আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে সামাজিক অনুষ্ঠানে খাদ্যের জোগান দিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল লাইনে দাঁড়াচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এসব পণ্য কিনছেন দরিদ্রদের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও। আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা হলেও এটিই মাঠের চিত্র।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ অবস্থা। শহরের টিসিবির পণ্য বিক্রি করা স্থানে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ সারি। এ সারিতে শুধু নিম্নবিত্ত নয়, রয়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও।
এসব মানুষের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সামাজিক রীতি পালন করতে গিয়ে দিশেহারা অবস্থা তাঁদের। বাধ্য হয়ে টিসিবির ট্রাকমুখী হচ্ছেন জানান দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কথা হয় মধ্যবিত্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর ছোট একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এসেছেন টিসিবির পণ্য কিনতে। সঙ্গে পরিবারের আরও দুই সদস্য রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সামনে মেয়ের বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য অনেক টাকা লাগবে। নিত্যপণ্যের দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছি। এমন অবস্থায় অতিথি আপ্যায়নের খরচ বহন করা বেশ কষ্টকর। তাই যেখানেই টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়, সেখান থেকে কম টাকায় পণ্য কিনি।’
অসহায় এ বাবা আরও বলেন, ‘এভাবে কিনে বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করব। টাকা সাশ্রয় হবে। অনেকের পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছি, এখন তাঁদের নিমন্ত্রণ দিতে হবে। এখন অভাবে আছি বলে নিমন্ত্রণ বাদ দেওয়া যাবে না।’
আরেক ক্রেতা বলেন, তিনি বাবাকে হারিয়েছেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিয়ে এসেছেন কম টাকায় শ্রাদ্ধের জন্য টিসিবির পণ্য কিনতে। তিনি বলেন, ‘তেল পাঁচ লিটার দেওয়া হবে, কিন্তু এখানে এসে পেয়েছি দুই লিটার। এরপরও খুশি কম দামে নিতে পেরে। এরকম অভাব আগে ছিল না। করোনাকালে অভাব আঁকড়ে ধরেছে আমাদের।’
এদিকে তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপণ্যের অপরিকল্পিত প্যাকেজ হওয়ায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে সাধারণ জনগণ ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে এলেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কোর্ট রোডে দেখা যায় টিসিবির ট্রাকসেলে ১০ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ লিটার তেল ৭৬০ টাকা প্যাকেজে পণ্যে কিনতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, একসঙ্গে এত পেঁয়াজ তাঁরা চান না। এ পণ্যেও অসামঞ্জস্যতা।
ক্রেতা রহমান মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ৫০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম। এখন দেখি প্যাকেজ ৭৬০ টাকা। এত টাকার প্যাকেজ কীভাবে নেব? টাকায় হবে না। তাই ফিরে যাচ্ছি।’
শহরের রুনু ব্রহ্ম বলেন, ‘আমরা তিনজনের সংসারে ১০ কেজি পেঁয়াজ নিলে নষ্ট হবে। পচনশীল পণ্য কম হলে ভালো হতো।’
অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্যাকেজের ব্যাপারে ডিলার মেসার্স অলিম্পিক এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে জানানো হয়; টিসিবির পণ্য বিক্রিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এ নিয়মের মধ্যেই বিক্রি করতে হয় তাঁদের। তাঁদের লক্ষ্য থাকে পণ্যভেদে ১৫০ থেকে ২০০ মানুষের মধ্যে তা বিক্রি করতে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক থেকে ক্রেতারা পেঁয়াজ ৩০ টাকা প্রতি কেজি, চিনি ৫৫ ও মসুর ডাল টাকা প্রতি কেজি ৬৫ এবং তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা মূল্যে কিনতে পারছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের মৌলভীবাজার (সুজন) সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত বলেন, ‘মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। এমন অবস্থায় হিমশিম খেতে খেতে মানুষ হাহাকারের দিকে যাচ্ছে। বর্তমান মন্ত্রী-সাংসদেরা হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে তাঁদের সখ্য রয়েছে। ফলে জনগণের কষ্ট তাঁরা কীভাবে বুঝবে?’
মৌলভীবাজারে সামাজিক অনুষ্ঠানে খাদ্যের জোগান দিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল লাইনে দাঁড়াচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এসব পণ্য কিনছেন দরিদ্রদের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও। আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা হলেও এটিই মাঠের চিত্র।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ অবস্থা। শহরের টিসিবির পণ্য বিক্রি করা স্থানে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ সারি। এ সারিতে শুধু নিম্নবিত্ত নয়, রয়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও।
এসব মানুষের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সামাজিক রীতি পালন করতে গিয়ে দিশেহারা অবস্থা তাঁদের। বাধ্য হয়ে টিসিবির ট্রাকমুখী হচ্ছেন জানান দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কথা হয় মধ্যবিত্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর ছোট একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এসেছেন টিসিবির পণ্য কিনতে। সঙ্গে পরিবারের আরও দুই সদস্য রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সামনে মেয়ের বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য অনেক টাকা লাগবে। নিত্যপণ্যের দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছি। এমন অবস্থায় অতিথি আপ্যায়নের খরচ বহন করা বেশ কষ্টকর। তাই যেখানেই টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়, সেখান থেকে কম টাকায় পণ্য কিনি।’
অসহায় এ বাবা আরও বলেন, ‘এভাবে কিনে বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করব। টাকা সাশ্রয় হবে। অনেকের পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছি, এখন তাঁদের নিমন্ত্রণ দিতে হবে। এখন অভাবে আছি বলে নিমন্ত্রণ বাদ দেওয়া যাবে না।’
আরেক ক্রেতা বলেন, তিনি বাবাকে হারিয়েছেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিয়ে এসেছেন কম টাকায় শ্রাদ্ধের জন্য টিসিবির পণ্য কিনতে। তিনি বলেন, ‘তেল পাঁচ লিটার দেওয়া হবে, কিন্তু এখানে এসে পেয়েছি দুই লিটার। এরপরও খুশি কম দামে নিতে পেরে। এরকম অভাব আগে ছিল না। করোনাকালে অভাব আঁকড়ে ধরেছে আমাদের।’
এদিকে তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপণ্যের অপরিকল্পিত প্যাকেজ হওয়ায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে সাধারণ জনগণ ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে এলেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কোর্ট রোডে দেখা যায় টিসিবির ট্রাকসেলে ১০ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ লিটার তেল ৭৬০ টাকা প্যাকেজে পণ্যে কিনতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, একসঙ্গে এত পেঁয়াজ তাঁরা চান না। এ পণ্যেও অসামঞ্জস্যতা।
ক্রেতা রহমান মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ৫০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম। এখন দেখি প্যাকেজ ৭৬০ টাকা। এত টাকার প্যাকেজ কীভাবে নেব? টাকায় হবে না। তাই ফিরে যাচ্ছি।’
শহরের রুনু ব্রহ্ম বলেন, ‘আমরা তিনজনের সংসারে ১০ কেজি পেঁয়াজ নিলে নষ্ট হবে। পচনশীল পণ্য কম হলে ভালো হতো।’
অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্যাকেজের ব্যাপারে ডিলার মেসার্স অলিম্পিক এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে জানানো হয়; টিসিবির পণ্য বিক্রিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এ নিয়মের মধ্যেই বিক্রি করতে হয় তাঁদের। তাঁদের লক্ষ্য থাকে পণ্যভেদে ১৫০ থেকে ২০০ মানুষের মধ্যে তা বিক্রি করতে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক থেকে ক্রেতারা পেঁয়াজ ৩০ টাকা প্রতি কেজি, চিনি ৫৫ ও মসুর ডাল টাকা প্রতি কেজি ৬৫ এবং তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা মূল্যে কিনতে পারছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের মৌলভীবাজার (সুজন) সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত বলেন, ‘মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। এমন অবস্থায় হিমশিম খেতে খেতে মানুষ হাহাকারের দিকে যাচ্ছে। বর্তমান মন্ত্রী-সাংসদেরা হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে তাঁদের সখ্য রয়েছে। ফলে জনগণের কষ্ট তাঁরা কীভাবে বুঝবে?’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪