Ajker Patrika

দ্বিতীয় দিনেও আন্দোলনে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ১৮
দ্বিতীয় দিনেও আন্দোলনে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

দ্বিতীয় দিনের মতো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার, হল ও পরিবহন ফি কমানো এবং বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সেখানে অবস্থান করে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দেয়। দাবি আদায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা উপাচার্যের দেখা করার কথা থাকলেও তিনি দেখা করেননি। প্রক্টরেরা দেখা করে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিলেও তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বেতন ৬০০ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ফি ২০, ছাত্র কল্যাণ ৫০, আইডি কার্ড ৫০, চিকিৎসা ৫০, পরিবহন ৩০০, রোভার স্কাউট ২০, বিএনসিসি ২০, সিলেবাস ৫০, হলবিষয়ক সংস্থাপন ৭৫, সিট ভাড়া ৭৫, পরীক্ষাবিষয়ক ফি প্রতি ক্রেডিট ৫০ ও প্রবেশপত্র ৫ টাকা করা এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ফি, স্টুডেন্ট গাইড ও কাউন্সেলিং ফি, বিভাগ উন্নয়ন ফি এবং পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাতিল করা।

এ দিকে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ফি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বেতন ১ হাজার ২০০ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ফি ২০০, ছাত্রকল্যাণ ১৫০, আইডি কার্ড ৪০০, চিকিৎসা ২০০, পরিবহন ৬০০, রোভার স্কাউট ৫০, বিএনসিসি ৫০, সিলেবাস ১৫০, পরীক্ষাবিষয়ক ফি প্রতি ক্রেডিট ১০০, পরীক্ষার কেন্দ্র ২০০, প্রবেশপত্র ২৫, বিষয়ক সংস্থাপন ১৫০, সিট ভাড়া ১৫০, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ২০০ টাকা এবং স্টুডেন্ট গাইড ও কাউন্সেলিং ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তবে গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ স্থগিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ও ২৬ অক্টোবর পৃথক দুটি স্মারকে প্রকাশিত কোর্স রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দ্বয়ের কার্যক্রম অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আলিফ বলেন, অগণিত ফি রয়েছে যা শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে ফেলেছে, সেসব বাতিল করতে হবে। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, করোনাকালের পরিবহন ফি এবং হল ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু ফি কমানো হয়েছে। তারপরেও যদি শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি থাকে সেগুলোও শোনা হবে। শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করেনি এমন ফি নেওয়া হবে না। দাবি থাকলে তাঁকে জানাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত