লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে শীতের আমেজে মাষকলাই ও চালকুমড়ো দিয়ে বড়ি তৈরি করছেন গ্রামাঞ্চলের নারীরা। কুমড়োর বড়ি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার। এলাকার নারীরা একে অপরকে সহযোগিতা করে কুমড়োর বড়ি তৈরির কাজটি করে থাকেন।
গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের খাবার কুমড়োর বড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে সুস্বাদু কুমড়োর বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গ্রামের নারীরা।
মাধবপুর গ্রামের আমিনা বেগম জানান, মাষকলাই প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ ও চাল-কুমড়োর আকারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় কিনেছেন। বড়ি বানাতে কলাইয়ের ডাল রোদে ভালো করে শুকিয়ে আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নেন। চালকুমড়ো ছিলে ভেতরের নরম অংশ ফেলে দিয়ে বাকি অংশ মিহি কুচি করে কাটা হয়। কুমড়ো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সারা রাত ঝুলিয়ে রাখতে হয়। পরের দিন ভোরে ডালের পানি ছেঁকে শিলপাটায় বেঁটে ডালের সঙ্গে কুমড়ো মেশানো হয়। যতক্ষণ না ডাল-কুমড়োর মিশ্রণ হালকা হয়, ততক্ষণ ফেটতে হয়। কড়া রোদে চাটি বা কাপড় বিছিয়ে বড়ির আকার দিয়ে একটু ফাঁকা করে বসিয়ে শুকানো হয়। তিন-চার দিন রোদে শুকানোর পর খাওয়ার উপযোগী হয়। অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় এ বড়ি।
উত্তর লালপুর গ্রামের রাহেলা বেগম বলেন, কুমড়োর বড়ি তৈরিতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। রাত জেগে শিলপাটায় ডাল বেঁটে কষ্ট করে কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে হয়। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ভালো বড়ির জন্য উপযোগী। বৈরী আবহাওয়া আর শৈত্যপ্রবাহ বড়ির মান নষ্ট করে দেয়। অনেকে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, লালপুরের পদ্মার চরে প্রচুর চালকুমড়োর উৎপাদন হয়। কুমড়ো বড়ির ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ডাল) ড. মো. ওমর আলী বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম মাষকলাইয়ে ক্যালরি ৩৪১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৯৮৩ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ২৫ গ্রাম, সোডিয়াম ৩৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৭ দশমিক ৫৭ মিলিগ্রাম থাকে। পুষ্টিকর সবজি চালকুমড়োতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে।
নাটোরের লালপুরে শীতের আমেজে মাষকলাই ও চালকুমড়ো দিয়ে বড়ি তৈরি করছেন গ্রামাঞ্চলের নারীরা। কুমড়োর বড়ি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার। এলাকার নারীরা একে অপরকে সহযোগিতা করে কুমড়োর বড়ি তৈরির কাজটি করে থাকেন।
গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের খাবার কুমড়োর বড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে সুস্বাদু কুমড়োর বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গ্রামের নারীরা।
মাধবপুর গ্রামের আমিনা বেগম জানান, মাষকলাই প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ ও চাল-কুমড়োর আকারভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় কিনেছেন। বড়ি বানাতে কলাইয়ের ডাল রোদে ভালো করে শুকিয়ে আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নেন। চালকুমড়ো ছিলে ভেতরের নরম অংশ ফেলে দিয়ে বাকি অংশ মিহি কুচি করে কাটা হয়। কুমড়ো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সারা রাত ঝুলিয়ে রাখতে হয়। পরের দিন ভোরে ডালের পানি ছেঁকে শিলপাটায় বেঁটে ডালের সঙ্গে কুমড়ো মেশানো হয়। যতক্ষণ না ডাল-কুমড়োর মিশ্রণ হালকা হয়, ততক্ষণ ফেটতে হয়। কড়া রোদে চাটি বা কাপড় বিছিয়ে বড়ির আকার দিয়ে একটু ফাঁকা করে বসিয়ে শুকানো হয়। তিন-চার দিন রোদে শুকানোর পর খাওয়ার উপযোগী হয়। অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় এ বড়ি।
উত্তর লালপুর গ্রামের রাহেলা বেগম বলেন, কুমড়োর বড়ি তৈরিতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। রাত জেগে শিলপাটায় ডাল বেঁটে কষ্ট করে কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে হয়। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ভালো বড়ির জন্য উপযোগী। বৈরী আবহাওয়া আর শৈত্যপ্রবাহ বড়ির মান নষ্ট করে দেয়। অনেকে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, লালপুরের পদ্মার চরে প্রচুর চালকুমড়োর উৎপাদন হয়। কুমড়ো বড়ির ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ডাল) ড. মো. ওমর আলী বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম মাষকলাইয়ে ক্যালরি ৩৪১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৯৮৩ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ২৫ গ্রাম, সোডিয়াম ৩৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৭ দশমিক ৫৭ মিলিগ্রাম থাকে। পুষ্টিকর সবজি চালকুমড়োতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪