এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
কালের আবর্তে ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মুসা খাঁ নদীর বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে ফসলি খেতে রূপান্তর হয়েছে। বিগত সময়ে বর্ষা মৌসুমে নদীতে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে কয়েকটি স্থানে ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হলেও পানিসংকটে সেগুলো এখন পরিত্যক্ত। স্থানীয়দের দাবি, নদীটির উৎসমুখে নির্মিত স্লুইসগেট ভেঙে পুনরায় খনন করা হোক। এতে উপকৃত হবেন হাজারো চাষি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী অফিস (পুঠিয়া) সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০০-০১ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভরাটকৃত মুসা খাঁ নদী পুনর্খনন করা হয়। ওই বছর আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে খননকৃত মুসা খাঁ নদীতে খরা মৌসুমে পানি ধরে রাখতে তিনটি স্থানে ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়। অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১১ সালে মুসা খাঁ নদী (আংশিক) এবং চারঘাট রেগুলেটরি ইনটেক চ্যানেল পুনর্খননের নামে একটি প্রকল্পের কাজ করে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নদীটির সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার খননকাজ করা হয়। এরপর রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও পানি চলাচল না থাকায় নদীটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। ফলে খরা মৌসুমে নদীর বেশির ভাগ অংশ পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই প্রায় এক যুগ ধরে স্থানীয় চাষিরা ক্রসড্যামগুলোর সুফল পাচ্ছেন না।
শামসুল আলম নামের এক চাষি বলেন, বিগত সময় দুবার নদীটি নামমাত্র খনন করা হয়। সেসঙ্গে পানি ধরে রাখতে তিনটি স্থানে ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। যার কোনো সুফল স্থানীয় লোকজন পাননি। এখন নদীর বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে গেছে।
ধোকড়াকুল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শাখাওয়াত মুন্সি বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগেও মুসা খাঁ নদীর যৌবন ছিল টইটম্বুর। বর্ষাকালে পদ্মা থেকে বড়াল, আর বড়াল থেকে মুসা খাঁয় পলিমিশ্রিত পানি প্রবেশ করত। এ ছাড়া বছরের সবসময় বড়ালের পানি মুসা খাঁ হয়ে বারনই নদে প্রবহমান ছিল। ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলোকে বন্যামুক্ত রাখতে বড়ালের মুখে স্লুইসগেট নির্মাণ করে। এতে পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বন্ধ হয়। ঐতিহ্য হারায় মুসা খাঁ। পুনর্খনন করা হলে নদীটির নাব্যতা রক্ষার পাশাপাশি কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পুঠিয়া জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আল মামুন অর রশিদ বলেন, ‘এখানে যোগদানের পর লোকমুখে মুসা খাঁ ভরাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। কয়েক দিনের মধ্যে নদীটি পরিদর্শন করা হবে। সেসঙ্গে পুনর্খনন করা যায় কি না, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
কালের আবর্তে ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মুসা খাঁ নদীর বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে ফসলি খেতে রূপান্তর হয়েছে। বিগত সময়ে বর্ষা মৌসুমে নদীতে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে কয়েকটি স্থানে ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হলেও পানিসংকটে সেগুলো এখন পরিত্যক্ত। স্থানীয়দের দাবি, নদীটির উৎসমুখে নির্মিত স্লুইসগেট ভেঙে পুনরায় খনন করা হোক। এতে উপকৃত হবেন হাজারো চাষি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী অফিস (পুঠিয়া) সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০০-০১ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভরাটকৃত মুসা খাঁ নদী পুনর্খনন করা হয়। ওই বছর আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে খননকৃত মুসা খাঁ নদীতে খরা মৌসুমে পানি ধরে রাখতে তিনটি স্থানে ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়। অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১১ সালে মুসা খাঁ নদী (আংশিক) এবং চারঘাট রেগুলেটরি ইনটেক চ্যানেল পুনর্খননের নামে একটি প্রকল্পের কাজ করে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নদীটির সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার খননকাজ করা হয়। এরপর রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও পানি চলাচল না থাকায় নদীটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। ফলে খরা মৌসুমে নদীর বেশির ভাগ অংশ পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই প্রায় এক যুগ ধরে স্থানীয় চাষিরা ক্রসড্যামগুলোর সুফল পাচ্ছেন না।
শামসুল আলম নামের এক চাষি বলেন, বিগত সময় দুবার নদীটি নামমাত্র খনন করা হয়। সেসঙ্গে পানি ধরে রাখতে তিনটি স্থানে ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। যার কোনো সুফল স্থানীয় লোকজন পাননি। এখন নদীর বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে গেছে।
ধোকড়াকুল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শাখাওয়াত মুন্সি বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগেও মুসা খাঁ নদীর যৌবন ছিল টইটম্বুর। বর্ষাকালে পদ্মা থেকে বড়াল, আর বড়াল থেকে মুসা খাঁয় পলিমিশ্রিত পানি প্রবেশ করত। এ ছাড়া বছরের সবসময় বড়ালের পানি মুসা খাঁ হয়ে বারনই নদে প্রবহমান ছিল। ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলোকে বন্যামুক্ত রাখতে বড়ালের মুখে স্লুইসগেট নির্মাণ করে। এতে পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বন্ধ হয়। ঐতিহ্য হারায় মুসা খাঁ। পুনর্খনন করা হলে নদীটির নাব্যতা রক্ষার পাশাপাশি কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পুঠিয়া জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আল মামুন অর রশিদ বলেন, ‘এখানে যোগদানের পর লোকমুখে মুসা খাঁ ভরাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। কয়েক দিনের মধ্যে নদীটি পরিদর্শন করা হবে। সেসঙ্গে পুনর্খনন করা যায় কি না, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫