Ajker Patrika

ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত

মুফতি খালিদ কাসেমি
ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত

নবী-রাসুলরা ছাড়া পৃথিবীর কোনো মানুষই নিষ্পাপ নয়। আমরা রাতদিন পাপের অথই সাগরে ডুবে আছি। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা। ইস্তেগফার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা। বান্দা যখন কোনো গুনাহে লিপ্ত হয়, এরপর সে আল্লাহর সামনে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয় এবং গুনাহের জন্য বিগলিত হৃদয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে, শরিয়তের দৃষ্টিতে এটিকে ইস্তেগফার বলা হয়।

বান্দা কোনো গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর অনুতপ্ত হৃদয়ে যখন আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে, মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও করুণাময় হিসেবে পায়।’ (সুরা নিসা: ১১০)

ইস্তেগফারের ইহকালীন ও পরকালীন অনেক ফজিলত রয়েছে। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘তোমরা স্বীয় পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)

মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেউ নিয়মিত ইস্তেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে সব বিপদ থেকে মুক্তি দেবেন, সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (আবু দাউদ) তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার আমলনামায় অধিক পরিমাণে ক্ষমা প্রার্থনা যোগ করতে পেরেছে, তার জন্য সুসংবাদ রয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ) 

মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

বিশ্বে প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ানোর পথে কি পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ

লঞ্চের ওপর তরুণীকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছিলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

ভারতের সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত