আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউক্রেন পরিস্থিতি দু-এক দিনে যে অবস্থায় পৌঁছেছে, তাতে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত অনিবার্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অঞ্চলটির ডনেটস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়া সমর্থক বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর মধ্যকার নতুন সংঘর্ষ ওই ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা ছাড়া, গত চার মাসে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা কূটনৈতিকেরা কোনো সমাধানে আসতে না পারায়, তা আরও জোরদার হয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ইউক্রেন-সংকট কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। অনেকে মনে করেন, সংকটকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনকে দুই টুকরা করার চেষ্টা চলছে। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সর্ব প্রথম শোনা গিয়েছিল গত বছর। সম্প্রতি তা আবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষণার আগে তৎকালীন সোভিয়েত ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছিল, পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশকে ন্যাটোর সদস্য করা হবে। বিনিময়ে পশ্চিম বার্লিনের সঙ্গে সোভিয়েত প্রভাবিত পূর্ব বার্লিন এক হতে আপত্তি করবে না মস্কো।
১৯৮৯ সালে বার্লিন দেওয়ালের পতন হয়, আর ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত রাশিয়ার বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের প্রায় সব দেশকে ন্যাটোর সদস্য করা হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার সদস্য। রাশিয়ার চারদিকে পৌঁছে যায় ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র।
পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সব সময় আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া। কারণ, এটা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে বিধ্বস্ত থাকায় রাশিয়া হাতে-কলমে তার প্রতিবাদ জানাতে পারেনি। কিন্তু এখন তাদের ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বদলেছে। তাই পশ্চিমাদের আধিপত্যের জবাবে সামরিক হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া। ২০০৭ সালে জার্মানির ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স’ নিজেদের উদ্বেগ স্পষ্ট করে বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সহযোগিতায় ২০১৪ সালে ইউক্রেনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। রাশিয়া সমর্থক ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিক্রিয়ায় ওই বছরই বিনা যুদ্ধে ইউক্রেনের উপদ্বীপ ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। ওই বছরই রুশ ভাষাভাষী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডনবাসে সরকার-বিদ্রোহীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
২০১৪ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সম্পৃক্ততা বাড়ে। গত বছরের শেষের দিকে, ডনবাসে রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ইউক্রেনের বড় ধরনের সামরিক পরিকল্পনার অভিযোগ এবং দেশটির ন্যাটোর সদস্য হওয়ার শঙ্কায় সামরিক তৎপরতা বাড়ায় রাশিয়া। ইউক্রেনের পশ্চিম দিক ছাড়া তিন দিকে লক্ষাধিক সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে দেশটি।
এ ধারাবাহিকতায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার থেকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কী ফল প্রত্যাশা করে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে রাশিয়ার কলিজায় গিয়ে ঠেকবে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র। তাই দেশটির ন্যাটোর সদস্য হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেবে না মস্কো। তবে ফয়সালা কী? এর একটা উত্তর হতে পারে, ইউক্রেনকে ভাগ করা।
হ্যাঁ, গত বছরের মে মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে দুই টুকরা করতে মস্কোর সঙ্গে গোপন চুক্তির চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
পরিস্থিতি বর্তমানে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে ডনবাসের বিদ্রোহীদের দিয়ে এক ধরনের যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে সেখান থেকে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীকে সম্পূর্ণ রূপে তাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মৌন বা গোপন সম্মতিতে এটা হতে পারে। এতে করে ডনবাস চলে যাবে রাশিয়ার অঘোষিত নিয়ন্ত্রণে আর বাকি ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু এতে সংকট শেষ হবে, না নতুন সংকটের জন্ম নেবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ইউক্রেন পরিস্থিতি দু-এক দিনে যে অবস্থায় পৌঁছেছে, তাতে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত অনিবার্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অঞ্চলটির ডনেটস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়া সমর্থক বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর মধ্যকার নতুন সংঘর্ষ ওই ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা ছাড়া, গত চার মাসে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা কূটনৈতিকেরা কোনো সমাধানে আসতে না পারায়, তা আরও জোরদার হয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ইউক্রেন-সংকট কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। অনেকে মনে করেন, সংকটকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনকে দুই টুকরা করার চেষ্টা চলছে। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সর্ব প্রথম শোনা গিয়েছিল গত বছর। সম্প্রতি তা আবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষণার আগে তৎকালীন সোভিয়েত ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছিল, পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশকে ন্যাটোর সদস্য করা হবে। বিনিময়ে পশ্চিম বার্লিনের সঙ্গে সোভিয়েত প্রভাবিত পূর্ব বার্লিন এক হতে আপত্তি করবে না মস্কো।
১৯৮৯ সালে বার্লিন দেওয়ালের পতন হয়, আর ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত রাশিয়ার বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের প্রায় সব দেশকে ন্যাটোর সদস্য করা হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার সদস্য। রাশিয়ার চারদিকে পৌঁছে যায় ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র।
পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সব সময় আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া। কারণ, এটা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে বিধ্বস্ত থাকায় রাশিয়া হাতে-কলমে তার প্রতিবাদ জানাতে পারেনি। কিন্তু এখন তাদের ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বদলেছে। তাই পশ্চিমাদের আধিপত্যের জবাবে সামরিক হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া। ২০০৭ সালে জার্মানির ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স’ নিজেদের উদ্বেগ স্পষ্ট করে বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সহযোগিতায় ২০১৪ সালে ইউক্রেনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। রাশিয়া সমর্থক ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিক্রিয়ায় ওই বছরই বিনা যুদ্ধে ইউক্রেনের উপদ্বীপ ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। ওই বছরই রুশ ভাষাভাষী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডনবাসে সরকার-বিদ্রোহীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
২০১৪ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সম্পৃক্ততা বাড়ে। গত বছরের শেষের দিকে, ডনবাসে রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ইউক্রেনের বড় ধরনের সামরিক পরিকল্পনার অভিযোগ এবং দেশটির ন্যাটোর সদস্য হওয়ার শঙ্কায় সামরিক তৎপরতা বাড়ায় রাশিয়া। ইউক্রেনের পশ্চিম দিক ছাড়া তিন দিকে লক্ষাধিক সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে দেশটি।
এ ধারাবাহিকতায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার থেকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কী ফল প্রত্যাশা করে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে রাশিয়ার কলিজায় গিয়ে ঠেকবে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র। তাই দেশটির ন্যাটোর সদস্য হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেবে না মস্কো। তবে ফয়সালা কী? এর একটা উত্তর হতে পারে, ইউক্রেনকে ভাগ করা।
হ্যাঁ, গত বছরের মে মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে দুই টুকরা করতে মস্কোর সঙ্গে গোপন চুক্তির চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
পরিস্থিতি বর্তমানে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে ডনবাসের বিদ্রোহীদের দিয়ে এক ধরনের যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে সেখান থেকে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীকে সম্পূর্ণ রূপে তাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মৌন বা গোপন সম্মতিতে এটা হতে পারে। এতে করে ডনবাস চলে যাবে রাশিয়ার অঘোষিত নিয়ন্ত্রণে আর বাকি ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু এতে সংকট শেষ হবে, না নতুন সংকটের জন্ম নেবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫