Ajker Patrika

দ্বন্দ্বে এবার আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের ২ প্যানেল

গনেশ দাস, বগুড়া
দ্বন্দ্বে এবার আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের ২ প্যানেল

প্রায় ১৪ বছর দল ক্ষমতায়। জেলার বিভিন্ন আদালতে ১৮৫ জন আইন কর্মকর্তা নিজেদের দলের। তারপরও বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস বার সমিতিতে কর্তৃত্ব হারাচ্ছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।  আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, আইন কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে অনেকের মধ্যে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ভোটের সময়। এ ছাড়া চাওয়া-পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে দলাদলি লেগেই আছে।

২৫ নভেম্বর বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্বাচন। এবার প্রার্থী রয়েছেন ১৩টি পদে ৪৯ জন। আর ভোটার রয়েছেন ৭৮৮ জন। আদালত প্রাঙ্গণে জমে উঠেছে প্রচার। জানা গেছে, গত বছর কোন্দল চাপা দিয়ে একটি প্যানেল করায় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা সভাপতি পদ পেলেও হারাতে হয়েছে সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ। এবারের নির্বাচনে কোন্দল চরমে। এখন তাঁদের মধ্যেই প্যানেল হয়েছে দুটি। কয়েক দিন আগে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে আদালত প্রাঙ্গণে। এরপর কয়েক দফা বৈঠক করেও সমঝোতা হয়নি।

এক প্যানেলে বর্তমান সভাপতি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন সভাপতি প্রার্থী এবং গোলাম রব্বানী রোমান সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আওয়ামী লীগের আরেকটি প্যানেলে রয়েছেন রেজাউল করিম মন্টু সভাপতি এবং জাকির হোসেন নবাব সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আর বিএনপিপন্থীদের মধ্যে আতাউর রহমান মুক্তা সভাপতি এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

অন্যদিকে জাসদ, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি সমর্থিত আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম পল্টু ও আব্দুল লতিফ ববি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন।  বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র আইনজীবী ও সভাপতি প্রার্থী রেজাউল করিম মন্টু বলেন, বার সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং পিপি আব্দুল মতিন ২০০৯ সাল থেকে পিপি পদ ধরে রেখেছেন। মাঝে দুর্নীতির অভিযোগে পিপি পদ হারালেও এক বছর পর তদবিরে আবারও বহাল হয়েছেন। প্রকৃত আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপি এবং জাসদ থেকে আসা আইনজীবীদের সুযোগ দেওয়া হয় এসব পদে। এপিপি, অতিরিক্ত পিপি, জিপি পদগুলোতেও একই অবস্থা। এ কারণে ক্ষোভ বাড়ছে দিন দিন।

অন্যদিকে বার সমিতির সভাপতি ও পিপি আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমি ২০১৫ সাল থেকে পিপি পদে আছি। আগে কী হয়েছে, সেটা দেখার বিষয় নয়। যাঁরা এগুলো বলেন, তাঁরা বিচ্ছিন্ন।’ প্যানেল দুটি হলেও কোনো প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে আব্দুল মতিন বলেন, ‘আওয়ামীপন্থী ভোটার রয়েছেন ৩৩০ জন। আরও অনেকে আছেন, যাঁরা নীরবে আমাদের ভোট দেন। অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের প্যানেলকে হারানো যাবে না।’

গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল লতিফ পশারি ববি বলেন, ‘আমাদের ৫৫ থেকে ৬০ ভোট রয়েছে। ভোটের সংখ্যা কম হলেও জয়-পরাজয় অনেকটা আমাদের ওপর নির্ভর করে।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘বিএনপিপন্থী ভোটার 
রয়েছেন ৩২৯ জন। জামায়াতের আরও ৩৫ জন ভোটার আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দলের কারণে দুটি প্যানেল হয়েছে। এ কারণে বিএনপিপন্থী প্যানেল এবার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত