সম্পাদকীয়
সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে যে তুঘলকি কাণ্ড করল, তাকে দায়িত্বহীন বললেও আসলে কিছু বলা হয় না। শিশুদের একটি পরীক্ষা নিয়ে এমন খামখেয়ালিপনা আর কোনো দেশে করা সম্ভব বলে মনে হয় না। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ উপেক্ষা করে গত বছরের শেষ দিকে হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া থেকে মঙ্গলবার ফল প্রকাশ এবং ফল প্রকাশের ছয় ঘণ্টা পর তা স্থগিত করার বিষয়টি শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী—কেউ-ই স্বাভাবিক ঘটনা বলে মেনে নিতে পারছেন না। শিশুশিক্ষার্থীদের মনের ওপর এমন চাপ তৈরি করার জন্য যদি কাউকে জবাবদিহি করতে না হয়, কারও যদি কোনো শাস্তি না হয়, তাহলে বলতেই হবে যে বাংলাদেশ সত্যি সব সম্ভবের দেশ। এখানে শিক্ষার মতো একটি জরুরি ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও দায়সারা কাজ করা যায়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ফল প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
কিন্তু ফল ঘোষণার ছয় ঘণ্টা পরই তা স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রাথমিক বৃত্তি ২০২২-এর ফলাফল পুনঃযাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল স্থগিত করা হলো।
কী হয়েছে এই কারিগরি ত্রুটির ফল? যার বৃত্তি পাওয়ার কথা সে পায়নি, আবার যার পাওয়ার কথা নয়, সে বৃত্তি পেয়েছে। এমনকি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও বৃত্তি পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ‘কিছু ভুল হয়েছে, সংশোধন করা হচ্ছে’ বলে যত সহজে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চাইছেন, তত সহজে কি এটা মিটে যাবে? ফলাফল ঘোষণার পর কৃতী শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেছে, নানাভাবে উদ্যাপন করেছে। আত্মীয়স্বজনেরা মিষ্টিমুখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সাফল্যের কথা প্রচার করা হয়েছে। এখন ত্রুটি সংশোধনের পর প্রথম ঘোষিত ফলের সঙ্গে যাদের ফল মিলবে না, অর্থাৎ বৃত্তি পেয়ে উল্লাস করা শিশুটি যদি বাদ পড়ে তাহলে তার প্রতিক্রিয়া কী হবে? সে কি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে না? ছোট হলেও সবারই তো আত্মসম্মানবোধ থাকে। কাউকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের গাফিলতির কারণে শিশুদের ওপর যে অত্যাচার হলো, তা মেনে নেওয়া যায় না।
শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গাফিলতি ও অবহেলার ঘটনা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব শিক্ষার্থীর হাতে সময়মতো সব পাঠ্যবই দিতে না পারা, পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনার মধ্যেই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ঘটল চরম অনিয়ম। এসব অব্যাহত থাকলে পড়াশোনার প্রতি শিশুদের আগ্রহ তৈরি হবে, না ভীতির কারণ হবে?
সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে যে তুঘলকি কাণ্ড করল, তাকে দায়িত্বহীন বললেও আসলে কিছু বলা হয় না। শিশুদের একটি পরীক্ষা নিয়ে এমন খামখেয়ালিপনা আর কোনো দেশে করা সম্ভব বলে মনে হয় না। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ উপেক্ষা করে গত বছরের শেষ দিকে হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া থেকে মঙ্গলবার ফল প্রকাশ এবং ফল প্রকাশের ছয় ঘণ্টা পর তা স্থগিত করার বিষয়টি শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী—কেউ-ই স্বাভাবিক ঘটনা বলে মেনে নিতে পারছেন না। শিশুশিক্ষার্থীদের মনের ওপর এমন চাপ তৈরি করার জন্য যদি কাউকে জবাবদিহি করতে না হয়, কারও যদি কোনো শাস্তি না হয়, তাহলে বলতেই হবে যে বাংলাদেশ সত্যি সব সম্ভবের দেশ। এখানে শিক্ষার মতো একটি জরুরি ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও দায়সারা কাজ করা যায়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ফল প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
কিন্তু ফল ঘোষণার ছয় ঘণ্টা পরই তা স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রাথমিক বৃত্তি ২০২২-এর ফলাফল পুনঃযাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল স্থগিত করা হলো।
কী হয়েছে এই কারিগরি ত্রুটির ফল? যার বৃত্তি পাওয়ার কথা সে পায়নি, আবার যার পাওয়ার কথা নয়, সে বৃত্তি পেয়েছে। এমনকি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও বৃত্তি পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ‘কিছু ভুল হয়েছে, সংশোধন করা হচ্ছে’ বলে যত সহজে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চাইছেন, তত সহজে কি এটা মিটে যাবে? ফলাফল ঘোষণার পর কৃতী শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেছে, নানাভাবে উদ্যাপন করেছে। আত্মীয়স্বজনেরা মিষ্টিমুখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সাফল্যের কথা প্রচার করা হয়েছে। এখন ত্রুটি সংশোধনের পর প্রথম ঘোষিত ফলের সঙ্গে যাদের ফল মিলবে না, অর্থাৎ বৃত্তি পেয়ে উল্লাস করা শিশুটি যদি বাদ পড়ে তাহলে তার প্রতিক্রিয়া কী হবে? সে কি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে না? ছোট হলেও সবারই তো আত্মসম্মানবোধ থাকে। কাউকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের গাফিলতির কারণে শিশুদের ওপর যে অত্যাচার হলো, তা মেনে নেওয়া যায় না।
শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গাফিলতি ও অবহেলার ঘটনা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব শিক্ষার্থীর হাতে সময়মতো সব পাঠ্যবই দিতে না পারা, পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনার মধ্যেই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ঘটল চরম অনিয়ম। এসব অব্যাহত থাকলে পড়াশোনার প্রতি শিশুদের আগ্রহ তৈরি হবে, না ভীতির কারণ হবে?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫