Ajker Patrika

মরা,শুকনা ও হেলে পরা গাছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

মরা,শুকনা ও হেলে পরা গাছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ওপরে হেলে থাকা শতবর্ষী গাছগুলোর কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। মহাসড়কের মাঝখান পর্যন্ত এসব গাছ হেলে থাকায় যানবাহন ও পথচারীকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। গত পাঁচ বছরে হেলে থাকা গাছের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর পাশাপাশি মহাসড়কে রয়েছে অসংখ্য মরা ও শুকনো গাছ। বিশেষ করে এ মহাসড়কের ঝিকরগাছা এলাকায় অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিকরগাছার মল্লিকপুর ধেভড়িপাড়া থেকে নাভারণ পুরোনো বাজার পর্যন্ত অন্তত শতবর্ষী ১৫টি বড় শিশুগাছ মহাসড়কের মাঝখান পর্যন্ত হেলে থাকায় বড় কাভার্ড ভ্যান ও পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। এর মধ্যে মল্লিকপুর ধেভড়িপাড়া, কীত্তিপুর পালপাড়া, হাজিরালী মহিলা কলেজ মোড়, বালিখোলা, বেনেয়ালী, গদখালী ফুলবাজার, নবীনগর মোড়, কলাগাছি, নাভারণ কলোনিপাড়া এবং নাভারণ পুরোনো বাজার এলাকায় সড়কের ওপরে গাছ হেলে রয়েছে। এসব স্থানে আরও ২০টি মরা গাছের নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া, ঝিকরগাছা বাজারে কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতুর পশ্চিমাংশে মাঝখানে তিনটি গাছ রেখে সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে।

উপজেলার বেনেয়ালী গির্জার সামনে মহাসড়কের দুই পাশে পাঁচটি গাছ এমনভাবে হেলে রয়েছে যে কোনো বাস-ট্রাক চলার সময়ে সড়কের একপাশ দিয়ে যেতে পারে না। আর বড় কাভার্ড ভ্যান ও পরিবহনগুলো সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করা ছাড়া উপায় নেই। এখানকার হেলে থাকা গাছগুলোর যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গাছের অর্ধেক ভেঙে পড়েছে। গত তিন বছরে শুধু এখানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন মারা গেছেন।

নবীনগর গ্রামের আওলাদ হোসেন প্রধানিয়া বলেন, ‘নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় প্রায় সব গাছের অংশবিশেষ সড়কের ভেতরে। এ জন্য সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।’

ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের সাবেক সদস্য (মেম্বার) খলিলুর রহমান বলেন, ‘মল্লিকপুর ধেবড়িপাড়া এলাকায় একটি বড় শিশুগাছের অর্ধেক রাস্তার ওপরে। এ গাছটি রাস্তার দিকে হেলে থাকায় প্রায় বাস-ট্রাক ধাক্কা খায়। গাড়ি বেধে যায়, উল্টে যায়। বছর দুই আগে একটি বাস ধাক্কা খেয়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী আহত হয়েছিল।’

মোহাম্মদ বাবু নামে এক বাসচালক বলেন, ‘ওপরে গাছের ডাল ও নিচে সড়কের মধ্যে ঢুকে পড়েছে গাছের গোড়া। বাঁ পাশ দিয়ে চলার কথা থাকলেও গাছে বডি বেঁধে যাওয়ায় রং সাইডে ঢুকে পড়া লাগে। তখন যদি সামনের দিক থেকে গাড়ি আসে তাহলে বিপদে পড়তে হয়। তাই খুব ঝুঁকি নিয়ে এ মহাসড়কে গাড়ি চালাই।’

ঝিকরগাছার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবার সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, ‘মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটার জন্য গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়াসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক বলেন, ‘মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোর বিষয়ে জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিক বার বলেছি। গাছগুলো জেলা পরিষদের সম্পদ। তারা জানিয়েছন গাছগুলো কাটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আবেদন, শুনানি রোববার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত