও কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সংস্কার না হওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। সবশেষ ২০১৮ সালের ১৩ জুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ছাড়া রেলপথ ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় লাউয়াছড়া উদ্যানের পাহাড়ি এলাকায় একাধিকবার ট্রেন আটকা পড়ে। দুই বছর আগে প্রবল বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলে লাউয়াছড়া এলাকায় ১৫৭ নম্বর সেতুতে মাটি ধসে পড়ে। এতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেন যোগাযোগ ১৩ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট পর্যন্ত স্থান রেললাইন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক স্থানে রেললাইনের স্লিপারে নেই ক্লিপার, নাট-বল্টু, কোথাও স্টিলের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে লাইনের মেরামত করা হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার পরও লাগানো হচ্ছে না।

সেকশনের শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা ও কুলাউড়া স্টেশনের মাঝে অনেক স্থানে ক্লিপ-হুক নেই। ক্লিপ, হুক, ফিশপ্লেটসহ লোহার যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়তি। তবুও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা করছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে রেলপথে ক্লিপ, হুক, নাট-বল্টু চুরি হচ্ছে। শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা এলাকার একটি চক্র নিয়মিত এসব যন্ত্রাংশ চুরি করে। চুরি হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ দ্রুত লাগানোর নিয়ম থাকলেও দু-একটি জায়গায় লাগানো হয়।

ভানুগাছ স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব স্টেশনে। রেলপথ দেখাশোনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তবে স্টেশন এলাকা বা রেলপথে পাথর কমে যাওয়া, ক্লিপ, হুক চুরির কথা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলস্থ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) গুলজার আহমদ বলেন, ‘আমরা রেলপথে হুক, ক্লিপ নিয়মিত লাগিয়ে থাকি। সেগুলো আবার চুরি হয়ে যায়। সেগুলো দ্রুতই লাগানোর চেষ্টা করি। তা ছাড়া রেলপথে যেসব স্থানে পাথর কমে গেছে, সেখানে পাথর ফেলা হবে। আর পাহাড়ি এলাকায় গাছ ভেঙে পড়লে রেললাইনে ঝুঁকি বাড়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত