Ajker Patrika

ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মানা

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৫৩
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মানা

ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মানাযোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব ও সংকট, গবেষণার অনুপস্থিতি, আচার্যের নিযুক্ত বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতিসহ আরও কয়েকটি কারণে কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গত রোববার কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত পত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সরেজমিন পরিদর্শনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষাসহায়ক ক্যাম্পাসের অনুপস্থিতি, গ্রন্থাগারে প্রয়োজনীয় পাঠ্য বইয়ের অপ্রতুলতা রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ।

পত্রে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ধারা ১৮ এবং ২০ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষাদান, পরীক্ষা ও ফলাফল অনুমোদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। আইনের ধারা ১৭ ও ১৯ অনুযায়ী উপাচার্য একাধারে সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি। আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আচার্যের নিযুক্ত উপাচার্যের অবর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা ও ফলাফলের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে আচার্যের নিযুক্ত উপাচার্য এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। উপাচার্যের অবর্তমানে অন্য কারও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভার আইনগত কোনো বৈধতা নেই বলে প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব কারণে কমিশন পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইন না মানায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করতে হবে দেশের ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে। তা না হলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউজিসির কর্মকর্তারা বলেছেন, যারা এবার নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হবে, তাদের ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৩৫ (৭) ধারা কার্যকর করা হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দিলে কিংবা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আচার্য প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ দিতে পারবেন। এ বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

পিরোজপুরে ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতির পরিচালক, সদস্যদের বিক্ষোভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত