Ajker Patrika

গৌরনদীতে জমজমাট শারদীয় মেলা

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৪২
গৌরনদীতে জমজমাট শারদীয় মেলা

গৌরনদী বন্দর দুর্গা মন্দিরের আশপাশে এক কিলোমিটার জুড়ে জমে উঠেছে গ্রামীণ মেলা। পুজোর সময়ের এই মেলা স্থায়ী হয় চার-পাঁচ দিন। তবে মেলার কাঠের আসবার পত্র পাওয়া যায় ১৫ দিনে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ হাজির হন মেলায়।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠছে মেলা। সব বয়সের মানুষ এলেও নারী ও শিশুদের উপস্থিতি বেশি। দুর্গাপূজার প্রথম দিন থেকে মেলা শুরু হয়েছে।

বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন বাবু সরদার। তিনি বলেন, প্রতিবছরই আসি। বৈশাখী মেলা আর দুর্গাপূজার মেলা ছাড়া এমন আমেজ তো পাওয়া যায় না।

প্রবেশ দ্বার থেকে পুরো সড়কের দুই ধারে বাহারি পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্টলগুলোতে। গৌরনদী বন্দরের কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, প্রতিবছর হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বন্দরের ঐতিহ্যবাহী মেলা। পূজাকে কেন্দ্র করে যুগ যুগ ধরে মেলা বসছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে মালামাল নিয়ে দোকান সাজিয়েছেন। গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা উপকরণ রয়েছে এ মেলায়। গৃহস্থলীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে দোকানপাট দিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় কাঠের ফার্নিচারের দোকান সবচেয়ে বেশি। গৌরনদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পৌরসভার মাঠসহ আশপাশের সব জায়গা কাঠের ফার্নিচারে পরিপূর্ণ। এ মেলায় খাট, সুকেশ, সোফা, আলমারি, আলমারিসহ সব ধরনের আসবারপত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা, কসমেটিকস, দা, কাঁচি, বটি, জিলাপি, পাপর ভাজা, বাতাসা, নকুল দানাসহ নানান কিছু মেলে।

মেলায় আসা নান্টু চন্দ্র দাস বলেন, বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনতে মেলায় এসেছি।

মেলায় আসা আসবাবপত্র ক্রেতা জলিলুর রহমান (৪৪), রাবেয়া বেগমসহ (৪০) কয়েকজন জানান, তারা এই মেলার জন্য অনেকেই অপেক্ষা থাকেন। কারণ মেলা থেকে কমদামে কাঠের আসবাবপত্র কিনতে পারেন। মাহিলাড়ার খোকন মোল্লা বলেন, মেলায় একটি খাট, সুকেশ কেনার জন্য এসেছি। যেখানে পছন্দ হবে সেখান থেকে কিনে নেব।

সাতক্ষীরা থেকে আসা আসবাব ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতি বছর এ মেলায় আসবাবপত্র নিয়ে আসি। কারণ এখানে বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায়, মুনাফা বেশি হয়। কিন্তু এ বছর বেচাকেনা একটু কম, তাই সামান্য লাভ হলেই জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত