ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিদেশি উন্নত জাতের কাশ্মীরি আপেল ও বল সুন্দরী কুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে কুলের আবাদ। এবারই প্রথম শ্রীবরদীর গারো পাহাড়ের কর্ণঝোরা বাবলাকোনা গ্রামের কৃষক শামীম মোল্লা এই বাগান করে সফলতা পেয়েছেন।
গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ফসল নষ্ট করে বন্য হাতির দল। তবে বড়ই গাছ দেখে ভয় পায় হাতির দল। তাই বড়ই চাষের পরামর্শ অনেক আগে থেকেই দিয়ে আসছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা। এ পরামর্শের আলোকে জেলার গারো পাহাড়ের কর্ণঝোরা এলাকায় ১ একর ২৫ শতাংশ জমিতে জেলায় প্রথম কাশ্মীরি আপেল কুল ও বল সুন্দরী কুল চাষ করেন শামীম। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, অন্য কূলের চেয়ে কাশ্মীরি আপেল ও বল সুন্দরী কূল চাষ করলে অধিক লাভবান হবে কৃষক। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বল সুন্দরী কুল দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতে সুস্বাদু। ফলটি রসালো ও সুমিষ্ট। বাউকুল ও আপেল কুলের সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবিত এই কুল। স্থানীয়ভাবে বল সুন্দরী কুল বলা হলেও এটির প্রকৃত নাম বাউ-৩। তবে অনেকে বারমী কুল নামে এটিকে চেনে।
২০১২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারে নতুন এ জাতের কুল উদ্ভাবন হয়। অপরদিকে কাশ্মীরি আপেল কুলের রঙও ঠিক যেন আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে খুব মিষ্টি। দেখতে ঠিক ছোট সাইজের আপেলের মত। গাছের ডালে ঝুলছে থোকায় থোকায় কুল। বাঁশের খুঁটি দেয়া হয়েছে গাছের বড় বড় ডাল ঠিক রাখতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছে ফুল আসে। ফল পরিপক্ব হয়ে থাকে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। ৪ ফুট উচ্চতার একেকটি গাছ। এগুলোয় কুল ধরে আছে। কুলের ভারে মাঠিতে নুয়ে পড়েছে কিছু কিছু ডাল।
শামীম মোল্লা বলেন, আমি এর আগে ভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে নানা প্রতিকূলতার কারণে লোকসান খাইছি। তাই এবার আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে বড়ই গুলির চাষ করেছি। এগুলো হাতিও ক্ষতি করে না। ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে। আমি এবাগানে ৪ শতাধিক কুলের চারা লাগিয়েছি। আমার এ বাগানে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি কুল বিক্রি করতে শুরু করেছি। আমি আশা করছি কমপক্ষে সাড়ে ৩-৪ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারব। আমার বাগান দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও এ কূল চাষ করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার কাছে পরামর্শ চাইছে।
এ বাগানে সব সময় অন্তত ৫ জন শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিক ফজলুর রহমান বলেন, কুলের খেতে কাজ করতে আমার খুব ভালো লাগে। আর আমি তো আগে সারা বছর কাজ পাইতাম না। এখন সারা বছরই কাজ করছি। এখানে কুলের সাইজগুলো খুব বড় বড়। ফলনও ভালো হচ্ছে।
প্রতিবেশী কৃষক মিখাইন বিশ্বাস বলেন, বাগান দেখতে খুব ভালো লাগে। হাতিও এ বাগান ক্ষতি করে না।
ফল ক্রেতা সাতানী মথুরাদী এলাকার মো. কুদু মিয়া বলেন, আমি প্রায় এখান থেকে কুল কিনে বিক্রি করি। এখানের কুল সুস্বাদু হওয়ায় আমার ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আমি প্রায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকা লাভ করি। আমি কুল বিক্রি করে সংসার চালাই।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, অন্য কূলের চেয়ে এই দুই জাতের কূল চাষ করলে অধিক লাভবান হবে কৃষক। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আর হাতির আক্রমণে ফসল নষ্টের আশঙ্কাও থাকবে না।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিদেশি উন্নত জাতের কাশ্মীরি আপেল ও বল সুন্দরী কুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে কুলের আবাদ। এবারই প্রথম শ্রীবরদীর গারো পাহাড়ের কর্ণঝোরা বাবলাকোনা গ্রামের কৃষক শামীম মোল্লা এই বাগান করে সফলতা পেয়েছেন।
গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ফসল নষ্ট করে বন্য হাতির দল। তবে বড়ই গাছ দেখে ভয় পায় হাতির দল। তাই বড়ই চাষের পরামর্শ অনেক আগে থেকেই দিয়ে আসছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা। এ পরামর্শের আলোকে জেলার গারো পাহাড়ের কর্ণঝোরা এলাকায় ১ একর ২৫ শতাংশ জমিতে জেলায় প্রথম কাশ্মীরি আপেল কুল ও বল সুন্দরী কুল চাষ করেন শামীম। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, অন্য কূলের চেয়ে কাশ্মীরি আপেল ও বল সুন্দরী কূল চাষ করলে অধিক লাভবান হবে কৃষক। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বল সুন্দরী কুল দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতে সুস্বাদু। ফলটি রসালো ও সুমিষ্ট। বাউকুল ও আপেল কুলের সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবিত এই কুল। স্থানীয়ভাবে বল সুন্দরী কুল বলা হলেও এটির প্রকৃত নাম বাউ-৩। তবে অনেকে বারমী কুল নামে এটিকে চেনে।
২০১২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারে নতুন এ জাতের কুল উদ্ভাবন হয়। অপরদিকে কাশ্মীরি আপেল কুলের রঙও ঠিক যেন আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে খুব মিষ্টি। দেখতে ঠিক ছোট সাইজের আপেলের মত। গাছের ডালে ঝুলছে থোকায় থোকায় কুল। বাঁশের খুঁটি দেয়া হয়েছে গাছের বড় বড় ডাল ঠিক রাখতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছে ফুল আসে। ফল পরিপক্ব হয়ে থাকে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। ৪ ফুট উচ্চতার একেকটি গাছ। এগুলোয় কুল ধরে আছে। কুলের ভারে মাঠিতে নুয়ে পড়েছে কিছু কিছু ডাল।
শামীম মোল্লা বলেন, আমি এর আগে ভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে নানা প্রতিকূলতার কারণে লোকসান খাইছি। তাই এবার আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে বড়ই গুলির চাষ করেছি। এগুলো হাতিও ক্ষতি করে না। ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে। আমি এবাগানে ৪ শতাধিক কুলের চারা লাগিয়েছি। আমার এ বাগানে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি কুল বিক্রি করতে শুরু করেছি। আমি আশা করছি কমপক্ষে সাড়ে ৩-৪ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারব। আমার বাগান দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও এ কূল চাষ করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার কাছে পরামর্শ চাইছে।
এ বাগানে সব সময় অন্তত ৫ জন শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিক ফজলুর রহমান বলেন, কুলের খেতে কাজ করতে আমার খুব ভালো লাগে। আর আমি তো আগে সারা বছর কাজ পাইতাম না। এখন সারা বছরই কাজ করছি। এখানে কুলের সাইজগুলো খুব বড় বড়। ফলনও ভালো হচ্ছে।
প্রতিবেশী কৃষক মিখাইন বিশ্বাস বলেন, বাগান দেখতে খুব ভালো লাগে। হাতিও এ বাগান ক্ষতি করে না।
ফল ক্রেতা সাতানী মথুরাদী এলাকার মো. কুদু মিয়া বলেন, আমি প্রায় এখান থেকে কুল কিনে বিক্রি করি। এখানের কুল সুস্বাদু হওয়ায় আমার ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আমি প্রায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকা লাভ করি। আমি কুল বিক্রি করে সংসার চালাই।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, অন্য কূলের চেয়ে এই দুই জাতের কূল চাষ করলে অধিক লাভবান হবে কৃষক। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আর হাতির আক্রমণে ফসল নষ্টের আশঙ্কাও থাকবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৭ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫