শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পরচা ও নকশার জন্য করা আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা প্রায় ৩০টি আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি লাগানো হয়। তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় খলিলুর রহমান মোল্যা নামের এক স্ট্যাম্প ভেন্ডারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি নানা ধরনের দলিল-দস্তাবেজ, বিভিন্ন মামলার রায়, পরচা, নকল, নকশা ও আদালতের নানা নথিসহ বিভিন্ন সেবা পেতে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদন করার সময় বিভিন্ন মূল্যের সরকারি কোর্ট ফি জুড়ে দিতে হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সনদ (লাইসেন্স) নিয়ে স্ট্যাম্প ভেন্ডাররা কোর্ট ফি বিক্রি করে থাকেন। সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডাররা ওই সব কোর্ট ফি সংগ্রহ করেন। তাঁরা সংগ্রহ করা কোর্ট ফি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম থেকে পরচা ও নকশা পেতে যে আবেদন করা হয়, তার মধ্যে বেশ কিছু নকল কোর্ট ফি পাওয়া গেছে। বিষয়টির সত্যতা জানতে গত মঙ্গলবার রেকর্ডরুম ডেপুটি কালেক্টর সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা বেশকিছু আবেদনপত্রের কোর্ট ফি যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করেন। তাতে অন্তত ৩০টি আবেদনে লাগানো ২০ টাকা দামের কোর্ট ফি নকল বলে জানা গেছে। আবেদনপত্রগুলোর সিরিয়াল নম্বর রেজিস্ট্রারে মিলিয়ে দেখা যায় ওই কোর্ট ফিগুলো খলিলুর রহমান মোল্যা নামের এক স্ট্যাম্প ভেন্ডার বিক্রি করেছেন।
শরীয়তপুর জজ কোর্টের আইনজীবী কামরুন নাহার লিপি মক্কেলের জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলার নাওডোবা ও গোসাইরহাট উপজেলার খাগৈর মৌজার পরচা পেতে চারটি আবেদন করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওই আবেদনে লাগানো কোর্ট ফিগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় সবগুলোই নকল।
জানতে চাইলে কামরুন নাহার বলেন, ‘খলিলুর রহমান নামের এক ভেন্ডারের কাছ থেকে আবেদনপত্রের কাগজসহ কোর্ট ফি কিনেছিলাম। ওই কাগজে তিনি কোর্ট ফি বিশেষ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেন, যা কেউ চাইলেই পরিবর্তন বা ওঠাতে পারবেন না। ওই কোর্ট ফি নকল কি না তা বুঝতে পারিনি।’
পৌরসভার ধানুকা এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান মোল্যা ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের সনদ নিয়েছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কোর্ট ফি বিক্রি করেন।
চিহ্নিত হওয়া নকল কোর্ট ফিগুলো খলিলুর রহমানের কাছ থেকে কেনেন আবেদনকারীরা। নকল কোর্ট ফি লাগিয়ে যাঁরা আবেদন করেছেন, তার অধিকাংশই ঝর্ণা বেগম ও সিয়াম নামে করা হয়েছে। আবেদনে তাঁদের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্ট্যাম্প ভেন্ডার খলিলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকে চালান জমা দিয়ে কোর্ট ফির মূল্য পরিশোধ করি। এরপর ট্রেজারি থেকে তা সংগ্রহ করে বিক্রি করি। আমি নকল কোর্ট ফি কোথায় পাব? বিক্রি ভালো দেখে কেউ আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন।’
সরকারি আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসনের রেকর্ড শাখার রেকর্ডকিপার আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে স্ট্যাম্প জালিয়াতি আইনে মামলা করেন। মামলায় ভেন্ডার খলিলুর রহমান মোল্যাকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও রেকর্ডরুম ডেপুটি কালেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরচা ও নকশার জন্য আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। স্ট্যাম্প ভেন্ডারকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাঁর স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘স্ট্যাম্প প্রতারণার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ট্যাম্প ভেন্ডার খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পরচা ও নকশার জন্য করা আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা প্রায় ৩০টি আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি লাগানো হয়। তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় খলিলুর রহমান মোল্যা নামের এক স্ট্যাম্প ভেন্ডারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি নানা ধরনের দলিল-দস্তাবেজ, বিভিন্ন মামলার রায়, পরচা, নকল, নকশা ও আদালতের নানা নথিসহ বিভিন্ন সেবা পেতে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদন করার সময় বিভিন্ন মূল্যের সরকারি কোর্ট ফি জুড়ে দিতে হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সনদ (লাইসেন্স) নিয়ে স্ট্যাম্প ভেন্ডাররা কোর্ট ফি বিক্রি করে থাকেন। সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডাররা ওই সব কোর্ট ফি সংগ্রহ করেন। তাঁরা সংগ্রহ করা কোর্ট ফি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম থেকে পরচা ও নকশা পেতে যে আবেদন করা হয়, তার মধ্যে বেশ কিছু নকল কোর্ট ফি পাওয়া গেছে। বিষয়টির সত্যতা জানতে গত মঙ্গলবার রেকর্ডরুম ডেপুটি কালেক্টর সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা বেশকিছু আবেদনপত্রের কোর্ট ফি যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করেন। তাতে অন্তত ৩০টি আবেদনে লাগানো ২০ টাকা দামের কোর্ট ফি নকল বলে জানা গেছে। আবেদনপত্রগুলোর সিরিয়াল নম্বর রেজিস্ট্রারে মিলিয়ে দেখা যায় ওই কোর্ট ফিগুলো খলিলুর রহমান মোল্যা নামের এক স্ট্যাম্প ভেন্ডার বিক্রি করেছেন।
শরীয়তপুর জজ কোর্টের আইনজীবী কামরুন নাহার লিপি মক্কেলের জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলার নাওডোবা ও গোসাইরহাট উপজেলার খাগৈর মৌজার পরচা পেতে চারটি আবেদন করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওই আবেদনে লাগানো কোর্ট ফিগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় সবগুলোই নকল।
জানতে চাইলে কামরুন নাহার বলেন, ‘খলিলুর রহমান নামের এক ভেন্ডারের কাছ থেকে আবেদনপত্রের কাগজসহ কোর্ট ফি কিনেছিলাম। ওই কাগজে তিনি কোর্ট ফি বিশেষ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেন, যা কেউ চাইলেই পরিবর্তন বা ওঠাতে পারবেন না। ওই কোর্ট ফি নকল কি না তা বুঝতে পারিনি।’
পৌরসভার ধানুকা এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান মোল্যা ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের সনদ নিয়েছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কোর্ট ফি বিক্রি করেন।
চিহ্নিত হওয়া নকল কোর্ট ফিগুলো খলিলুর রহমানের কাছ থেকে কেনেন আবেদনকারীরা। নকল কোর্ট ফি লাগিয়ে যাঁরা আবেদন করেছেন, তার অধিকাংশই ঝর্ণা বেগম ও সিয়াম নামে করা হয়েছে। আবেদনে তাঁদের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্ট্যাম্প ভেন্ডার খলিলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকে চালান জমা দিয়ে কোর্ট ফির মূল্য পরিশোধ করি। এরপর ট্রেজারি থেকে তা সংগ্রহ করে বিক্রি করি। আমি নকল কোর্ট ফি কোথায় পাব? বিক্রি ভালো দেখে কেউ আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন।’
সরকারি আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসনের রেকর্ড শাখার রেকর্ডকিপার আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে স্ট্যাম্প জালিয়াতি আইনে মামলা করেন। মামলায় ভেন্ডার খলিলুর রহমান মোল্যাকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও রেকর্ডরুম ডেপুটি কালেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরচা ও নকশার জন্য আবেদনপত্রে নকল কোর্ট ফি ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। স্ট্যাম্প ভেন্ডারকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাঁর স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘স্ট্যাম্প প্রতারণার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ট্যাম্প ভেন্ডার খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
২ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫