Ajker Patrika

পশুর হাটে পাইকারদের আনাগোনা, ক্রেতা নেই

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৭: ১৬
পশুর হাটে পাইকারদের আনাগোনা, ক্রেতা নেই

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরের ঢেলাপীর হাটে খামারি ও কৃষকেরা কোরবানির পশু আনতে শুরু করেছেন। হাটে স্থানীয় ক্রেতা না থাকলেও পাইকারদের আনাগোনা দেখা গেছে। খামারিরা জানান, গত বছর সৈয়দপুরে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর পরিমাণ বেশি ছিল। যে কারণে শেষের দিকে অনেক খামারিকে লোকসান দিয়ে পশু বিক্রি করতে হয়েছে। এবার তাঁরা লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোখাদ্যের মূল্য বাড়ায় কোরবানির পশুর দামও কিছুটা বেশি হবে এবার। যদিওবা এখনো বেচাবিক্রি শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোপুরি বিক্রি শুরু হবে।

জানা গেছে, ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য এবারও সৈয়দপুরের খামারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু লালন-পালন করা হয়েছে। তবে গোখাদ্যের দাম বেশি থাকায় খামারিদের খরচ একটু বেশি পড়ছে। তাই দাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গরু-ছাগল বিক্রির হাসিলও বাড়ানো হয়েছে। গত বছর গরুপ্রতি হাসিল ৩৫০, আর ছাগলের ১৩০ টাকা ছিল। এবার গরুপ্রতি ৫০০ ও ছাগল ১৫০ টাকা।

গত মঙ্গলাবার দেখা গেছে, পাশের নীলফামারী সদর, বড়ুয়া, দশমাইল, রানীরবন্দর, তারাগঞ্জ, পাকেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার খামারিরা কোরবানির পশু নিয়ে ঢেলাপীরহাটে আসছেন। হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া উঠলেও ক্রেতাদের ভিড় খুব একটা চোখে পড়েনি। গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। এবার কোরবানিকে প্রাধান্য পাবে স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের পশু। হাটে ভারতীয় গরুর সংখ্যা তুলনামূলক কম।

হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা বেশি। হাটে আসা বড় গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৭৯ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। মাঝারি আকারের ৫০ থেকে ৬৯ হাজার টাকা। আর ছোট আকারের গরুর দাম উঠেছে ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ছাগলের দামও গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। মাঝারি থেকে একটু বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৮ হাজার টাকায়।

শহরের নতুন বাবুপাড়া থেকে গরু কিনতে আসা ইমরান হোসেন বলেন, ‘হাটে এসেছি পশুর দাম যাচাই করতে। পছন্দের গরুর অভাব নেই। দিন যত যাবে, হাটে আরও ভালো গরু আসবে। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি।’

উপজেলার বোতগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দ এলাকার খামারি আফাজ উদ্দীন বলেন, হাটে এখনো স্থানীয় ক্রেতারা আসতে শুরু করেননি। পশু যা বিক্রি হচ্ছে, তার বেশির ভাগ ক্রেতাই বাইরে থেকে এসেছেন। আমার খামারে ২০টি গরু রয়েছে। গরুগুলো বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তাই আছি।

নীলফামারীর সদর উপজেলা থেকে গরু বিক্রি করতে আসা ইলিয়াস মোল্লা বলেন, পশুর খাবারের দাম ও আগেভাগে পশু কেনার ঝামেলার কারণে ক্রেতারা এখনই হাটে আসছেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ৭ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত