Ajker Patrika

সাড়া কম, টিকা কর্মসূচি শেষ আগেভাগেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৪৯
সাড়া কম, টিকা কর্মসূচি শেষ আগেভাগেই

ঘটা করে শুরু হলেও সাড়া কম থাকায় কড়াইল বস্তিতে করোনার টিকা কর্মসূচির সমাপ্তি টানা হয়েছে নির্ধারিত সময়সীমার আগেই। আগামী মঙ্গলবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন অন্য বস্তিগুলোয় শুরু হবে পরবর্তী কর্মসূচি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর বস্তিবাসীকে টিকার আওতায় আনতে বিশেষ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে গণটিকা কর্মসূচির আদলে গত মঙ্গলবার থেকে (১৬ নভেম্বর) কড়াইল বস্তিতে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম। দৈনিক ১৫ হাজার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের আওতায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চার দিনে টিকা পেয়েছেন সাকল্যে ১৬ হাজার ২২১ জন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার মাত্র এক-চতুর্থাংশ পূরণ হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে কর্মসূচি দীর্ঘায়িত না করে গতকালই কড়াইল বস্তির টিকাদান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শেষ দিনে টিকা নিয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৭ জন। এর আগের তিন দিনের তুলনায় গতকাল ছুটির দিনে টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে কম। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদে জটিলতা থাকায় গতকালও টিকা নিতে পারেননি অনেকে।

গতকাল টিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বস্তিতে দিনমজুর থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ থাকেন। নিবন্ধনের পাশাপাশি আগের দুই দফা গণটিকায় অনেকে টিকা নেওয়ায় বাকিদের টিকা নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলাম আমরা। অন্য দিন ব্যস্ততা থাকায় ছুটির দিন তাঁদের টিকা দিতে চেয়েছিলাম। অন্তত এক লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার চিন্তা থাকলেও তা হয়নি।’

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কড়াইল বস্তিতে প্রায় ১ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশের টিকা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা ছিল। সে পরিমাণ টিকাও হাতে আছে। কিন্তু সেটি হয়নি। তাৎক্ষণিক নিবন্ধন হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। কাউন্সিলরের মাধ্যমে সেগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এদিকে আগামী সপ্তাহে উত্তর সিটির অন্যান্য বস্তিতে টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোন কোন বস্তিতে দেওয়া হবে প্রাথমিকভাবে, সেই তালিকা প্রস্তুতও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। বস্তির বাসিন্দারের এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও চীনের সিনোফার্ম টিকা দেওয়া হচ্ছে।

সরকারি হিসাবমতে, দেশে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের উপহার, কেনা এবং টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে সাড়ে ১১ কোটি ডোজ টিকা এসেছে। এগুলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্নার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৫ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৯ জন। তবে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন দুই-তৃতীয়াংশ। সংখ্যা যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৬ জন। বর্তমানে দৈনিক ৮ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হচ্ছে। বস্তির বাসিন্দারের পাশাপাশি টিকা পাচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত