সম্পাদকীয়
সাঙ্গু নদীর তীরে মাটির ওপর ছোট-বড় পাথর বিছানো। সেখানেই গর্ত খুঁড়ে ছোট্ট ‘কুয়া’ বানিয়ে নিয়েছেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। সেই কুয়ায় অল্প অল্প যে পানি উঠছে তা-ই সংগ্রহ করে নিচ্ছেন দুর্গম এলাকার মানুষেরা। এমন দৃশ্য দেখা গেল আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ পাওয়া খবরের ছবিতে। কিন্তু এই পানি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাহয়তো তাঁরা জানেন না। তাই তো এই এলাকা ডায়রিয়াপ্রবণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সেখানে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য স্থাপিত হয়নি কোনো নলকূপ কিংবা অন্য কোনো অবকাঠামো। রেমাক্রির অধিবাসীদের ভরসা নদী, ঝিরি, ঝরনা ও কুয়ার পানি। এ রকম প্রাকৃতিক উৎসের কাছেই তাদের ধরনা দিতে হয় একটু পানি পাওয়ার জন্য। তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে সাঙ্গু নদী, আশপাশের শাখা ঝিরি ও ঝরনা বা নদীর ধারে কুয়া তৈরি করে সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করেন। কিন্তু শুকনো মৌসুমে এসব উৎস থেকে পানি পাওয়া মুশকিল।
এখন যদি কেউ রেমাক্রি যান, তাহলে হয়তো দেখতে পাবেন অধিকাংশ ঝরনা ও ঝিরি শুকিয়ে গেছে। তাই স্থানীয়রা এগুলোর আশপাশে অসংখ্য ছোট ছোট কুয়া খুঁড়ে নিয়েছেন। হয়তো দেখবেন কোনো কুয়া থেকে পানি তুলে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা দিয়ে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছে কোনো শিশু। এ রকম একটি ছবিও প্রকাশ পেয়েছে খবরের সঙ্গে। এদিকে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরাই বলছেন, রেমাক্রি একটি ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকা। গত দুই-তিন বছরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছে বেশ কয়েকজন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের থানচি উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী শুভংকর মণ্ডল অবশ্য বলেছেন, এই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত এবং বিদ্যুতের সুবিধা না থাকায় পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হয়নি। অথচ রেমাক্রি ইউপির চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু সরকারি বরাদ্দের অপেক্ষায় আছেন।
যাঁরা একটা সময় খুব টেলিভিশন দেখতেন তাঁরা নিশ্চয়ই মনে করতে পারেন, টিভিতে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার ওপর কতটা জোর দিয়ে প্রচারণা চালানো হতো। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে কীভাবে বিশুদ্ধ করা যায়, সেই প্রক্রিয়াগুলোও বারবার টিভির পর্দায় দেখা গেছে। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার জন্য সচেতনতা ক্যাম্পেইন করতেন ‘স্বাস্থ্য আপা’রা। এ খবর প্রকাশের পর মনে হচ্ছে সেই সব সচেতনতা ক্যাম্পেইন বা টিভির বিজ্ঞাপনগুলোর প্রয়োজনীয়তা এখনো রয়ে গেছে।
বদলে গেছে দিন। মানুষের হাতে এসেছে মোবাইল ফোন। কারও ঘরে টিভি না থাকলেও, কারও হাতে স্মার্ট ফোন না থাকলেও সাধারণ মোবাইল তো নিশ্চয়ই অনেকের কাছে পাওয়া যায়। সেই ফোনের মাধ্যমেও সচেতনতাবিষয়ক বিজ্ঞাপন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। মানুষ সচেতন হলে আর জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার অপেক্ষায় থাকতে হবে না। প্রতিনিধিরা তাদের কাজটা করতে থাকুক।
সাঙ্গু নদীর তীরে মাটির ওপর ছোট-বড় পাথর বিছানো। সেখানেই গর্ত খুঁড়ে ছোট্ট ‘কুয়া’ বানিয়ে নিয়েছেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। সেই কুয়ায় অল্প অল্প যে পানি উঠছে তা-ই সংগ্রহ করে নিচ্ছেন দুর্গম এলাকার মানুষেরা। এমন দৃশ্য দেখা গেল আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ পাওয়া খবরের ছবিতে। কিন্তু এই পানি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাহয়তো তাঁরা জানেন না। তাই তো এই এলাকা ডায়রিয়াপ্রবণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সেখানে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য স্থাপিত হয়নি কোনো নলকূপ কিংবা অন্য কোনো অবকাঠামো। রেমাক্রির অধিবাসীদের ভরসা নদী, ঝিরি, ঝরনা ও কুয়ার পানি। এ রকম প্রাকৃতিক উৎসের কাছেই তাদের ধরনা দিতে হয় একটু পানি পাওয়ার জন্য। তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে সাঙ্গু নদী, আশপাশের শাখা ঝিরি ও ঝরনা বা নদীর ধারে কুয়া তৈরি করে সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করেন। কিন্তু শুকনো মৌসুমে এসব উৎস থেকে পানি পাওয়া মুশকিল।
এখন যদি কেউ রেমাক্রি যান, তাহলে হয়তো দেখতে পাবেন অধিকাংশ ঝরনা ও ঝিরি শুকিয়ে গেছে। তাই স্থানীয়রা এগুলোর আশপাশে অসংখ্য ছোট ছোট কুয়া খুঁড়ে নিয়েছেন। হয়তো দেখবেন কোনো কুয়া থেকে পানি তুলে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা দিয়ে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছে কোনো শিশু। এ রকম একটি ছবিও প্রকাশ পেয়েছে খবরের সঙ্গে। এদিকে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরাই বলছেন, রেমাক্রি একটি ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকা। গত দুই-তিন বছরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছে বেশ কয়েকজন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের থানচি উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী শুভংকর মণ্ডল অবশ্য বলেছেন, এই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত এবং বিদ্যুতের সুবিধা না থাকায় পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হয়নি। অথচ রেমাক্রি ইউপির চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু সরকারি বরাদ্দের অপেক্ষায় আছেন।
যাঁরা একটা সময় খুব টেলিভিশন দেখতেন তাঁরা নিশ্চয়ই মনে করতে পারেন, টিভিতে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার ওপর কতটা জোর দিয়ে প্রচারণা চালানো হতো। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে কীভাবে বিশুদ্ধ করা যায়, সেই প্রক্রিয়াগুলোও বারবার টিভির পর্দায় দেখা গেছে। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার জন্য সচেতনতা ক্যাম্পেইন করতেন ‘স্বাস্থ্য আপা’রা। এ খবর প্রকাশের পর মনে হচ্ছে সেই সব সচেতনতা ক্যাম্পেইন বা টিভির বিজ্ঞাপনগুলোর প্রয়োজনীয়তা এখনো রয়ে গেছে।
বদলে গেছে দিন। মানুষের হাতে এসেছে মোবাইল ফোন। কারও ঘরে টিভি না থাকলেও, কারও হাতে স্মার্ট ফোন না থাকলেও সাধারণ মোবাইল তো নিশ্চয়ই অনেকের কাছে পাওয়া যায়। সেই ফোনের মাধ্যমেও সচেতনতাবিষয়ক বিজ্ঞাপন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। মানুষ সচেতন হলে আর জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার অপেক্ষায় থাকতে হবে না। প্রতিনিধিরা তাদের কাজটা করতে থাকুক।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫