সম্পাদকীয়
মুর্তজা বশীর নিজেকে বলতেন সিরিয়াস আর্টিস্ট। তাঁর কাজে ফান কিংবা গিমিক নেই। একবার বলেছিলেন, ‘আমি যদি একটা ব্ল্যাঙ্ক ক্যানভাসে সই করে দিই, জানো, সেটা বিক্রি হয়ে যাবে। লোকে ভাববে এখানে নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে যা আমরা বুঝি না।’
সে কথা প্রতিষ্ঠিত করতে জীবনের একটা গল্প বলেছিলেন তিনি।
১৯৮১ সালে একবার মুর্তজা বশীর ১ ফুট বাই ১ ফুট সাইজের ক্যানভাস দিয়ে ৮ ফুট বাই ৫ ফুট একটা কাজ করলেন। চল্লিশটা ক্যানভাস জোড়া দিয়ে কাজটা হয়েছিল। এর নাম ছিল ‘ইনুজল’। প্রদর্শনীর জন্য যখন প্যাকিং করছেন, তখন তাঁর ছেলের বয়স তিন বছর। লোডশেডিং চলছিল। ছেলেটা ঘুরঘুর করছিল পাশে। মুর্তজা বশীর বললেন, ‘জামি, এখানে অনেক পেরেক, তুমি যাও।’
কিন্তু ছেলে তো সরে না। সত্যিই তো পেরেক ফুটে যেতে পারে ওর পায়ে!
তিনি তাঁর স্ত্রীকে ডেকে বললেন, ‘ওকে নিয়ে যাও।’
কিন্তু ওকে নিয়ে যাওয়া হলো না। তাতে রাগ বেড়ে গেল শিল্পীর। তিনি হাতুড়িটা নিয়ে মারতে গেলেন ছেলেকে। কিন্তু ছেলেকে না মেরে আঘাত করলেন ক্যানভাসে। তাতে চার-পাঁচটা ক্যানভাস ভেঙে গেল। এই কাণ্ড ঘটানোর পর রাগ একটু কমল।
কিন্তু এরপর পড়লেন বিপদে। প্রদর্শনীর ক্যানভাসে তো চলে গেছে কাজটা। ভাঙা ক্যানভাসগুলোও তো থাকতে হবে প্রদর্শনীতে। তখন তিনি স্ত্রীকে বললেন, ‘তোমার কাছে উল আছে?’
পাওয়া গেল উল। উল এবং একধরনের লাল-সাদা যে সুতো আছে, তা দিয়ে সেলাই করলেন ক্যানভাসগুলো। প্রদর্শনীতে অন্য ক্যানভাসগুলোর সঙ্গে উল-সুতোর ক্যানভাসগুলোও থাকল।
পরদিন পত্রিকায় লেখা হলো, ‘এটা হলো এমন কিছু, যেটা আমরা বুঝতে পারছি না।’
মুর্তজা বশীরের এ কাজটি কিনে নিয়েছিল শিল্পকলা একাডেমি।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয় ২, পৃষ্ঠা ১১৬
মুর্তজা বশীর নিজেকে বলতেন সিরিয়াস আর্টিস্ট। তাঁর কাজে ফান কিংবা গিমিক নেই। একবার বলেছিলেন, ‘আমি যদি একটা ব্ল্যাঙ্ক ক্যানভাসে সই করে দিই, জানো, সেটা বিক্রি হয়ে যাবে। লোকে ভাববে এখানে নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে যা আমরা বুঝি না।’
সে কথা প্রতিষ্ঠিত করতে জীবনের একটা গল্প বলেছিলেন তিনি।
১৯৮১ সালে একবার মুর্তজা বশীর ১ ফুট বাই ১ ফুট সাইজের ক্যানভাস দিয়ে ৮ ফুট বাই ৫ ফুট একটা কাজ করলেন। চল্লিশটা ক্যানভাস জোড়া দিয়ে কাজটা হয়েছিল। এর নাম ছিল ‘ইনুজল’। প্রদর্শনীর জন্য যখন প্যাকিং করছেন, তখন তাঁর ছেলের বয়স তিন বছর। লোডশেডিং চলছিল। ছেলেটা ঘুরঘুর করছিল পাশে। মুর্তজা বশীর বললেন, ‘জামি, এখানে অনেক পেরেক, তুমি যাও।’
কিন্তু ছেলে তো সরে না। সত্যিই তো পেরেক ফুটে যেতে পারে ওর পায়ে!
তিনি তাঁর স্ত্রীকে ডেকে বললেন, ‘ওকে নিয়ে যাও।’
কিন্তু ওকে নিয়ে যাওয়া হলো না। তাতে রাগ বেড়ে গেল শিল্পীর। তিনি হাতুড়িটা নিয়ে মারতে গেলেন ছেলেকে। কিন্তু ছেলেকে না মেরে আঘাত করলেন ক্যানভাসে। তাতে চার-পাঁচটা ক্যানভাস ভেঙে গেল। এই কাণ্ড ঘটানোর পর রাগ একটু কমল।
কিন্তু এরপর পড়লেন বিপদে। প্রদর্শনীর ক্যানভাসে তো চলে গেছে কাজটা। ভাঙা ক্যানভাসগুলোও তো থাকতে হবে প্রদর্শনীতে। তখন তিনি স্ত্রীকে বললেন, ‘তোমার কাছে উল আছে?’
পাওয়া গেল উল। উল এবং একধরনের লাল-সাদা যে সুতো আছে, তা দিয়ে সেলাই করলেন ক্যানভাসগুলো। প্রদর্শনীতে অন্য ক্যানভাসগুলোর সঙ্গে উল-সুতোর ক্যানভাসগুলোও থাকল।
পরদিন পত্রিকায় লেখা হলো, ‘এটা হলো এমন কিছু, যেটা আমরা বুঝতে পারছি না।’
মুর্তজা বশীরের এ কাজটি কিনে নিয়েছিল শিল্পকলা একাডেমি।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয় ২, পৃষ্ঠা ১১৬
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫