Ajker Patrika

নতুন সাজে নীলফামারীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০৭
নতুন সাজে নীলফামারীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো

করোনায় বন্ধ থাকা নীলফামারীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো আবার সরব হয়ে উঠেছে। এসব কেন্দ্রে ফুলবাগান, সীমানাপ্রাচীরের সৌন্দর্য ও সুইমিং পুলসহ গাছপালা দিয়ে নতুন করে সাজাচ্ছেন মালিকেরা। এতে তাঁদের মোটা অঙ্কের মূলধন জোগান দিতে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। পয়লা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে তাঁরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সিদ্দিকুল আলম বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পার্কের মালিক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করায় দেনার দায় বেড়েছে। সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে শিল্পটি আবারও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।

তিনি আরও জানান, করোনা শুরুর আগে বৈশাখ মাসের প্রথম এক সপ্তাহজুড়ে পার্কগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। কিন্তু এবারে বিনোদনের সরঞ্জামগুলো সচল না থাকায় তেমন সাড়া মিলবে কি না সন্দেহ রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় বিনোদন পার্কের গাছপালা, ফুলের বাগান, দর্শনার্থীদের চলাচলের রাস্তা, বিভিন্ন রাইড মেরামত ও পরিচর্যার কাজে এখন ব্যস্ত বিনোদন কেন্দ্রের কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়া অনেক রাইড ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অর্থসংকটে পড়া মালিকেরা ওইসব রাইড মেরামতের মাধ্যমে সচল করার চেষ্টা করছেন।

পার্কের কর্মচারী সেকেন্দার আলী জানান, করোনার সময় পার্কের কোনো আয়-রোজগার না থাকায় অর্ধেক বেতনে কাজ করতে হয়েছে। অনেকে অন্য পেশায় যোগ দিয়ে আর ফিরে আসেনি।

তিনি আরও জানান, পার্ক বন্ধ থাকায় ফুলের বাগান ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। এগুলো সাজাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। তা ছাড়া রাইডসগুলো সম্পূর্ণরূপে সচল না হওয়ায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে।

সৈয়দপুর থিম পার্কের পরিচালক আসাদ জাহান সাগর আজকের পত্রিকাকে জানান, দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় প্যাডেল ও ইলেকট্রনিক বোট, ব্যালেরিনা, স্পাইডার, পাইরেট শিপ, জ্যাম্পকিং ক্যাসেল, কিডস রাইটস, রেসিং কার, কিডস ট্রেন রাইডসের ৬০ শতাংশ বিকল হয়ে গেছে; যা এখন মেরামত করে সচল করার কাজ চলছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু রাইটস ইতিমধ্যে সচল করা হয়েছে। ঈদের আগে এসব মেরামতের পাশাপাশি নতুন কিছু রাইটস সংযোজন করা হবে। শুধু নষ্ট হয়ে যাওয়া পার্কের বিভিন্ন জিনিসপত্র মেরামতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।

নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রবেশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য প্রতিনিয়ত এসব বিনোদন কেন্দ্রে মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল নীলফামারী জেলায় ব্যক্তিমালিকানা চারটি বিনোদন পার্ক। আয়-রোজগার না থাকায় কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করেছেন কর্মচারীদের। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই নষ্ট হয়ে গেছে বিনোদনের বিভিন্ন রাইটস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত