Ajker Patrika

৭৩ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ১৪
৭৩ শতাংশ মানুষ   টিকার আওতায়

রাজশাহীর ৭৩ শতাংশ মানুষ করোনার এক ডোজ করে টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ মানুষ এক ডোজ করে টিকা নিয়েছেন। আর ৯ উপজেলার মধ্যে সর্বনিম্ন চারঘাটের ৬৩ শতাংশ মানুষ এক ডোজ টিকা নিয়েছেন।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১২ বছরের ঊর্ধ্বে টিকা নেওয়ার মতো মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখ ৭০ হাজার ১৩ জন। এর মধ্যে ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। প্রথম ডোজ গ্রহণের গড় হার ৭২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এ ছাড়া দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৬ হাজার ৭৪৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের গড় হার ৫৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৭৮ হাজার ৩৮২ জন। বুস্টার ডোজের গড় হার ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে ফেলেছেন। শহরের ১২ বছরের বেশি বয়সী বাসিন্দা ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ১১ হাজার ২৭২ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮২ জন। গড়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৮৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৪১ হাজার ৪৫৪ জন। বুস্টার ডোজের গড় হার ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ এফ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, বলা যায় রাজশাহী শহরের ১২ বছরের বেশি বয়সী প্রায় সব মানুষই প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। অল্প কিছু মানুষ বাকি থাকতে পারেন। যারা বাকি আছে তাদের বেশির ভাগই ১২ বছরের নিচের শিশু। ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে শহরে টিকা নেওয়ার হার বেশি হলেও গ্রামে তুলনামূলক কম। জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে কম প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন চারঘাট উপজেলার মানুষ। এখানে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৪ জন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৫ জন। গড় হার ৬১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এখানে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯ জন। দ্বিতীয় ডোজের গড় হার ৫২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

অন্য উপজেলাগুলোতে প্রথম ডোজ গ্রহণের হার ৬৪ থেকে ৭৪ শতাংশ। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৪ থেকে ৬০ শতাংশ। বুস্টার ডোজের হার ১ থেকে ২ শতাংশের ভেতরে। রাজশাহীর কয়েকটি টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য এখন আর তেমন কেউ আসছেন না। বেশির ভাগই আসছেন দ্বিতীয় ডোজের জন্য। আর যাঁদের কাছে এসএমএস যাচ্ছে তাঁরা আসছেন বুস্টার ডোজ গ্রহণের জন্য। তবে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্কুলে টিকা কার্যক্রম চলছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আমরা আর প্রথম ডোজের জন্য গণটিকা কার্যক্রম চালাব না। এখন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কারও যদি নিবন্ধন করা থাকে তবে তাঁকেও প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে ইউনিয়ন পর্যায়ে আর গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত