Ajker Patrika

স্বেচ্ছাসেবক দলে কোন্দল

শিমুল চৌধুরী, ভোলা
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৪৭
স্বেচ্ছাসেবক দলে কোন্দল

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ভোলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। দলের বিবদমান দুটি পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ দুটি ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী বলে জানা গেছে। পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

গতকাল রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, ভোলা সদর উপজেলা ও ভোলা পৌরসভার কিছু নেতা পদ বঞ্চিত হয়ে এবং কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে গত ৩০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ২২ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা দাবি করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সকলের মতামত নিয়ে পদপ্রার্থীদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গত ২৮ অক্টোবর ৩১ সদস্যের ভোলা সদর উপজেলা ও ভোলা পৌর আহ্বান কমিটি ঘোষণা করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল, সদস্যসচিব ইয়াকুব শাহ জুয়েল, ভোলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অজিউল্লা সুমন, সদস্যসচিব মাইনুদ্দিন হাওলাদার প্রমুখ। এই পক্ষটি ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নদী আলমগীরের অনুসারী বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, যোগ্য ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করে কমিটি ঘোষণার অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর ভোলা সদর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫৬ নেতা-কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। পদত্যাগ করা নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৮ জন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ২৮ জন নেতা-কর্মী রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। এই পক্ষটি ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মুনতাসির আলম রবিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ভোলা সদর উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের মতামত মূল্যায়ন না করেই দুটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে দলের কোনো ত্যাগী ও যোগ্য নেতা পদ পাননি। এমনকি পদ না চাওয়া দুজনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে সদ্যঘোষিত কমিটি বাতিল করে পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মীর মোস্তাফিজুর রহমান রনি, হাফিজুর রহমান তসলিম, লুকু চৌধুরী ও এবিএস সালাম প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আ. অদুদকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল-আমিন রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পাঠানো কমিটির নেতাদের পদ না দিয়ে কেন্দ্রের খামখেয়ালি মতো পদ দিয়ে ভোলা সদর উপজেলা ও পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিরা বাদ পড়েছেন। আর ব্যক্তিগত আক্রোশও ফুটে উঠেছে। ফলে ভোলা জেলা, ভোলা সদর উপজেলা ও ভোলা পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫৬ নেতা-কর্মী গত ৩০ অক্টোবর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন নির্ধারণে কমিটি

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

এক ভারতীয়র কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো ট্রাকচালকদের ভিসা

সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের দপ্তর থাকবে সমন্বিত ভবনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত