সম্পাদকীয়
বয়স যখন ৯-১০, তখন আবদুল আলীমের এক চাচা কলকাতা থেকে একটা কলের গান কিনে নিয়ে এলেন। তখন তাঁরা থাকেন মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যখন আলীম পান্তাভাত খাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর কানে আসে সুমধুর আওয়াজ, গানের আওয়াজ। ভাত সেভাবে রেখেই আলীম ছুটলেন চাচার বাড়ির দিকে। দেখলেন, গোলমতো একটা জিনিস ঘুরছে আর গান বাজছে। গানটা সম্ভবত ছিল, ‘সদা মন চাহে মদিনা যাব...’।
গানটি ছিল কে মল্লিকের কণ্ঠে। কলের গান শুনে শুনেই বেশ কিছু গান রপ্ত করে ফেললেন আবদুল আলীম। গ্রামোফোন শুনতে শুনতেই তাল-লয় সম্পর্কে ধারণা এল। তবে মানুষের সামনে গান করতে লজ্জা পেতেন তিনি। গাইতেন মাঠে কিংবা মনুষ্যবিহীন কোথাও।
একদিন গ্রামের কিছু মানুষ এসে আলীমের বড় ভাইকে ধরলেন, ‘আলীমের গলা খুব মিষ্টি। ওকে গান শেখাও।’ টাকার লোভ দেখালেন ভাই। কিন্তু আলীম তো গাইবেন না। তখন গোলাম আলী নামে এক ভদ্রলোক নিয়ে এলেন হারমোনিয়াম। তাঁর কাছেই গান শেখা শুরু করলেন। লজ্জা ভেঙে গেল। গ্রামে যে থিয়েটার হতো, তাতে গাইতে লাগলেন তিনি।
ওস্তাদ গোলাম আলী একবার কলকাতায় নিয়ে গেলেন আলীমকে। গ্রামোফোন কোম্পানিতে তিনি দেখলেন কে মল্লিককে! দেখতে গেলেন আলিয়া মাদ্রাসা। শুনলেন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক এখানে আসবেন। ভাই গোপনে একটা তালিকায় আলীমের নাম লিখে দিলেন। এই ছেলে গান গাইবে প্রধানমন্ত্রী এলে।
ফজলুল হক বসেছেন। আবদুল আলীমের নাম ঘোষণা করা হলো। দুরু দুরু বক্ষে ১০-১১ বছর বয়সী আলীম গাইলেন, ‘সদা মন চাহে মদিনা যাব...’। সামনে তাকিয়ে দেখেন, শেরেবাংলা ফজলুল হক অঝোর ধারায় কাঁদছেন। পরে আলীমকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘ভাই, তুমি আমার সাথে দেখা করে যাবে, তোমাকে আমি পোশাক তৈরি করে দেব।’ এরপর শেরেবাংলা খিদিরপুর, আলিপুর যেখানেই গেছেন, গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই গাড়িতে করে গিয়ে আলীম শুনিয়েছেন গান। পেয়েছেন টাকা! সেই তো শুরু।
সূত্র: শহীদুল ইসলামের নেওয়া আবদুল আলীমের সাক্ষাৎকার, গানপার
বয়স যখন ৯-১০, তখন আবদুল আলীমের এক চাচা কলকাতা থেকে একটা কলের গান কিনে নিয়ে এলেন। তখন তাঁরা থাকেন মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যখন আলীম পান্তাভাত খাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর কানে আসে সুমধুর আওয়াজ, গানের আওয়াজ। ভাত সেভাবে রেখেই আলীম ছুটলেন চাচার বাড়ির দিকে। দেখলেন, গোলমতো একটা জিনিস ঘুরছে আর গান বাজছে। গানটা সম্ভবত ছিল, ‘সদা মন চাহে মদিনা যাব...’।
গানটি ছিল কে মল্লিকের কণ্ঠে। কলের গান শুনে শুনেই বেশ কিছু গান রপ্ত করে ফেললেন আবদুল আলীম। গ্রামোফোন শুনতে শুনতেই তাল-লয় সম্পর্কে ধারণা এল। তবে মানুষের সামনে গান করতে লজ্জা পেতেন তিনি। গাইতেন মাঠে কিংবা মনুষ্যবিহীন কোথাও।
একদিন গ্রামের কিছু মানুষ এসে আলীমের বড় ভাইকে ধরলেন, ‘আলীমের গলা খুব মিষ্টি। ওকে গান শেখাও।’ টাকার লোভ দেখালেন ভাই। কিন্তু আলীম তো গাইবেন না। তখন গোলাম আলী নামে এক ভদ্রলোক নিয়ে এলেন হারমোনিয়াম। তাঁর কাছেই গান শেখা শুরু করলেন। লজ্জা ভেঙে গেল। গ্রামে যে থিয়েটার হতো, তাতে গাইতে লাগলেন তিনি।
ওস্তাদ গোলাম আলী একবার কলকাতায় নিয়ে গেলেন আলীমকে। গ্রামোফোন কোম্পানিতে তিনি দেখলেন কে মল্লিককে! দেখতে গেলেন আলিয়া মাদ্রাসা। শুনলেন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক এখানে আসবেন। ভাই গোপনে একটা তালিকায় আলীমের নাম লিখে দিলেন। এই ছেলে গান গাইবে প্রধানমন্ত্রী এলে।
ফজলুল হক বসেছেন। আবদুল আলীমের নাম ঘোষণা করা হলো। দুরু দুরু বক্ষে ১০-১১ বছর বয়সী আলীম গাইলেন, ‘সদা মন চাহে মদিনা যাব...’। সামনে তাকিয়ে দেখেন, শেরেবাংলা ফজলুল হক অঝোর ধারায় কাঁদছেন। পরে আলীমকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘ভাই, তুমি আমার সাথে দেখা করে যাবে, তোমাকে আমি পোশাক তৈরি করে দেব।’ এরপর শেরেবাংলা খিদিরপুর, আলিপুর যেখানেই গেছেন, গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই গাড়িতে করে গিয়ে আলীম শুনিয়েছেন গান। পেয়েছেন টাকা! সেই তো শুরু।
সূত্র: শহীদুল ইসলামের নেওয়া আবদুল আলীমের সাক্ষাৎকার, গানপার
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫