Ajker Patrika

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা দিলেন পরীক্ষা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৩৮
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা দিলেন পরীক্ষা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ১২ কর্মীকে। বহিষ্কারাদেশ চলাকালে তাঁদের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার কথা। তবে এঁদের তিনজন বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতির কাছে জানতে চাওয়ায় প্রক্টর পরিচয়ে মোবাইল ফোনে চবির এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এ সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ইফতেখায়রুল ইসলাম সৈকত নামের ওই সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল মহানগর নিউজ ও সময়নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক। এ ছাড়া তিনি চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য। তাঁর মোবাইল ফোনে ২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের রেকর্ডটি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।

জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভার এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ‘সিক্সটি-নাইন’ ও ‘সিএফসি’র ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। এঁদের মধ্যে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়ে।

বহিষ্কারের নিয়মানুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলা ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে। শেষ হয়েছে একই শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের পরীক্ষা। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ওই তিন বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তাঁরা হলেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম এবং আরবি বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম।

তবে তিন বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে হুমকির শিকার ইফতেখায়রুল ইসলাম সৈকত বলেন, ‘বহিষ্কার হওয়ার পরও ওই শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন, তা জানতে আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকীর সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর যোগাযোগ করি। এ ঘটনার জেরে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল দিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।’

সৈকত আরও বলেন, ‘আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আগামীকাল লিখিত অভিযোগ দেব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। এটি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘চিঠিগুলো গেছে কিনা বিষয়টা খতিয়ে দেখব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো কাগজ আমরা এখনো পর্যন্ত পাইনি। কাগজ না পেলে তো আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

পাকিস্তানের ভয়ে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করতে চায় না ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত