Ajker Patrika

মূলঘর ইউপিতে নৌকার জয়

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ২০
মূলঘর ইউপিতে নৌকার জয়

বাগেরহাটের ফকিরহাটের মূলঘর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী হিটলার গোলদার বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের নাসির সরদার। অন্যদিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ৩টি এবং মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউপিতে শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, যাত্রাপুর ইউপিতে বেগ এমদাদ হোসেন, গোটাপাড়ায় শেখ সমশের আলী এবং মোল্লাহাট উপজেলার গাংনীতে শিকদার উজির আলী।

এদিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে বাগেরহাটের ৩টি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। কিছু কিছু কেন্দ্রে প্রার্থী ও সমর্থকদের হয়রানির অভিযোগ ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

ফকিরহাটের মূলঘর ইউপিতে নৌকা প্রতীকে ভোটদানে জোর জবরদস্তি এবং আনারস প্রতীকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। এ ছাড়া অভিযোগ পেলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান আনারস প্রতীকের প্রার্থী নাসির সরদার।

তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে নৌকা প্রতীকের ক্যাডাররা অনৈতিক প্রভাব বিস্তার শুরু করে। মূলঘর কেন্দ্র থেকে জোর করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। সৈয়দ মহল্লা ও কাকডাঙ্গা কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেছে তাঁরা। সানিক মাস্টার ও রনি স্থানীয়দের নানারকম হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হয়েও যদি এ রকম অন্যায় হয় আমার ওপর তাহলে কোথায় যাব আমরা।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার কলে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিটলার গোলদার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে। আমি বা আমার কোনো কর্মী কারও ওপর প্রভাব বিস্তার করেনি।’

এদিকে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো ও জীবননাশের শঙ্কায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি ইউনিয়ন পরিষদের নগরকান্দি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মো. গোলাম রাব্বানি। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের জাকির বিশ্বাস আমার কর্মী সমর্থক ও আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন ‘বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আমার ভোটার ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি শুরু করে। ভোট কেন্দ্রে আসা ভোটারদেরও হয়রানি করেছে জাকির বিশ্বাস ও তার ভাই। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আমি ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।’

এ বিষয়ে জাকির বিশ্বাস বলেন, ‘একজন প্রার্থী কেন ভোট বর্জন করেছেন আমি তা কি করে বলব। আমি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। এ ছাড়া বেশির ভাগ কেন্দ্রেই সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজি বেনজির আহমেদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত