শাহীন রহমান, পাবনা
যাতায়াতের রাস্তা নেই, অথচ বিলের মাঝখানে নির্মাণ করে রাখা হয়েছে সেতু। আবার খালের ওপর সেতু আছে, নেই প্রয়োজনীয় সংযোগ সড়ক। অপ্রয়োজনীয় এমন সেতুর দেখা মিলবে পাবনার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ জনপথে। অপরিকল্পিত এসব সেতু দিয়ে চলতে পারে না কোনো যানবাহন। ফলে কোনোটার ওপর শুকানো হচ্ছে পাটখড়ি, কোনোটার ওপর রাখা হয়েছে খড়ের পালা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে সেতু নির্মাণ সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সোনাহারপাড়া গ্রামের খলিশাগাড়ি বিল। গ্রাম থেকে এ বিলে যাতায়াতের রাস্তা নেই বললেই চলে। অথচ বিলের মাঝেই নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট কর্মসূচির অধীনে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়, যাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম ও সাইফুল ইসলাম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গ্রামে ও বিলে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজন রাস্তার। কিন্তু সেই রাস্তা না করে, সেতু বানিয়ে সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে। সেতুটি মানুষের কোনো উপকারেই আসছে না।
একই উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের সিংগা খালের ওপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু, যাতে ব্যয় হয়েছে ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এই সেতুর দুপাশেও নেই চলাচলের প্রয়োজনীয় রাস্তা। ফলে এটিও কোনো উপকারে আসছে না।
এদিকে নিমাইচড়া গ্রামে সেতু নির্মাণ হলেও সেটি প্রায় ২০ ফুট উঁচু।
সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার ফলে কষ্ট বেড়েছে মানুষের। উঁচু খাড়া সেতুতে উঠতে-নামতে নাভিশ্বাস ওঠে বয়স্ক ও শিশুদের।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান। তিনি বলেন, ‘আপনি তথ্য চাইলে দিতে পারব, কিন্তু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারব না।’
সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে খালের ওপর একটি সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক। যাতায়াত কিংবা কোনো যানবাহন নিয়ে চলার উপায় নেই। ফসল আনা-নেওয়া করতেও দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল জব্বার ও ছাবেদ আলী বলেন, ‘ব্রিজ যখন করলই, তাইলে রাস্তাটাও কইরে দেওয়া লাগত। খামাখা এই ব্রিজ দিয়ে তোলা লাভ হয় নাই। ব্রিজে উঠানামা করতে রাস্তা দরকার। খুব কষ্ট হয়।’
ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটিরও একই অবস্থা। বর্ষা মৌসুমে সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকে। সেতুর ওপর রাখা হয়েছে খড়ের পালা। শুকানো হচ্ছে পাটখড়ি।
শুধু চাটমোহর, ফরিদপুর ও সুজানগর উপজেলায়ই নয়। এ রকম অসংখ্য সেতু রয়েছে পাবনার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ জনপথে। এসব সেতু উপকারের পরিবর্তে উল্টো দুর্ভোগ বাড়িয়েছে এলাকাবাসীর। অভিযোগ রয়েছে, এসব সেতুর নির্মাণকাজও নিম্নমানের। এলাকাবাসী বাধা দিলেও তোয়াক্কা করেননি ঠিকাদারেরা। ঠিকাদারের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব অপ্রয়োজনীয় ব্রিজ নির্মাণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট করেছে।
এ ধরনের অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণ সম্পর্কে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, কোনো পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারী করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিতভাবে সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্মাণ হলে এগুলো মানুষের কাজে লাগত এবং সরকারি অর্থের অপচয় হতো না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণ হলেও প্রয়োজনীয় সংযোগ সড়ক নেই, এ ধরনের কোনো তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে এ ধরনের কোনো সেতু থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাতায়াতের রাস্তা নেই, অথচ বিলের মাঝখানে নির্মাণ করে রাখা হয়েছে সেতু। আবার খালের ওপর সেতু আছে, নেই প্রয়োজনীয় সংযোগ সড়ক। অপ্রয়োজনীয় এমন সেতুর দেখা মিলবে পাবনার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ জনপথে। অপরিকল্পিত এসব সেতু দিয়ে চলতে পারে না কোনো যানবাহন। ফলে কোনোটার ওপর শুকানো হচ্ছে পাটখড়ি, কোনোটার ওপর রাখা হয়েছে খড়ের পালা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে সেতু নির্মাণ সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সোনাহারপাড়া গ্রামের খলিশাগাড়ি বিল। গ্রাম থেকে এ বিলে যাতায়াতের রাস্তা নেই বললেই চলে। অথচ বিলের মাঝেই নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট কর্মসূচির অধীনে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়, যাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম ও সাইফুল ইসলাম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গ্রামে ও বিলে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজন রাস্তার। কিন্তু সেই রাস্তা না করে, সেতু বানিয়ে সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে। সেতুটি মানুষের কোনো উপকারেই আসছে না।
একই উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের সিংগা খালের ওপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু, যাতে ব্যয় হয়েছে ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এই সেতুর দুপাশেও নেই চলাচলের প্রয়োজনীয় রাস্তা। ফলে এটিও কোনো উপকারে আসছে না।
এদিকে নিমাইচড়া গ্রামে সেতু নির্মাণ হলেও সেটি প্রায় ২০ ফুট উঁচু।
সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার ফলে কষ্ট বেড়েছে মানুষের। উঁচু খাড়া সেতুতে উঠতে-নামতে নাভিশ্বাস ওঠে বয়স্ক ও শিশুদের।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান। তিনি বলেন, ‘আপনি তথ্য চাইলে দিতে পারব, কিন্তু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারব না।’
সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে খালের ওপর একটি সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক। যাতায়াত কিংবা কোনো যানবাহন নিয়ে চলার উপায় নেই। ফসল আনা-নেওয়া করতেও দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল জব্বার ও ছাবেদ আলী বলেন, ‘ব্রিজ যখন করলই, তাইলে রাস্তাটাও কইরে দেওয়া লাগত। খামাখা এই ব্রিজ দিয়ে তোলা লাভ হয় নাই। ব্রিজে উঠানামা করতে রাস্তা দরকার। খুব কষ্ট হয়।’
ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটিরও একই অবস্থা। বর্ষা মৌসুমে সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকে। সেতুর ওপর রাখা হয়েছে খড়ের পালা। শুকানো হচ্ছে পাটখড়ি।
শুধু চাটমোহর, ফরিদপুর ও সুজানগর উপজেলায়ই নয়। এ রকম অসংখ্য সেতু রয়েছে পাবনার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ জনপথে। এসব সেতু উপকারের পরিবর্তে উল্টো দুর্ভোগ বাড়িয়েছে এলাকাবাসীর। অভিযোগ রয়েছে, এসব সেতুর নির্মাণকাজও নিম্নমানের। এলাকাবাসী বাধা দিলেও তোয়াক্কা করেননি ঠিকাদারেরা। ঠিকাদারের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব অপ্রয়োজনীয় ব্রিজ নির্মাণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট করেছে।
এ ধরনের অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণ সম্পর্কে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, কোনো পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারী করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিতভাবে সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্মাণ হলে এগুলো মানুষের কাজে লাগত এবং সরকারি অর্থের অপচয় হতো না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণ হলেও প্রয়োজনীয় সংযোগ সড়ক নেই, এ ধরনের কোনো তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে এ ধরনের কোনো সেতু থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪