...আমি যে কতটা উন্মুখ ছিলাম আজকের দিনটির জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সমস্যা হলো, পরম সত্যবহ এই মুহূর্তটিকে ব্যাখ্যা করে বলার মতো ভাষা আমার নেই। জন্মসূত্রে বাকপটু নয়, এমন একজন মানুষের যেমনটা হওয়ার কথা আর কি!
সব লেখকই হয়তো এই শ্রেণিতে পড়েন। একজন লেখক এবং একজন বাগ্মী—এঁরা দুজন শুধু যে পৃথক তা-ই নয়, তাঁরা সম্পূর্ণ দুটি আলাদা গ্রহে বসবাস করেন। একজন স্থিতপ্রজ্ঞ লেখক সহজাতভাবেই তাঁর সাহিত্যদর্শনের জায়গা থেকেই সমস্ত বাড়তি বাক্যের প্রবণতাকে নস্যাৎ করে থাকেন। সেই সঙ্গে তাঁর রয়েছে পরিমিতিবোধের প্রবণতা, যা কিনা কথার মধ্যে অন্তর্বর্তী সিদ্ধান্তের শূন্যতাকে যত্নে রেখে দেয়, বক্তার ব্যক্তিত্ব যে শূন্যস্থান পূর্ণ করে। কিন্তু আমার বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে সাময়িক কিছু সমস্যায়। আপনাদের সামনে সুইডিশ একাডেমির যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা এক বর্ণময় বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আমি সত্যিই জানতাম না এই চোখধাঁধানো সম্মান আপনারা আমায় দেবেন। যেদিন থেকে সুইডিশ একাডেমি তাদের এই সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে এনেছে, আমি যেন ডুবে গিয়েছি উৎসবের ঘোরের মধ্যে, সারাক্ষণ এক উথালপাতাল, যার প্রভাব আমার মনে কীভাবে পড়ছে তা ঠিক বিশদে বলা কঠিন; বরং গ্যোথের একটি সুন্দর প্রেমের কবিতার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। খোদ কিউপিডকে উদ্দেশ্য করে লেখা যে লাইনটি আমার মাথায় আসছে, ‘তুমি আমার প্রত্যঙ্গ তৈরি করে তারপর কেড়ে নিলে!’ আমার গৃহস্থালিতে নোবেল পুরস্কার, নাটকীয় বিভ্রান্তি তৈরি করেছে এবং কোনো অসম্মান না দেখিয়ে এটুকু বলতে চাই, নোবেল পুরস্কারের ফলাফল, একটি সুবিন্যস্ত মানবজীবনে আবেগের আলোছায়া তৈরি করার মতোই।
এসবের পরেও যেটা বলার, যে সম্মান আমাকে দেওয়া হলো তাকে বিনা সন্দেহেই গ্রহণ করা যেকোনো শিল্পীর পক্ষেই কঠিন। একমাত্র চরম ব্যক্তিগত মতবাদই এ ধরনের বিভ্রান্তি কাটাতে সাহায্য করতে পারে।
টমাস মান ১৯২৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান
...আমি যে কতটা উন্মুখ ছিলাম আজকের দিনটির জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সমস্যা হলো, পরম সত্যবহ এই মুহূর্তটিকে ব্যাখ্যা করে বলার মতো ভাষা আমার নেই। জন্মসূত্রে বাকপটু নয়, এমন একজন মানুষের যেমনটা হওয়ার কথা আর কি!
সব লেখকই হয়তো এই শ্রেণিতে পড়েন। একজন লেখক এবং একজন বাগ্মী—এঁরা দুজন শুধু যে পৃথক তা-ই নয়, তাঁরা সম্পূর্ণ দুটি আলাদা গ্রহে বসবাস করেন। একজন স্থিতপ্রজ্ঞ লেখক সহজাতভাবেই তাঁর সাহিত্যদর্শনের জায়গা থেকেই সমস্ত বাড়তি বাক্যের প্রবণতাকে নস্যাৎ করে থাকেন। সেই সঙ্গে তাঁর রয়েছে পরিমিতিবোধের প্রবণতা, যা কিনা কথার মধ্যে অন্তর্বর্তী সিদ্ধান্তের শূন্যতাকে যত্নে রেখে দেয়, বক্তার ব্যক্তিত্ব যে শূন্যস্থান পূর্ণ করে। কিন্তু আমার বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে সাময়িক কিছু সমস্যায়। আপনাদের সামনে সুইডিশ একাডেমির যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা এক বর্ণময় বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আমি সত্যিই জানতাম না এই চোখধাঁধানো সম্মান আপনারা আমায় দেবেন। যেদিন থেকে সুইডিশ একাডেমি তাদের এই সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে এনেছে, আমি যেন ডুবে গিয়েছি উৎসবের ঘোরের মধ্যে, সারাক্ষণ এক উথালপাতাল, যার প্রভাব আমার মনে কীভাবে পড়ছে তা ঠিক বিশদে বলা কঠিন; বরং গ্যোথের একটি সুন্দর প্রেমের কবিতার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। খোদ কিউপিডকে উদ্দেশ্য করে লেখা যে লাইনটি আমার মাথায় আসছে, ‘তুমি আমার প্রত্যঙ্গ তৈরি করে তারপর কেড়ে নিলে!’ আমার গৃহস্থালিতে নোবেল পুরস্কার, নাটকীয় বিভ্রান্তি তৈরি করেছে এবং কোনো অসম্মান না দেখিয়ে এটুকু বলতে চাই, নোবেল পুরস্কারের ফলাফল, একটি সুবিন্যস্ত মানবজীবনে আবেগের আলোছায়া তৈরি করার মতোই।
এসবের পরেও যেটা বলার, যে সম্মান আমাকে দেওয়া হলো তাকে বিনা সন্দেহেই গ্রহণ করা যেকোনো শিল্পীর পক্ষেই কঠিন। একমাত্র চরম ব্যক্তিগত মতবাদই এ ধরনের বিভ্রান্তি কাটাতে সাহায্য করতে পারে।
টমাস মান ১৯২৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫