Ajker Patrika

বিতর্কিতদের পক্ষে এমপি রিমনের চাপ, কেন্দ্রে যায়নি তালিকা

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১২: ১৩
বিতর্কিতদের পক্ষে এমপি রিমনের চাপ, কেন্দ্রে যায়নি তালিকা

দলীয় প্রার্থী বাছাই করে কেন্দ্রে পাঠানোর শেষ দিন ছিল গত বুধবার। কিন্তু শেষ দিনেও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বাছাই প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠাতে পারেনি উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিতর্কিত ব্যক্তিদের তালিকায় রাখতে স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের চাপের কারণে তালিকা পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার নেতারা। এমনকি বর্ধিত সভায় সাংসদ তাঁর লোকজন দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবির হোসেনকে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, পাথরঘাটা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মনোনয়নের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গত সোমবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই সভার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের সামনেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংসদ অনুসারী আকন মোহাম্মদ শহীদ বারবার সাধারণ সম্পাদক জাবির হোসেনের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন।

উপস্থিত নেতা-কর্মীরা নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও সাংসদ হাচানুর সামনের চেয়ারে বসা ছিলেন।

এ বিষয়ে জাবির হোসেন বলেন, ‘পাথরঘাটা উপজেলার সদর, চরদুয়ানী, রায়হানপুর ও নাচনাপাড়া এই চারটি ইউনিয়নের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক চলছিল। সাংসদ হাচানুর তাঁর অনুসারীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় তিনজনের নাম আমরা সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রে পাঠাব। কিন্তু সাংসদ রিমনের পক্ষ থেকে এতে আপত্তি ওঠে এবং তাঁর পছন্দের প্রার্থীর নাম ক্রমিকের ১ নম্বরে রেখে ওখানে বসেই তালিকা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সাংসদের ঘনিষ্ঠ শহীদ আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। এমনকি সাংসদ অনেককে ফোন করে হুমকি ও লোক পাঠিয়ে ভয় দেখান। যে কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারিনি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এমপি রিমনের অযাচিত হস্তক্ষেপে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি। রিমন যাদের নাম তালিকায় দিতে চান, তারা সবাই কমবেশি বিতর্কিত ও সমালোচিত। বিশেষ করে রায়হানপুর ইউনিয়নে তাঁর পছন্দের প্রার্থী মিজানুর রহমান রূপক ২০০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি “দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নেওয়া উচিত” বলেও মন্তব্য করেছিলেন। সদর ইউনিয়নে এমপির পছন্দের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের শ্বশুর মকবুল হোসেন শান্তি কমিটির ইউনিয়ন কমান্ডার ছিলেন। একইভাবে চরদুয়ানী ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নে এমপি রিমনের পছন্দের প্রার্থীরাও বিতর্কিত।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ শওকত হাচানুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী ও তাঁদের লোকজন ক্ষুব্ধ হওয়ায় বর্ধিত সভায় তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমার অনুসারীরা কাউকে লাঞ্ছিত করেনি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ে সাংসদের হস্তক্ষেপ ও চাপের বিষয়ে উপজেলার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা সেটি কেন্দ্রে পাঠাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত