Ajker Patrika

বাড়ছে লেপ-তোশকে ব্যস্ততা

মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ০২
বাড়ছে লেপ-তোশকে ব্যস্ততা

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। শীত আসার আগেই অনেক ক্রেতা অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছেন। আবার অনেক দোকানি বিভিন্ন সাইজের ও মানের রেডিমেড লেপ-তোশক বানিয়ে স্টক করে রাখছেন পরে বিক্রির জন্য।

এদিকে, জুট কাপড় মেশিনে ভাঙিয়ে তুলা তৈরি করছেন অনেক দোকানি। জুটের এসব তুলা তোশক, বালিশ আর জাজিম তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।

সম্প্রতি টঙ্গিবাড়ীর বেশ কিছু বাজারে লেপ-তোশক তৈরির দোকান ও কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার টঙ্গিবাড়ী, বালিগাঁও, বেতকা, ধীপুর, দিঘিরপাড়সহ বেশ কয়েকটি বাজারে লেপ-তোশকের দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। তুলাধোনার কাজ করছেন তাঁরা। পুরোপুরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেই তুলা হরেক রঙের কাপড়ের কভারে ভরে তৈরি করা হবে বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোশক।

একাধিক দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর শীতের শুরুতেই ক্রেতারা লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে আসতে থাকেন। শীতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। এবারও ক্রেতারা লেপ-তোশকের আগাম অর্ডার দিচ্ছেন। কাজের ব্যস্ততার সঙ্গে এ সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়ও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

বর্তমানে দোকানগুলোতে জুটের তৈরি পাঁচ হাত দৈর্ঘ্যের তোশক ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬ হাত সাইজের তোশক বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। এ ছাড়াও শিমুল তুলা দিয়ে তৈরি বালিশ ও লেপ বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। জুটের তুলা আমদানি জটিলতা এড়াতে অনেকেই দোকানে মেশিন বসিয়ে নিয়েছেন।

বালিগাঁওয়ের মায়ের দোয়া বেডিং স্টোরের মালিক শহিদ হোসেন বলেন, ‘শীতের সময় দোকানে চাপ পড়ে বেশি। এ জন্য মানুষ আগে থেকেই লেপ-তোশক বানিয়ে নিচ্ছেন। অর্ডারের বাইরেও কিছু রেডিমেড লেপ-তোশক বানিয়ে স্টক করে রাখছি। বর্তমানে দৈনিক ৭-৮টি লেপ-তোশকের অর্ডার পাচ্ছি। সারা দিন দুজন মিলে ১০টি লেপ-তোশক তৈরি করা যায়।’

শহিদ হোসেন আরও জানান, লেপ-তোশক তৈরিতে গার্মেন্টসের জুট ও কার্পাস তুলা ব্যবহার করা হয়। প্রতি কেজি জুট ৭০ থেকে ১২০ টাকা দামে কিনতে হয়। শিমুল তুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

আরেক দোকানি চানমিয়া বলেন, সুতা, কাপড় ও মজুরি ব্যয় বাড়ায় লেপ-তোশকের দামও তুলনামূলক বেড়েছে।

লেপ-তোশক বানাতে আসা আল-আমিন কবিরাজ বলেন, ‘পুরোপুরি শীত শুরু হলে লেপ-তোশক বানাতে বেশি খরচ পড়ে। আবার দোকানে অনেক ভিড় থাকে। অর্ডার দিলে সময়মতো ডেলিভারি পাওয়া যায় না। তাই আগে থেকেই লেপ-তোশক বানিয়ে রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত