কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শুঁটকিপল্লিতে দিন দিন কমছে শুঁটকি উৎপাদন। শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারিতে ঋণে জর্জরিত হয়ে এবং লোকসানে পড়ে শুঁটকিপল্লির অনেকেই পেশা বদল করেছেন। এই পেশায় জড়িতদের দাবি, সরকারিভাবে স্বল্প সুদে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এখানে আধুনিক শুঁটকিপল্লি হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচরের শুঁটকিপল্লি থেকে এখন প্রায় আট শ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত শুঁটকি স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানে পুঁটি, ট্যাংরা, গুলশা, পাবদা, শিং, মাগুর, বোয়াল, আল, চিরকা বাইন, শোল, টাকিসহ গজার মাছের শুঁটকি উৎপাদিত হয়। আশ্বিন থেকে ফাল্গুন—এই ছয় মাস পুঁটির শুঁটকি তৈরির মৌসুম। আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত বিভিন্ন বিল ও নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। সেচ দিয়েও মাছ ধরা হয়। আর এই মাছের বেশির ভাগই ব্যবহার হয় শুঁটকি তৈরিতে। এক ধরনের মাচায় শুঁটকি তৈরির যাবতীয় কাজ করা হয়। এসব মাচাকে স্থানীয়ভাবে ডাঙ্গি বলা হয়। মাছ কাটার পর লবণ দিয়ে শুকাতে দেওয়া হয় ডাঙ্গিতে। কিছু শুঁটকি আবার লবণ দেওয়ার পর রাখা হয় মাটির তৈরি মটকাতে।
সরেজমিন শুঁটকিপল্লির ডাঙ্গির মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পল্লিতে করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। অনেক মালিক লোকসান ও ঋণে জর্জরিত হয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ডাঙ্গি। অথচ করোনার আগে উপজেলায় শতাধিক ডাঙ্গি ছিল। প্রতি ডাঙ্গিতে ১২-১৫ জন শ্রমিক কাজ করতেন। শুধু স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিকেরা এসে এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন মাত্র ৮১টি ডাঙ্গি রয়েছে। প্রতিটি ডাঙ্গিতে ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সুরমা রাণী দাস নামের একজন শুঁটকিপল্লির বাসিন্দা বলেন, করোনায় শুঁটকিপল্লিতে ডাঙ্গির সংখ্যা কমে গেছে। ঋণগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন ডাঙ্গির মালিক তাঁদের পেশা বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রতিমা রাণী দাস বলেন, ‘শুঁটকি বিক্রিতে আগের মতো এখন আর লাভ হয় না। যাঁদের ডাঙ্গি আছে, তাঁরা শুঁটকি উৎপাদন করে এখন কোনো রকমে টিকে আছেন। আমরা সরকারের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ ও কুলিয়ারচরের শুঁটকিপল্লিকে আধুনিক পল্লি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।’
নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষের এই পেশাকে সরকারি সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। দিন দিন লোকসানে পড়ে অনেক ডাঙ্গির মালিক ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল বলেন, কুলিয়ারচর শুঁটকির জন্য বিখ্যাত। এখানে শুঁটকি উৎপাদনের জায়গাগুলোকে স্থানীয়ভাবে ডাঙ্গি বলা হয়। এখন এখানে প্রায় ৮১টি শুঁটকি ডাঙ্গি রয়েছে। উপজেলায় এ বছর ২৫টি ডাঙ্গির লোকজনকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি উৎপাদন, প্যাকেজিং, বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকে উন্নত মানের শুঁটকি তৈরির প্রশিক্ষণ দেব।
রিপন কুমার আরও বলেন, ‘কুলিয়ারচরে আধুনিক শুঁটকিপল্লি তৈরি করার জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আমরা আশাবাদী, অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্থায়ী শুঁটকিপল্লির আবাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশনা পাব।’
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শুঁটকিপল্লিতে দিন দিন কমছে শুঁটকি উৎপাদন। শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারিতে ঋণে জর্জরিত হয়ে এবং লোকসানে পড়ে শুঁটকিপল্লির অনেকেই পেশা বদল করেছেন। এই পেশায় জড়িতদের দাবি, সরকারিভাবে স্বল্প সুদে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এখানে আধুনিক শুঁটকিপল্লি হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচরের শুঁটকিপল্লি থেকে এখন প্রায় আট শ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত শুঁটকি স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানে পুঁটি, ট্যাংরা, গুলশা, পাবদা, শিং, মাগুর, বোয়াল, আল, চিরকা বাইন, শোল, টাকিসহ গজার মাছের শুঁটকি উৎপাদিত হয়। আশ্বিন থেকে ফাল্গুন—এই ছয় মাস পুঁটির শুঁটকি তৈরির মৌসুম। আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত বিভিন্ন বিল ও নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। সেচ দিয়েও মাছ ধরা হয়। আর এই মাছের বেশির ভাগই ব্যবহার হয় শুঁটকি তৈরিতে। এক ধরনের মাচায় শুঁটকি তৈরির যাবতীয় কাজ করা হয়। এসব মাচাকে স্থানীয়ভাবে ডাঙ্গি বলা হয়। মাছ কাটার পর লবণ দিয়ে শুকাতে দেওয়া হয় ডাঙ্গিতে। কিছু শুঁটকি আবার লবণ দেওয়ার পর রাখা হয় মাটির তৈরি মটকাতে।
সরেজমিন শুঁটকিপল্লির ডাঙ্গির মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পল্লিতে করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। অনেক মালিক লোকসান ও ঋণে জর্জরিত হয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ডাঙ্গি। অথচ করোনার আগে উপজেলায় শতাধিক ডাঙ্গি ছিল। প্রতি ডাঙ্গিতে ১২-১৫ জন শ্রমিক কাজ করতেন। শুধু স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিকেরা এসে এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন মাত্র ৮১টি ডাঙ্গি রয়েছে। প্রতিটি ডাঙ্গিতে ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সুরমা রাণী দাস নামের একজন শুঁটকিপল্লির বাসিন্দা বলেন, করোনায় শুঁটকিপল্লিতে ডাঙ্গির সংখ্যা কমে গেছে। ঋণগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন ডাঙ্গির মালিক তাঁদের পেশা বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রতিমা রাণী দাস বলেন, ‘শুঁটকি বিক্রিতে আগের মতো এখন আর লাভ হয় না। যাঁদের ডাঙ্গি আছে, তাঁরা শুঁটকি উৎপাদন করে এখন কোনো রকমে টিকে আছেন। আমরা সরকারের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ ও কুলিয়ারচরের শুঁটকিপল্লিকে আধুনিক পল্লি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।’
নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষের এই পেশাকে সরকারি সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। দিন দিন লোকসানে পড়ে অনেক ডাঙ্গির মালিক ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল বলেন, কুলিয়ারচর শুঁটকির জন্য বিখ্যাত। এখানে শুঁটকি উৎপাদনের জায়গাগুলোকে স্থানীয়ভাবে ডাঙ্গি বলা হয়। এখন এখানে প্রায় ৮১টি শুঁটকি ডাঙ্গি রয়েছে। উপজেলায় এ বছর ২৫টি ডাঙ্গির লোকজনকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি উৎপাদন, প্যাকেজিং, বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকে উন্নত মানের শুঁটকি তৈরির প্রশিক্ষণ দেব।
রিপন কুমার আরও বলেন, ‘কুলিয়ারচরে আধুনিক শুঁটকিপল্লি তৈরি করার জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আমরা আশাবাদী, অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্থায়ী শুঁটকিপল্লির আবাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশনা পাব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫