সম্পাদকীয়
বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ আর সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘পরিচয়’ তৎকালীন অনেক কাব্যজিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছিল। ‘পরিচয়’ নামের ত্রৈমাসিক কাগজটি বের হতো ১৯৩১ সালের জুলাই থেকে। শুরুতে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সাত বছর ধরে পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। এরপর তিনি হিরণকুমার সান্যালের সঙ্গে যুগ্মভাবে পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পত্রিকাটির দায়িত্ব ছেড়ে দিলে ক্রমেই এটি হয়ে ওঠে বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবীদের আশ্রয়স্থল।
পরিচয় পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যায় ১৯৩২ সালে ছাপা জীবনানন্দ দাশের ‘ক্যাম্পে’ কবিতাটির ‘ঘাইহরিণী’ শব্দটি নিয়ে পরিচয়কর্মীদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। অথচ কবিতা চেয়ে বিষ্ণু দে স্বয়ং অনুরোধ করেছিলেন জীবনানন্দ দাশকে।
বিশেষ করে ‘ঘাই’ শব্দের মানে সবাই না জানায় বিব্রত হচ্ছিলেন তাঁরা। ঘাই একটি অসমিয়া শব্দ। এটি আসলে অন্য পাখিকে ধরার জন্য টোপ হিসেবে ব্যবহৃত আরেকটি পাখিকে বোঝানো হয়। সচরাচর এই টোপ হয়ে থাকে পুরুষ পাখি। টোপের এই সংজ্ঞাটিকে জীবনানন্দ হরিণীতে রূপান্তর করেছিলেন। সন্দেহ করার কারণ নেই, যৌনতাই এই টোপের প্রতি প্রলোভন জাগিয়ে তোলে।
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এই কবিতা একেবারেই ছাপতে চাননি। পরিচয় পত্রিকার প্রথম সাত বছরে জীবনানন্দের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে জীবনানন্দ সম্পর্কে সুধীন্দ্রনাথের মনোভাবকেও অনেকে দায়ী করে থাকেন।
অন্যদিকে বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশের উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, কবিজীবনের একেবারে প্রথমদিকে জীবনানন্দের রচনা ছিল সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ও নজরুল ইসলামের মতো। ধূসর পাণ্ডুলিপিতে এসে প্রকাশিত হলো তাঁর অনন্যতা। বুদ্ধদেব লিখছেন, ‘রূপকথার জগতের মতোই এ-কবির জগৎ আমাদের আত্মসাৎ করে নেয়, সেখান থেকে বেরোবার পথ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর এই দিনটিতে জীবনানন্দ দাশ পৃথিবী ছেড়েছিলেন।
সূত্র: ক্লিন্টন বি সিলি, অনন্য জীবনানন্দ, পৃষ্ঠা: ১১৯-১২০
বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ আর সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘পরিচয়’ তৎকালীন অনেক কাব্যজিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছিল। ‘পরিচয়’ নামের ত্রৈমাসিক কাগজটি বের হতো ১৯৩১ সালের জুলাই থেকে। শুরুতে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সাত বছর ধরে পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। এরপর তিনি হিরণকুমার সান্যালের সঙ্গে যুগ্মভাবে পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। এরপর ১৯৪৩ সালে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পত্রিকাটির দায়িত্ব ছেড়ে দিলে ক্রমেই এটি হয়ে ওঠে বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবীদের আশ্রয়স্থল।
পরিচয় পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যায় ১৯৩২ সালে ছাপা জীবনানন্দ দাশের ‘ক্যাম্পে’ কবিতাটির ‘ঘাইহরিণী’ শব্দটি নিয়ে পরিচয়কর্মীদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। অথচ কবিতা চেয়ে বিষ্ণু দে স্বয়ং অনুরোধ করেছিলেন জীবনানন্দ দাশকে।
বিশেষ করে ‘ঘাই’ শব্দের মানে সবাই না জানায় বিব্রত হচ্ছিলেন তাঁরা। ঘাই একটি অসমিয়া শব্দ। এটি আসলে অন্য পাখিকে ধরার জন্য টোপ হিসেবে ব্যবহৃত আরেকটি পাখিকে বোঝানো হয়। সচরাচর এই টোপ হয়ে থাকে পুরুষ পাখি। টোপের এই সংজ্ঞাটিকে জীবনানন্দ হরিণীতে রূপান্তর করেছিলেন। সন্দেহ করার কারণ নেই, যৌনতাই এই টোপের প্রতি প্রলোভন জাগিয়ে তোলে।
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এই কবিতা একেবারেই ছাপতে চাননি। পরিচয় পত্রিকার প্রথম সাত বছরে জীবনানন্দের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে জীবনানন্দ সম্পর্কে সুধীন্দ্রনাথের মনোভাবকেও অনেকে দায়ী করে থাকেন।
অন্যদিকে বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশের উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, কবিজীবনের একেবারে প্রথমদিকে জীবনানন্দের রচনা ছিল সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ও নজরুল ইসলামের মতো। ধূসর পাণ্ডুলিপিতে এসে প্রকাশিত হলো তাঁর অনন্যতা। বুদ্ধদেব লিখছেন, ‘রূপকথার জগতের মতোই এ-কবির জগৎ আমাদের আত্মসাৎ করে নেয়, সেখান থেকে বেরোবার পথ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর এই দিনটিতে জীবনানন্দ দাশ পৃথিবী ছেড়েছিলেন।
সূত্র: ক্লিন্টন বি সিলি, অনন্য জীবনানন্দ, পৃষ্ঠা: ১১৯-১২০
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫