Ajker Patrika

যুবলীগ নেতাদের শুভেচ্ছার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৫ মে ২০২২, ০৯: ২৪
যুবলীগ নেতাদের শুভেচ্ছার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগর

স্থাপনার দেয়াল থেকে সড়ক বিভাজক। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আইল্যান্ড। ফ্লাইওভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব চত্বর। সবখানেই যেন ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ দশা। সবকিছু যে ঢেকে গেছে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশীদের লাগানো পোস্টার–প্ল্যাকার্ড আর ব্যানারে!

এসব ব্যানার–ফেস্টুনে একদিকে যেমন নগরীর সৌন্দর্যহানি হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও।

আগামী ৩০ মে নগর যুবলীগের সম্মেলন হবে। ওই দিন সকাল ১০টায় পাঁচলাইশের ‘দি কিং অব চিটাগংয়ে’ শুরু হবে সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় এক মাস ধরে চলছে পদপ্রত্যাশীদের প্রচার–প্রচারণা আর কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রতিযোগিতা। অন্যান্য বারের চেয়ে যে কোনোভাবে যুবলীগের একটি পদ পেতে অনেকের মধ্যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। একটি তথ্যেই তার প্রমাণ মেল। যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার কথা ১৩১ সদস্যের। অথচ এসব পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ল ১ হাজার ২৬৯ টি। স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থী বাড়ায় ব্যানার–ফেস্টুনের পরিমাণও বেড়েছে। ব্যানার ফেস্টুনের বেশির ভাগই ‘সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই’ লেখা। অন্যগুলো কেন্দ্রীয় নেতাদের 
শুভেচ্ছা জানিয়ে।

শুরুর দিকে ব্যানার–ফেস্টুনের সংখ্যা কম থাকলেও ঈদের পর থেকে সেটি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার–ফেস্টুন দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগ ব্যানার ফেস্টুন এখন সাঁটানো হয়েছে রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে থেকে কাজীর দেউড়ি, প্রবর্তক হয়ে পাঁচলাইশ মোড়ের অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত সড়কটি।

ব্যানার–ফেস্টুন সাঁটানো নেতাদের মধ্যে ৬ জনের সঙ্গে কথা হয়েছে আজকের পত্রিকার। তবে কেউই নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তাঁরা বলেছেন, কর্মী–সমর্থকেরা ভালোবেসে এসব ব্যানার ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই তাঁরা এসব তুলে নেবেন।

করপোরেশনের আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬ অনুসারে, ২ ফুট বাই ৩ ফুটের ৫০০ প্ল্যাকার্ড লাগাতে করপোরেশনকে ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব দেওয়ার কথা। তবে প্ল্যাকার্ড-ব্যানারের আকার যত বাড়বে রাজস্বের পরিমাণও বাড়বে।

চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সম্মেলন ঘিরে অন্তত ১০ হাজার ব্যানার–পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ফলে বিপুল টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে করপোরেশন। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান-সংস্থার পোস্টার-ব্যানার উপড়ে ফেলা হলেও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার-পোস্টার সরাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না করপোরেশন।

পোস্টার-ব্যানারগুলো সরানো হবে কিনা সেটি জানতে সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও ধরেননি।

অবশ্য পোস্টার-ব্যানার নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠার পর গত রোববার করপোরেশনের সব স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত