সম্পাদকীয়
ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী, ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সমালোচক ও অধ্যাপক। সাহিত্য সমালোচনায় তিনি ‘মার্ক্সীয় নন্দনতত্ত্ববিদের পুরোধা’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন।
তাঁর জন্ম ১৮৯৪ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির চাতরা-শ্রীরামপুরে। তিনি ১৯০৯ সালে বারাসাত স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯১২ সালে রিপন কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। বঙ্গবাসী কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয়। তারপরে তিনি লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২২-৫৪) ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৫৪-৫৯) অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন।
মাঝে তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রচার বিভাগের উপদেষ্টা এবং লেবার এনকোয়ারি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালে তিনি মস্কোয় অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। একই বছর তিনি হেগ শহরে সোশ্যাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে সমাজতত্ত্বের অতিথি অধ্যাপক হয়ে ‘সোসিওলজি অব কালচার’ বিষয়ে বক্তব্য দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি বান্দুং সম্মেলনে যোগ দেন এবং ১৯৫৭ সালে ইন্ডিয়ান সোসিওলজি কনফারেন্সের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।
বুদ্ধি দিয়ে সমাজ, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্বকে বিশ্লেষণ করতেন ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে ‘সবুজ পত্র’ পত্রিকার প্রভাব। সেই ঋণ স্বীকারও করেছেন তিনি। কমিউনিস্ট ইশতেহার এবং কার্ল মার্ক্সের ক্যাপিটাল পড়ার মধ্য দিয়ে তাঁর মনোজগতের পরিবর্তনের সূচনা বলে তিনি নিজে স্বীকার করেছেন। ‘সবুজ পত্র’ পত্রিকায় লেখালেখি করলেও তিনি ছিলেন প্রধানত ‘পরিচয়’ পত্রিকার লেখক। এই পত্রিকার পুস্তক পরিচয় অংশটি মূলত তিনিই দেখতেন।
অন্তঃশীলা, আবর্ত ও মোহনা হলো তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস। এতে সমকালের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে নর-নারীর প্রেম ও আত্মজিজ্ঞাসার কথা আছে। প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে আমরা ও তাঁহারা, চিন্তয়সি, সুর ও সঙ্গতি, কথা ও সুর, মনে এলো, ঝিলিমিলি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাঁর বেশ কয়েকটি ইংরেজি রচনাও রয়েছে। তিনি ১৯৬১ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী, ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সমালোচক ও অধ্যাপক। সাহিত্য সমালোচনায় তিনি ‘মার্ক্সীয় নন্দনতত্ত্ববিদের পুরোধা’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন।
তাঁর জন্ম ১৮৯৪ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির চাতরা-শ্রীরামপুরে। তিনি ১৯০৯ সালে বারাসাত স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯১২ সালে রিপন কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। বঙ্গবাসী কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয়। তারপরে তিনি লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২২-৫৪) ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৫৪-৫৯) অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন।
মাঝে তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রচার বিভাগের উপদেষ্টা এবং লেবার এনকোয়ারি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালে তিনি মস্কোয় অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। একই বছর তিনি হেগ শহরে সোশ্যাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে সমাজতত্ত্বের অতিথি অধ্যাপক হয়ে ‘সোসিওলজি অব কালচার’ বিষয়ে বক্তব্য দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি বান্দুং সম্মেলনে যোগ দেন এবং ১৯৫৭ সালে ইন্ডিয়ান সোসিওলজি কনফারেন্সের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।
বুদ্ধি দিয়ে সমাজ, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্বকে বিশ্লেষণ করতেন ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে ‘সবুজ পত্র’ পত্রিকার প্রভাব। সেই ঋণ স্বীকারও করেছেন তিনি। কমিউনিস্ট ইশতেহার এবং কার্ল মার্ক্সের ক্যাপিটাল পড়ার মধ্য দিয়ে তাঁর মনোজগতের পরিবর্তনের সূচনা বলে তিনি নিজে স্বীকার করেছেন। ‘সবুজ পত্র’ পত্রিকায় লেখালেখি করলেও তিনি ছিলেন প্রধানত ‘পরিচয়’ পত্রিকার লেখক। এই পত্রিকার পুস্তক পরিচয় অংশটি মূলত তিনিই দেখতেন।
অন্তঃশীলা, আবর্ত ও মোহনা হলো তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস। এতে সমকালের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে নর-নারীর প্রেম ও আত্মজিজ্ঞাসার কথা আছে। প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে আমরা ও তাঁহারা, চিন্তয়সি, সুর ও সঙ্গতি, কথা ও সুর, মনে এলো, ঝিলিমিলি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাঁর বেশ কয়েকটি ইংরেজি রচনাও রয়েছে। তিনি ১৯৬১ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫