Ajker Patrika

পুলিশ কর্মকর্তার ছাদবাগান

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ১৩: ৪০
পুলিশ কর্মকর্তার ছাদবাগান

মুলাদীতে কর্মস্থলেই ছাদবাগান গড়ে তুলেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মতিউর রহমান। তিনি সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ছাদে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি ফলের চাষ করেছেন। তাঁর ছাদবাগানে প্রায় ২০০ ফল ও ফুলের গাছ আছে।

জানা যায়, অনেকটা শখের বশে ছাদবাগান করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এএসপি মো. মতিউর রহমান। তিনি প্রায় ২ বছর আগে ছাদবাগান শুরু করেন। বর্তমানে সেখানে ত্বীন গাছ, ড্রাগন, মিশরীয় ডুমুর, থাই জাম্বুরা, চেরিফল (টক), মাল্টা, চায়না কমলা, বাড়ি ফোর আম, ছবেদা, বাউকুল, আপেল কুল, কাঠবাদাম, মিষ্টি তেঁতুল, স্ট্রবেরি, লাল পেয়ারা, বেলি ফুল, কাঠ গোলাপ, অ্যালোভেরা, পুদিনা পাতা, হাসনা হেনা, বোতাম ফুল, নয়না তারা, শিউলি ফুলসহ বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছ রয়েছে। এ ছাড়া কিং হলুদ কবুতর, পটারবল কবুতর, কালোলক্ষ্যা ময়ূরী, লাল লাহরি, কাল লাহরি, আফছান গ্রিজেল রেসার, মিনি রেসার, সাদা রেন্ট ও ব্লুভার লক্ষ্যাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালন করেছেন এএসপি মতিউর রহমান।

গাছে ফল ধরেছে, আর ফুলগাছে ফুল ফুটেছে। অনেক ফল ও ফুলগাছ থাকলেও সবার দৃষ্টি ত্বীন ফলের দিকে। পরিচর্যার কারণে মক্কা আর মদিনার মাটিতে যে ত্বীন ফল ধরে, সেই ফল ধরেছে মুলাদীর মাটিতে। বিভিন্ন ধরনের ফল আর ফুল গাছে থোকায় থোকায় ধরে ছাদটি দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। মুলাদী উপজেলায় প্রথমবারের মতো ত্বীন ফল চাষ হওয়ায় অনেকে দেখতে ভিড় করছেন। ছাদবাগানের কাজে সহযোগিতা করছেন কনস্টেবল অহিদুল ইসলাম।

মুলাদী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি মুলাদী উপজেলার মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য ছাদে টবে বা ড্রামে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুলের গাছ লাগিয়েছি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালছি। যাদের ছাদের জায়গা খালি পড়ে আছে, তারা বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুলের গাছ, শাকসবজি লাগাতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর ও মুরগি পালন করতে পারে। একটা সুন্দর ছাদবাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সারা বছর ধরে পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল-সবজি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত